Weight control the potato
আলু ছাড়া একটি দিনও কাটে না এমন মানুষ খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। চিকিৎসকদের মতে, পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার আলু। জেনে নিন আলুর খাদ্যগুণ।
- আলুর ডায়েটারি ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- আলুর মধ্যে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক দাঁত ও হাড় ভাল রাখতে সাহায্য করে।
- আলুর ফাইবার ভিটামিন 'সি' ও ভিটামিন 'বি-৬' থাকার কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- আলু খেলে পেশি সচল থাকে। ভালো ঘুম হয়। মস্তিষ্কও সচল থাকে।
- আলুর মধ্যে থাকা ফলেট ডিএনএ সিন্থেসিস ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। ফলে ক্যানসার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আলু। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোলেরেক্টাল ক্যানসার রোধে কার্যকরী।
- আলুর মধ্যে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সাহায্য করে।
- আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও কোলাজেন। তাই আলু খেলে দূষণ, সূর্যরশ্মি, ধোঁয়া ও ধুলো থেকে ত্বক রক্ষা পায়। শরীরে কোলাজেন তৈরি করে ত্বকের বলিরেখা দূর করে আলু।
Which is the right time for dinner?
অনেকেই মাঝ রাতে ডিনার করেন। তবে ডাক্তাররা বলছেন, রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নিই আগেভাগে ডিনারের কয়েকটি সুফল।
১) সারা দিনের শেষে ডিনারটাই মূলত শেষ খাওয়া। যদি সন্ধাবেলাতেই ডিনার সেরে নেন, সেক্ষেত্রে হজমের জন্য যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায়। আর ওই খাবার শরীরে শক্তি তৈরি করে কিন্তু মেদ জমায় না। দেরি করে ডিনার করলে তা হজম না হয়ে শুধু শরীরের ওজনই বাড়াবে, ভাল কিছু করবে না।
২) সাধারণত দেখা যায় যারা দেরি করে রাতের খাবার খান, তাদের হজমের সমস্যা রয়েছে। সঙ্গে অ্যাসিডিটি। কিন্তু যদি আপনি রোজ রাতে তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে নেন, তাহলে অবশ্যই আপনার হজমের সমস্যা থাকবে না। সঙ্গে কমে আসবে অ্যাসিডিটি সমস্যা।
৩) ডিনার যদি আগে করে নেন, তাহলে আপনার ঘুমও আসবে তাড়াতাড়ি। ঘুমের মানও ভাল হবে। কিন্তু দেরিতে ডিনার করলে, ঘুমও কম হবে। যেটুকু হবে তা নিরবচ্ছিন্ন হবে না।
৪) রাতে তাড়াতাড়ি ডিনার সেরে যদি আপনি ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলেই ঘুম থেকে উঠতে পারবেনও ভোরে। এতে দিনের কাজগুলো শেষ করার যথেষ্ট সময় পাবেন। সেইসঙ্গে ইংরেজি প্রবাদ তো রয়েছেই- 'Early to bed and early to rise, makes a man healthy, wealthy and wise.' একসঙ্গে প্রাতঃভ্রমনের সুযোগটাও পেয়ে যাবেন। আর জানেনই তো সকালে কোমল হাওয়া শরীরের স্ট্রেচ কমানোর পাশাপাশি নানা রোগ ব্যাধিও দূরে সরিয়ে দেয়।

দাঁত শির শির করা সমস্যা
দাঁত নড়লে বা মাড়ি ফুললে আমরা প্রচন্ড সন্ত্রাসে ছুটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে। পরম করুনাময়ের দান দন্তরাজি যখন সাহসী সৈন্যদলের মত বছরের পর বছর ধরে গরু,খাসি, মুরগী ও মাছের হাঁড়, চালের কাঁকর ইত্যাদিকে পিষ্ট করে অবশেষে একে একে রণে ভঙ্গ দেয়, তখন তাদের স্থান গ্রহণ করে নতুন রিক্রুট-একটি, দু’টি অথবা একপাটি দুইপাটি নকল দাঁত। আপনারা ভাবছেন চিকিত্সা শাস্ত্রেও এই দন্ত পরিচর্যা বর্তমান শতাব্দীর মৌলিক অবদান? আপনাদের ধারনা দুই-তিন-চারশ বছর আগে দাঁত নড়লে বা পড়লে কিছুই করাবার ছিলনা? তাহলে মিশরের প্যাপিরাস কাগজে লেখা প্রাচীন নথিপত্র ঘাঁটুন এবং কবরস্থানের দেয়ালের লেখা পড়ুন। তবেই জানতে পারবেন যে, পৃথিবীর প্রাচীনতম দন্ত চিকিত্সক আনুমানিক তিন হাজার খৃষ্টপূর্বাব্দে মিশরের অধিবাসীদের দাঁতের সেবা করে গেছেন। তাঁর চারশ বছর পর দন্ত চিকিত্সায় বিপ্লব আনলেন আরেকজন মিশরবাসী, ফ্যারাও এর ব্যক্তিগত চিকিত্সক পেপিআংখ।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সুসিদ্ধ নরম খাবার আর নানা রকম মিষ্টি খেতে শিখেই আমাদের দাঁত হয়েছে দুর্বল রোগ-জীবানুর ঘাঁটি। শরীরের সবচেয়ে শক্ত জিনিস দাঁত। কিন্তু এই দাঁতেরও ক্ষয় হয়, যাকে আমরা পোকায় খেয়ে যাওয়া বলি। ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ডেন্টাল ক্যারিজ। আফ্রিকার আদিম জাতি এবং এস্কিমোদের মধ্যে এই রোগ
