Friday, November 24, 2017

কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা


তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখবর হল এই কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা। ৩৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁচা মরিচ সেদ্ধ করলে কিংবা ভেজে খেলে, তাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর আসল উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ কাঁচা খেতে অভ্যাস করুন। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এরছাড়াও কাঁচা মরিচের যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে সেগুলো হল- ল্ফ নিয়মত কাঁচা মরিচ খেলে হৃৎপিন্ডর বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

 নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

 কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। 
 কাঁচা মরিচ মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। 

 কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে। 

 গরমকালে খেলে ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। 

 প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়। 
 কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। 

 নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে। 

 প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বুিলরেখা পড়ে না। 

 কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে-কোনো ধরনের কাটা কিংবা বা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। ল্ফকাঁচা মরিচের 
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে। 

Wednesday, November 22, 2017

লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারে সহায়ক উপকরণ হিসেবে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাপসিকাম বেশ কয়েকটি রঙের হয়ে থাকে। মূলত আমাদের দেশে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি দেখা যায়। দেশীয় সবজি না হলেও এর চাষ ধীরে ধীরে বাড়ছে এই দেশে। সবজি হিসেবে চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? এ বিষয়ে কথা হয় পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলোর সঙ্গে।]



লাল ক্যাপসিকাম
লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে লালটি বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকামটি খেলে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। চোখ ভালো থাকে। এতে কোলেস্টেরল কম থাকার কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ ও র‍্যাশের হাত থেকে রক্ষা করে। লাল ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
সবুজ ক্যাপসিক্যাম
সবুজ ক্যাপসিকামও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণে ভরপুর। এই ক্যাপসিকামটি একটু অল্পবয়সীদের জন্য উপকারী। এ ক্যাপসিকামে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। এটি মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে উচ্চ চর্বি জমে না, একই সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পায় না। সবুজ ক্যাপসিকাম রক্তের অণুচক্রিকা উদ্দীপিত করে সংক্রমণ রোধ করে থাকে।
গ্রন্থনা: তারিকুর রহমান খান 

Saturday, November 18, 2017

শীত ঋতুতে "শিশুদের সুস্থ "রাখার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিই


শীত ঋতুতে "শিশুদের সুস্থ "রাখার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিই

অন্য সময়ের চেয়ে শীতের আবহাওয়ায়
শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করেন অভিভাবকরা। নিজের আদরে শিশুটিকে সুস্থ রাখতে চোখেরঘুমও হারাম করেন অনেক বাবা-মা। কারণ শিশুরা অসুস্থ হলে বাবা-মাকে রাত জাগতে হয়, ডাক্তার দেখাতে হয় ও ওষুধ খাওয়াতে হয়।  এক কথায় আপনার কাজ বেড়ে  যায়। আপনার সামান্য সচেতনতাই পারে শীতে শিশুর শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ থেকে বাচাতে। সচেতনথাকলেই শীতেও ভালো থাকবে আপনার আদরের শিশু।

তিনি বলেন, অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীতে শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। শীতে শিশুদের যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখাদেয় তা হল- সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা, টনসিল বড় হওয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তবে সচেতন হলে এসব সমস্যা সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।
আসুন জেনে নিই শীতে কীভাবে নেবেন শিশুর যত্ন
গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার
শীতে শিশুকে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। গোসলের সময় স্যাভলন, ডেটল বা এ ধরনেরজীবাণুনাশক দেয়া উচিত নয়।
ময়েশ্চারাইজ
শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার আবশ্যক। গোসল করানোর পর কোমল টাওয়েল দিয়ে শরীর মোছার পর অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল গায়ে মাখতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- লাগানো তেল বা লোশন যেন সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যালমুক্তহয়।
ডায়াপার পরিবর্তন
শীতে শিশুদের ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হবে।।ভেজা ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে শিশুর অ্যালার্জির সমস্যাও হতে পারে।
সবসময় শীতের পোশাক নয়
শিশুকে সবসময় শীতের পোশাক পরিয়ে রাখা ঠিক নয়।কাপড়-চোপড় যেন আবহাওয়া বা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানানসই হয়।তবে শিশুদের ত্বকভালো রাখতে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। ত্বক নরম রাখতেও সুতি কাপড় ব্যবহার করুন।
পেট্রোলিয়াম জেলি অলিভ অয়েল
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ও অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করুন। গোসলের পর সামান্য পরিমাণ পেট্রোলিয়াম জেলি হাতে নিয়েহালকা করে শিশুর ত্বকে লাগিয়ে দিন। এ ছাড়া গায়ে অলিভ অয়েল মাখাতে পারেন। 
ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে
ঠাণ্ডা লেগে অনেক সময় শিশুর নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একে ক্ষেত্রে ‘নরসল নসল ড্রপ’ দিনে দুবার দেওয়া যেতে পারে।

 শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা.মানিককুমার তালুকদার (শিশু বিশেষজ্ঞ)।



Friday, November 3, 2017

"পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার"রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকরে

ভিটামিন বা খনিজ উপাদান গুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল কলা। বিশেষজ্ঞরা জানান, মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কলা।
বিশেষজ্ঞদের মতামত- যারা নিয়মিত কলা খান তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দিন কয়েক আগে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই পটাশিয়ামের।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম থাকে। কলার মধ্যে এই খনিজ উপাদানের গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন। একটি কলায় কম করে ৪৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে। অর্থাৎ দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে একটি কলা। কলা ছাড়াও আলু, অঙ্কুরিত ছোলা, মাছ, পোল্ট্রিজাত দ্রব্যে পটাশিয়াম থাকে। কলার পাশাপাশি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এইসব খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।  
এছাড়া পটাশিয়ামের যোগানের পাশাপাশি কলা হজম করতে সাহায্য করে। ফাইবার সম্বৃদ্ধ কলা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বেশি কলা খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে।

কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...