সবচেয়ে কম। তাই তাদের
মধ্যে এই রোগ দেখা যাবে। তাই তাদের দাঁত সুন্দর ঝকঝকে মুক্তোর মতো। কিন্তু তারা যদি সভ্যমানুষের খাবার খায়, তবে তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যাবে। যেমন সুইজারল্যান্ড আল্পস পর্বতের
ওপর অবস্থিত গোমস নামক গ্রামগুলিতে যেসব মানুষ থাকে
তাদের এই রোগ কয়েক বত্সর আগেও ছিল না। কিন্তু আস্তে
আস্তে আধুনিক খাবারের সাথে
তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠল, ফলে তাদেরও দাঁতের ক্ষয় রোগ শুরু
হয়ে গেল। কিন্তু পর্বতের উপর যেখানে রেলপথ পৌঁছায়নি সেখানকার লোকদের দাঁতের
রোগ মোটেই হয়নি।
আমাদের দেশে দাঁত ও মুখের
প্রধান রোগগুলো হচ্ছে ডেন্টাল ক্যারিজ, মাড়ির রোগ বা পেরিওডেন্টাল রোগ, মুখের
সাদাত বা ঘা প্রধান।
‘বাঙ্গালী দাঁত থাকতে দাঁতের
মর্যাদা দিতে জানে না’, এটি
একটি প্রচলিত প্রবাদ বাক্য। তবুও কম-বেশী সকলেরই দাঁতের রোগ হয়, দাঁতের ক্ষয় হয় অবশেষে
দাঁতকে হারাতে হয়। কারণ শুধু প্রবাদ বাক্য জানা থাকলেই দাঁতের রোগ বন্ধ হয় না । এর জন্য বিজ্ঞানসম্মত কতগুলো নিয়ম-কানুন রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশীর ভাগ লোক অবহিত নন। অতি সহজভাবে বলতে গেলে বলতে
হবে যে, আমাদের শরীর বা দেহকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য যেমন নিয়মিত কতগুলো বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় ,তেমনি দাঁতকেও সচল ও সুন্দর করে রাখতে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ইংরেজিতে কথা আছে ‘Mouth is the gateway to health’ অর্থাত্ ‘মুখই স্বাস্থ্যের প্রবেশপথ’। দাঁতের গঠন সৌন্দর্য ও বিন্যাসের উপর ব্যক্তিত্বও
অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিজ্ঞানীদের মতে দেহের বেশীরভাগ রোগের প্রভাব বা লক্ষণ মুখ গহ্বরে প্রথমে আসে। যেমন ধরুন দেহের
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই
মুখের ভেতরে তার নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দেহের এই ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের দেহকে বাইরের রোগ জীবানু থেকে রক্ষা করে। তবে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা নানান কারণে কমে যেতে পারে। যেমন, দেহের অন্যান্য রোগ, ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, শরীরে কৃত্রিমভাবে স্থাপিত অঙ্গসমূহের জন্য নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ অথবা ক্যান্সার রোগীদের জন্য নিয়মিত গ্রহণ করা
কেমোথেরাপি ইত্যাদি। তাছাড়া দেহের অন্যান্য রোগের জন্য গ্রহণ করা নিয়মিত ওষুধ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হূদরোগ, হাঁপানী পেটের বা হার্টের অসুস্থতা ইত্যাদি। এই সমস্ত রোগের বেশীরভাগই ওঠে মুখের ভেতরে পরিবেশকে শুকিয়ে শুষ্ক করে দেয় । ফলে দেখা দেয় -ডিহাইড্রেশন বা যাকে বলা হয় ড্রাই মাউথ। মুখের এই সুস্থতার জন্য দেখা দেয় নানান
রোগ। যেমন ডেন্টাল ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় সেই সাথে জীবানু বা ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারও ঘটে। এর ফলে মুখের স্বাদ বা টেস্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেন্টিস্ট বা দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মুখ পরীক্ষা করার সময় এমন অনেক রোগ ও সনাক্ত করেন। যে সমস্ত রোগের উপস্থিতি রোগী নিজেরাও বুঝতে পারে না । এই সমস্ত লক্ষণ দেখা মাত্র ডেন্টিস্ট কখনোবা অন্যান্য মেডিকেল বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করেন। কারণ দেহের অনেক রোগই মুখের ভেতরে প্রাথমিক সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।
যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা সারাজীবনের রোগ আছে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ তাদেরকে অবশ্যই নিয়মিতভাবে মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করা দরকার। কারণ মুখের অনেক সমস্যাই দেহের অন্যান্য রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসুবিধার সৃষ্টি করে। অতএব মাড়ির ও দাঁতের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করা এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন। গবেষকরা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে, মুখের ভেতরে মাড়ির রোগ দেহের অন্যান্য রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। এসব রোগের মধ্যে হূদরোগ ও কম ওজনের শিশু ভূমিষ্ট হওয়া অন্যতম।
শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক নিয়ে আমরা হয়তো অনেক কিছুই জানি। কিন্তু মুখের সাথে শরীরের সম্পর্ক নিয়ে আমরা কতটুকু জানি? অনেকের কাছে ডেন্টাল ক্লিনিকে আসা মানেই হচ্ছে দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করা, দাঁত তুলে ফেলা, অথবা দাঁতের ফিলিং করা। তবে ডেন্টাল ক্লিনিকে বা হাসপাতালে যাওয়া শুধুমাত্র দাঁতের জন্য নয়। এটা সম্পূর্ণ দেহের জন্য। কারণ, যা কিছু মুখে ঘটুক না কেন তার প্রভাব দেহের ওপরও পড়ে। অনুরূপভাবে দেহের যেকোনো অঙ্গ রোগাক্রান্ত হলে তার প্রভাবও মুখের উপর আসে।
একটি-দুটি দাঁত বা অনেকগুলো দাঁত হঠাত্ কখনো শিরশির করতে পারে। দাঁত শির শির করার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। যেমন তারা ডাক্তারের কাছে এসে বলেন আমার দাঁতটি শির শির করে, পানি খেতে পারি না, কেউ বা বলেন চা খেতে পারি না। আবার কেউ বলেন ঠান্ডা গরম কিছুই খেতে পারি না, দাঁতে ধরে। দাঁতের এই শির শির করা অবস্থাকেই বলা হয় ডেন্টাল ইরেশান বা এন্ট্রিশন, এই এন্ট্রিশন বা ইরেশান হওয়ার কারণ হচ্ছে দাঁতের উপরের সবচেয়ে শক্ত আবরণ এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া। আমরা জানি একটি দাঁতের গঠন প্রক্রিয়ায় প্রথম
আবরণটিই হচ্ছে এনামেল, এই এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত অংশ। যখনই কোনো কারণে এই এনামেল ক্ষয় প্রাপ্ত হয় তখন দাঁতের
পরবর্তী অংশ ডেন্টিন বেরিয়ে আসে যেহেতু ডেন্টিনের নিচের অংশেই নার্ভ, আর্টারি, ব্রাড ভেসালস ইত্যাদি থাকে সেহেতু দাঁতটি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং তখনই ঠান্ডা বা গরম কিছু তরল পদার্থ লাগার সাথে সাথেই দাঁতটি শির শির করে। এই এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় প্রধান কারণ গুলির মধ্যে আছে
১. দাঁত ভেঙ্গে যাওয়া
২. অতিরিক্ত দাঁত ব্রাশ এর ঘর্ষনে এনামেল ডেন্টিন ক্ষয় হয়ে যাওয়া
৩. দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া (ডেন্টাল ক্যারিজ)
৪. দাঁত থেকে মাড়ি সরে যাওয়া
৫. নকল দাঁত বা ডেন্চার এর ক্রমাগত ঘর্ষন লাগা
৬. ক্রাউন ব্রিজ করার ক্ষেত্রে দাঁত কেটে ফেলা
৭. দাঁতের ক্র্যাক হওয়া
৮. কিছু কিছু বদ অভ্যাস যেমন পেন্সিল বা কলম দিয়ে দাঁত কামড় দিয়ে ধরে রাখা ইত্যাদি।
যখনই কোনো দাঁত এ এই ধরণের শিরশির করবে তখনই সেই দাঁতটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো ফাঁটা বা ফাটল আছে কিনা এবং কোনো কারণে এনামেল ক্ষয় হয়েছে কিনা। এসব ক্ষেত্রে একটি এক্সরের মাধ্যমে বোঝা যাবে মাড়ি ও দাঁতের অবস্থান এবং সেই সাথে কোনো গর্ত বা ফাটল এর অবস্থাও নিশ্চিত করা যাবে।
চিকিত্সা
আজকাল এই ধরণের সমস্যার অতিদ্রুত চিকিত্সা নিশ্চিত করা যায়
প্রথমত: চিকিত্সা ব্যবস্থার মধ্যে প্রথমেই মাড়ি ও দাঁতের সংযোগস্থল থেকে সমস্ত পাথর বা ডেন্টাল প্লাক পরিস্কার করা প্রয়োজন। এই ধরণের কাজে সাধারনত: ডেন্টাল স্কেলিং করা হয় যেমন আলট্রাসনিক স্কেলিং এর মাধ্যমে সমস্ত দাঁতের গোড়া ও মাড়ি থেকে খাদ্য কনা পরিস্কার করা।
দ্ব্বিতীয়ত: ক্ষয়ে যাওয়া অংশটুকু বা ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু আজকাল খুবই আধুনিক পদ্ধতি লাইট কিউর ফিলিং দিয়ে ভর্তি করে দেয়া যাতে ক্ষয়ে যাওয়া এনামেল এবং ডেন্টিন আবার পুরন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গ্লাস আইনোমার ফিলিং দিয়েও দাঁতটি ভর্তি করা যায়। তবে অতিরিক্ত ক্ষয়ে যাওয়া বা গর্ত হয়ে যাওয়া দাঁতটিকে রুট ক্যানেল চিকিত্সার মাধ্যমে ভর্তি করে ক্রাউন বা মুকুট পরানো যায়।
তৃতীয়ত:দাঁতের মাজন - দাঁতের ক্ষয় যদি কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত না হয় তবে ফিলিং বা রুট ক্যানেল চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দাঁত ব্রাশের সঙ্গে স্ট্রনিয়াম ক্লোরাইড সংযুক্ত টুথ পেষ্ট ব্যবহার করলে ৬ মাসে দাঁতের শির- শির কমে আসতে পারে। তবে এই ধরনের পেস্ট দীর্ঘদিন ব্যবহার করা নিরাপদ না।
nঅধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী
সিনিয়র কনসালটেন্ট
ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিষ্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস
দাঁত নড়লে বা মাড়ি ফুললে আমরা প্রচন্ড সন্ত্রাসে ছুটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে। পরম করুনাময়ের দান দন্তরাজি যখন সাহসী সৈন্যদলের মত বছরের পর বছর ধরে গরু,খাসি, মুরগী ও মাছের হাঁড়, চালের কাঁকর ইত্যাদিকে পিষ্ট করে অবশেষে একে একে রণে ভঙ্গ দেয়, তখন তাদের স্থান গ্রহণ করে নতুন রিক্রুট-একটি, দু’টি অথবা একপাটি দুইপাটি নকল দাঁত। আপনারা ভাবছেন চিকিত্সা শাস্ত্রেও এই দন্ত পরিচর্যা বর্তমান শতাব্দীর মৌলিক অবদান? আপনাদের ধারনা দুই-তিন-চারশ বছর আগে দাঁত নড়লে বা পড়লে কিছুই করাবার ছিলনা? তাহলে মিশরের প্যাপিরাস কাগজে লেখা প্রাচীন নথিপত্র ঘাঁটুন এবং কবরস্থানের দেয়ালের লেখা পড়ুন। তবেই জানতে পারবেন যে, পৃথিবীর প্রাচীনতম দন্ত চিকিত্সক আনুমানিক তিন হাজার খৃষ্টপূর্বাব্দে মিশরের অধিবাসীদের দাঁতের সেবা করে গেছেন। তাঁর চারশ বছর পর দন্ত চিকিত্সায় বিপ্লব আনলেন আরেকজন মিশরবাসী, ফ্যারাও এর ব্যক্তিগত চিকিত্সক পেপিআংখ।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সুসিদ্ধ নরম খাবার আর নানা রকম মিষ্টি খেতে শিখেই আমাদের দাঁত হয়েছে দুর্বল রোগ-জীবানুর ঘাঁটি। শরীরের সবচেয়ে শক্ত জিনিস দাঁত। কিন্তু এই দাঁতেরও ক্ষয় হয়, যাকে আমরা পোকায় খেয়ে যাওয়া বলি। ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ডেন্টাল ক্যারিজ। আফ্রিকার আদিম জাতি এবং এস্কিমোদের মধ্যে এই রোগ
সবচেয়ে কম। তাই তাদের
মধ্যে এই রোগ দেখা যাবে। তাই তাদের দাঁত সুন্দর ঝকঝকে মুক্তোর মতো। কিন্তু তারা যদি সভ্যমানুষের খাবার খায়, তবে তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যাবে। যেমন সুইজারল্যান্ড আল্পস পর্বতের
ওপর অবস্থিত গোমস নামক গ্রামগুলিতে যেসব মানুষ থাকে
তাদের এই রোগ কয়েক বত্সর আগেও ছিল না। কিন্তু আস্তে
আস্তে আধুনিক খাবারের সাথে
তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠল, ফলে তাদেরও দাঁতের ক্ষয় রোগ শুরু
হয়ে গেল। কিন্তু পর্বতের উপর যেখানে রেলপথ পৌঁছায়নি সেখানকার লোকদের দাঁতের
রোগ মোটেই হয়নি।
আমাদের দেশে দাঁত ও মুখের
প্রধান রোগগুলো হচ্ছে ডেন্টাল ক্যারিজ, মাড়ির রোগ বা পেরিওডেন্টাল রোগ, মুখের
সাদাত বা ঘা প্রধান।
‘বাঙ্গালী দাঁত থাকতে দাঁতের
মর্যাদা দিতে জানে না’, এটি
একটি প্রচলিত প্রবাদ বাক্য। তবুও কম-বেশী সকলেরই দাঁতের রোগ হয়, দাঁতের ক্ষয় হয় অবশেষে
দাঁতকে হারাতে হয়। কারণ শুধু প্রবাদ বাক্য জানা থাকলেই দাঁতের রোগ বন্ধ হয় না । এর জন্য বিজ্ঞানসম্মত কতগুলো নিয়ম-কানুন রয়েছে যা আমাদের দেশের বেশীর ভাগ লোক অবহিত নন। অতি সহজভাবে বলতে গেলে বলতে
হবে যে, আমাদের শরীর বা দেহকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য যেমন নিয়মিত কতগুলো বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় ,তেমনি দাঁতকেও সচল ও সুন্দর করে রাখতে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ইংরেজিতে কথা আছে ‘Mouth is the gateway to health’ অর্থাত্ ‘মুখই স্বাস্থ্যের প্রবেশপথ’। দাঁতের গঠন সৌন্দর্য ও বিন্যাসের উপর ব্যক্তিত্বও
অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিজ্ঞানীদের মতে দেহের বেশীরভাগ রোগের প্রভাব বা লক্ষণ মুখ গহ্বরে প্রথমে আসে। যেমন ধরুন দেহের
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই
মুখের ভেতরে তার নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দেহের এই ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের দেহকে বাইরের রোগ জীবানু থেকে রক্ষা করে। তবে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা নানান কারণে কমে যেতে পারে। যেমন, দেহের অন্যান্য রোগ, ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া, শরীরে কৃত্রিমভাবে স্থাপিত অঙ্গসমূহের জন্য নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ অথবা ক্যান্সার রোগীদের জন্য নিয়মিত গ্রহণ করা
কেমোথেরাপি ইত্যাদি। তাছাড়া দেহের অন্যান্য রোগের জন্য গ্রহণ করা নিয়মিত ওষুধ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হূদরোগ, হাঁপানী পেটের বা হার্টের অসুস্থতা ইত্যাদি। এই সমস্ত রোগের বেশীরভাগই ওঠে মুখের ভেতরে পরিবেশকে শুকিয়ে শুষ্ক করে দেয় । ফলে দেখা দেয় -ডিহাইড্রেশন বা যাকে বলা হয় ড্রাই মাউথ। মুখের এই সুস্থতার জন্য দেখা দেয় নানান
রোগ। যেমন ডেন্টাল ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় সেই সাথে জীবানু বা ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারও ঘটে। এর ফলে মুখের স্বাদ বা টেস্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেন্টিস্ট বা দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মুখ পরীক্ষা করার সময় এমন অনেক রোগ ও সনাক্ত করেন। যে সমস্ত রোগের উপস্থিতি রোগী নিজেরাও বুঝতে পারে না । এই সমস্ত লক্ষণ দেখা মাত্র ডেন্টিস্ট কখনোবা অন্যান্য মেডিকেল বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করেন। কারণ দেহের অনেক রোগই মুখের ভেতরে প্রাথমিক সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।
যাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা সারাজীবনের রোগ আছে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ তাদেরকে অবশ্যই নিয়মিতভাবে মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করা দরকার। কারণ মুখের অনেক সমস্যাই দেহের অন্যান্য রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসুবিধার সৃষ্টি করে। অতএব মাড়ির ও দাঁতের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করা এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন। গবেষকরা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে, মুখের ভেতরে মাড়ির রোগ দেহের অন্যান্য রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। এসব রোগের মধ্যে হূদরোগ ও কম ওজনের শিশু ভূমিষ্ট হওয়া অন্যতম।
শরীরের সাথে মনের সম্পর্ক নিয়ে আমরা হয়তো অনেক কিছুই জানি। কিন্তু মুখের সাথে শরীরের সম্পর্ক নিয়ে আমরা কতটুকু জানি? অনেকের কাছে ডেন্টাল ক্লিনিকে আসা মানেই হচ্ছে দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করা, দাঁত তুলে ফেলা, অথবা দাঁতের ফিলিং করা। তবে ডেন্টাল ক্লিনিকে বা হাসপাতালে যাওয়া শুধুমাত্র দাঁতের জন্য নয়। এটা সম্পূর্ণ দেহের জন্য। কারণ, যা কিছু মুখে ঘটুক না কেন তার প্রভাব দেহের ওপরও পড়ে। অনুরূপভাবে দেহের যেকোনো অঙ্গ রোগাক্রান্ত হলে তার প্রভাবও মুখের উপর আসে।
একটি-দুটি দাঁত বা অনেকগুলো দাঁত হঠাত্ কখনো শিরশির করতে পারে। দাঁত শির শির করার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। যেমন তারা ডাক্তারের কাছে এসে বলেন আমার দাঁতটি শির শির করে, পানি খেতে পারি না, কেউ বা বলেন চা খেতে পারি না। আবার কেউ বলেন ঠান্ডা গরম কিছুই খেতে পারি না, দাঁতে ধরে। দাঁতের এই শির শির করা অবস্থাকেই বলা হয় ডেন্টাল ইরেশান বা এন্ট্রিশন, এই এন্ট্রিশন বা ইরেশান হওয়ার কারণ হচ্ছে দাঁতের উপরের সবচেয়ে শক্ত আবরণ এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়া। আমরা জানি একটি দাঁতের গঠন প্রক্রিয়ায় প্রথম
আবরণটিই হচ্ছে এনামেল, এই এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত অংশ। যখনই কোনো কারণে এই এনামেল ক্ষয় প্রাপ্ত হয় তখন দাঁতের
পরবর্তী অংশ ডেন্টিন বেরিয়ে আসে যেহেতু ডেন্টিনের নিচের অংশেই নার্ভ, আর্টারি, ব্রাড ভেসালস ইত্যাদি থাকে সেহেতু দাঁতটি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং তখনই ঠান্ডা বা গরম কিছু তরল পদার্থ লাগার সাথে সাথেই দাঁতটি শির শির করে। এই এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় প্রধান কারণ গুলির মধ্যে আছে
১. দাঁত ভেঙ্গে যাওয়া
২. অতিরিক্ত দাঁত ব্রাশ এর ঘর্ষনে এনামেল ডেন্টিন ক্ষয় হয়ে যাওয়া
৩. দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া (ডেন্টাল ক্যারিজ)
৪. দাঁত থেকে মাড়ি সরে যাওয়া
৫. নকল দাঁত বা ডেন্চার এর ক্রমাগত ঘর্ষন লাগা
৬. ক্রাউন ব্রিজ করার ক্ষেত্রে দাঁত কেটে ফেলা
৭. দাঁতের ক্র্যাক হওয়া
৮. কিছু কিছু বদ অভ্যাস যেমন পেন্সিল বা কলম দিয়ে দাঁত কামড় দিয়ে ধরে রাখা ইত্যাদি।
যখনই কোনো দাঁত এ এই ধরণের শিরশির করবে তখনই সেই দাঁতটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনো ফাঁটা বা ফাটল আছে কিনা এবং কোনো কারণে এনামেল ক্ষয় হয়েছে কিনা। এসব ক্ষেত্রে একটি এক্সরের মাধ্যমে বোঝা যাবে মাড়ি ও দাঁতের অবস্থান এবং সেই সাথে কোনো গর্ত বা ফাটল এর অবস্থাও নিশ্চিত করা যাবে।
চিকিত্সা
আজকাল এই ধরণের সমস্যার অতিদ্রুত চিকিত্সা নিশ্চিত করা যায়
প্রথমত: চিকিত্সা ব্যবস্থার মধ্যে প্রথমেই মাড়ি ও দাঁতের সংযোগস্থল থেকে সমস্ত পাথর বা ডেন্টাল প্লাক পরিস্কার করা প্রয়োজন। এই ধরণের কাজে সাধারনত: ডেন্টাল স্কেলিং করা হয় যেমন আলট্রাসনিক স্কেলিং এর মাধ্যমে সমস্ত দাঁতের গোড়া ও মাড়ি থেকে খাদ্য কনা পরিস্কার করা।
দ্ব্বিতীয়ত: ক্ষয়ে যাওয়া অংশটুকু বা ভেঙ্গে যাওয়া অংশটুকু আজকাল খুবই আধুনিক পদ্ধতি লাইট কিউর ফিলিং দিয়ে ভর্তি করে দেয়া যাতে ক্ষয়ে যাওয়া এনামেল এবং ডেন্টিন আবার পুরন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গ্লাস আইনোমার ফিলিং দিয়েও দাঁতটি ভর্তি করা যায়। তবে অতিরিক্ত ক্ষয়ে যাওয়া বা গর্ত হয়ে যাওয়া দাঁতটিকে রুট ক্যানেল চিকিত্সার মাধ্যমে ভর্তি করে ক্রাউন বা মুকুট পরানো যায়।
তৃতীয়ত:দাঁতের মাজন - দাঁতের ক্ষয় যদি কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত না হয় তবে ফিলিং বা রুট ক্যানেল চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দাঁত ব্রাশের সঙ্গে স্ট্রনিয়াম ক্লোরাইড সংযুক্ত টুথ পেষ্ট ব্যবহার করলে ৬ মাসে দাঁতের শির- শির কমে আসতে পারে। তবে এই ধরনের পেস্ট দীর্ঘদিন ব্যবহার করা নিরাপদ না।
nঅধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী
সিনিয়র কনসালটেন্ট
ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিষ্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস
Pregnancy risk factors
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, ‘আমার স্ত্রীতো অসুস্থ’ বা অমুক ভাবী, খালা অসুস্থ’। কেন, কী হয়েছে, কেন জানেন না, উনার তো বাচ্চা হবে। মেয়ে মাত্ররই তো মা হবে, এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। এটা তো আর ৫-১০টা রোগের মতো অসুস্থতা নয়। বাচ্চা হওয়াটা শরীরের একটা অবস্থা মাত্র। এটা কোন রোগ নয়। কাজেই প্রথম থেকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত এই ভাবনা। এজন্যই চিকিত্সকগণ বলেন, মা হওয়ার আগে শারীরিক-মানসিক প্রস্তুতির বিশেষ প্রয়োজন আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারী যখন মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন মা হওয়ার জন্য তখনই তার সন্তানধারণ করা উচিত। তার আগে নয়। কাজেই সন্তান ধারণের আগে একজন মায়ের যেমন প্রস্তুতি আছে, তেমনি পরিবারের আর সবারও আছে। নিচে গর্ভকালীন কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করা হলো। নূন্যতম প্রস্তুতি এবং সচেতনতা থাকলেও এগুলো মোকাবিলা করা তেমন কোন সমস্যা নয়। তবে জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন-
lরক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, খিঁচুনি, পা ফুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত বমি হওয়া, পেটে ব্যথা, বিশেষ করে তলপেটে ও শ্বাসকষ্ট হওয়া।
lপ্রায়ই জবর হওয়া
lডায়াবেটিস ধরা পড়া বা রক্তে সুগার পাওয়া
lপ্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া
lপ্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া
lদিন যাচ্ছে কিন্তু তলপেটের আকার বাড়ছে না
lযোনিপথে রক্ত ক্ষরণ, রক্তস্রাব, দুরগন্ধযুক্ত স্রাব
lজরায়ুর ভিতরে সন্তানে চড়াচড়া অনুভব করতে না পারা।
উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে কোন রকম চিন্তা না করে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
কি কি কারণে গর্ভধারণ
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে
আগেই বলেছি মা হওয়ার জন্য বয়সটা খুব জরুরি।
l১৮ বছর বয়স না হতেই গর্ভধারণ
l৩০ বছরের পর প্রথম সন্তান নেয়া
l৪০ বছরের পর সন্তান ধারণ
lচতুর্থ সন্তানের পর আবারও সন্তান ধারণ
lআগের গর্ভের সময় জটিলতা হওয়া
lঅস্ত্রোপচারের পর নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই আবার গর্ভধারণ করা।
lমেয়েদের উচ্চতা, তুলনামূলক বেঁটে বা খাটো মেয়েদের গর্ভধারণ
lরক্তস্বল্পতা ও যমজ সন্তান ধারণ।
গর্ভাবস্থায় প্রিএক্লামশিয়া
এটি একটি অন্যতম জটিলতা। এক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে প্রোটিন, উপরের পেটে ব্যথা, বমি হওয়া, মাথা ব্যথা ইত্যাদি দৃশ্যত বেশ কিছু জটিলতা এসময় তৈরি হয়। গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার কিছু সমস্যা এবং রক্ত সরবরাহের ঘাটতির কারণে দেখা দেয় এই এক্লামশিয়া। এগুলে া সাধারণত: হয় তখনই যখন আপনি প্রথম বারের মত মা হচ্ছেন, আপনার ওজন বেশি, বয়স ৪০ এর বেশি, আপনার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস অথবা কিডনির সমস্যা আছে। আপনার পরিবারের অন্য কারো এক্লামশিয়া ছিলো অথবা আপনি বহুবার অন্তসত্মা হয়েছেন।
গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা সমস্যা
সাধারণত: এর কোন লক্ষণ দেখা যায় না। একমাত্র স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমেই এটা ডায়াগনসিস করা সম্ভব হয়। তবে যোনিপথে রক্তক্ষরণ হলে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। গর্ভফুল সাধারণত আংশিক বা পুরোপুরি ঢেকে ফেলে জরায়ুর মুখকে। প্রস্রব ব্যথা শুরুর পর জরায়ুর মুখ যখন খুলে যায়, তখন গর্ভফুল ক্রমেই সরে আসতে থাকে গর্ভাশয়ের দেয়াল থেকে। এসময়টা তাদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যারা অধিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন, জরায়ুতে এর আগে অপারেশন করা হয়েছে অথবা আগের সন্তান যদি সিজারিয়ান-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় রিলাক্সিন হরমোন জয়েনগুলোকে অনেকটাই শিথিল করে দেয়। কিন্তু এটা যদি বেশি পরিমাণে হয়, তখন তা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন-কোমরের জয়েন্টের ওপরে ব্যথা, পিউবিক হাড় এবং পিঠের নিচে ব্যথা হতে পারে এ কারণে। গর্ভাবস্থায় যে কোনো সময়ে এটি হতে পারে। তবে প্রথম তিন মাসের পর এটি হতে দেখা যায়।
গর্ভাবস্থায় চুলকানি
অনেকের গর্ভাবস্থায় হাতে-পায়ে চুলকানি হতে পারে। এটা সাধারণত যকৃতের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এটা যে কারও হতে পারে। তবে পরিবারের মা বা বোনের এরকম ইতিহাস থাকলে এটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন
এটি একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। নির্দিষ্ট অনুপাতে ওজন না বাড়া হচ্ছে সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হওয়া বা মায়ের সঠিক পুষ্টির অভাব। এর মানে মাকে প্রয়োজনীয় খাবারগুলো সুষম খাবার খাওয়া একান্ত আবশ্যক। একজন নারীর স্বাভাবিক অবস্থায় যে পরিমাণ সুষম খাবার প্রয়োজন, সেই তিনিই যখন সন্তান ধারণ করেন তখন তার চাহিদা আরও বেড়ে যায়। প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রেই খাবারটা খুবই জরুরি। গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত খাবার প্রয়োজন হয় প্রধানত: দুটি কারণে। এক-নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, অর্থ্যাত্ আসন্ন সন্তান প্রসবের জন্য নিজেকে তৈরি করতে। দুই-গর্ভস্থ ভ্রুণের গঠন ও বৃদ্ধি ঠিক রাখতে। মা যদি খাবার কম খান তাহলে সন্তানের ওজনও বাড়বে না, প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে। শেষ পর্যন্ত একটি অপরিণত শিশুর জন্ম হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যেকোন জটিলতা এড়াতে নিয়মিত চিকিত্সকের কাছে
যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। যেকোন কিছুই হোক না কেন, তা চেক-আপে ধরা পড়বেই। আর তাহলে
চিকিত্সাও সম্ভব হবে। আর রোগীর মনকেও অনেকখানি প্রশান্তি
দেওয়া সম্ভব হবে। সুতরাং একটি সুস্থ-সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে
মায়েদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার
কোন বিকল্প নেই। ¡
ক্যানসার-অ্যাজমা রুগীদের ক্ষেত্রে জিরার উপকারিতা
জিরা, ব্যবহৃত হয় রান্নাতে। খাবারকে সুস্বাদু করতে এর ব্যবহার করে থাকেন রাঁধুনীরা। তবেখাবার পাত থেকে মুখে পড়লে বিশেষ একটা ভাল লাগে না বরং বিরক্তই আসে।
কিন্তু জিরার উপকারিতার কথা শুনে সমস্ত বিরক্তি কেটে গিয়ে একগাল হাসি চিকিৎসকদের মুখে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে জিরা এমনই একটা বীজ যা ক্যানসারের মত মারণাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ওষুধ।
শুধু তাই নয়, যাদের অ্যাজমা এবং বদহজমের ব্যামো আছে তাঁদের জন্যে জিরা কার্যকারি ওষুধ।
প্রতিনিয়ত জিরা সেবন
১. এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিন জিরা, একটু পরেই সেই জল পান করুন, বাড়বে আপনার হজমশক্তি।
২. জিরা শরীরে আয়রন তৈরি করে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এর উপযোগিতা সর্বাধিক।
৩. অ্যাজমা রুগীদের ক্ষেত্রে জিরা খুব কার্যকারি উপাদান।
৪. নিজের ত্বককে আরো মসৃণ ও সতেজ রাখতে গরম জলে জিরা ফেলে তা ব্যবহার করুন।
ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ
এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ অসুখ হয়। ব্যাকটেরিয়ার নাম বারটোনেলা। বিড়াল কামড় দিলে বা আঁচড়ালে রোগটি হয়। এ রোগে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: ১। বিড়াল কামড়ানো বা আঁচড়ানোর স্খান ফুলে যাওয়া। ২। ক্লান্তি ৩। জ্বর ৮। মাথাব্যাথা ৫। বমিভাব, বমি ৬। লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া। যেখানে আক্রান্ত হয় তার আশেপাশের লিম্ফলোড ফুলে যায়। ৭। অস্বস্তি ৮। ক্ষুধামন্দা ৯। গলাব্যাথা ১০। ওজন শুকিয়ে যাওয়া ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ খুব পরিচিত নয়। তবে যদি বিড়াল কামড়ানোর ইতিহাস থাকে এবং সাথে লিম্ফনোড বড় পাওয়া যায় তখন এ রোগের কথা মনে আসে। অনেক সময় লিম্ফলোড থেকে ফিস্টুলা তৈরি হয়। যেদিক থেকে তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়। স্পøীন বা প্লীহা বড় হয়ে যায়। এছাড়া রক্ত পরীক্ষা এবং লিম্ফ নোড বায়োপসি করে রোগটি নিশ্চিতভাবে ধরা যায়। এ রোগ খুব মারাত্মক নয়। অনেকক্ষেত্রে কোন চিকিৎসাই লাগে না। তবে আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত এন্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিনএ রোগে কাজ করে। ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, রিফপাপিসিন, সিপ্রোপ্লক্সাসিন ইত্যাদি এন্টিবায়োটিকও এ রোগে কাজ করে। যাদের এইডস আছে তাদের ক্ষেত্রে এ রোগ আবার মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তখন এন্টিবায়োটিক অবশ্যই দিতে হয়। এ রোগের কিছু জটিলতা আছে। তবে সবসময় যে জটিলতা হবে তা নয়। এ রোগ থেকে এনকেফালোপ্যাথি, নিউরোরেটিনাইটিস, অস্টিও মাইলাটিস হতে পারে। বাংলাদেশে অনেকেই বিড়াল পোষে। যেহেতু বিড়াল কামড়ালে বা আঁচড়ালে রোগটি হতে পারে তাই সবারই এ বিষয়ে জানতে হবে। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে বিড়াল আছে তাদের।
ডা. মো.ফজলুল কবির পাভেল
বয়স বাড়লেও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখুন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বুদ্ধিমত্তা, বোঝার ক্ষমতা কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, এটাই যেন স্বাভাবিক। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বাড়লেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার প্রবণতা রোধ করা যায় নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস। নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সার্বিক কার্যক্ষমতা অটুট রাখা যায় বলে জানিয়েছেন জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এতে উঠে এসেছে বয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অবনমন প্রতিহত করে শারীরিক অনুশীলন। শারীরিক অনুশীলনের ফলে এসআইআরটিথ্রি নামে একটি এনজাইম বৃদ্ধি পায়। ইুঁদুরের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, এটি মস্তিষ্কের সেলগুলোর ‘উদ্যম হারানো’ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। গবেষকদলের প্রধান ছিলেন মার্ক ম্যাটসন। তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এজিং ও জনস হপকিনস স্কুল অব মেডিসিনের গবেষক। তিনি নতুন একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন, যা মস্তিষ্কের নিউরনের উদ্যম হারানো সম্পর্কিত মানসিক চাপ ও তা নিরাময়ের উপায় নিয়ে গবেষণায় কাজে লাগছে। গবেষকদলটি দেখতে পায়, উচ্চমাত্রায় মানসিক চাপের সময় এসআইআরটিথ্রি নামে এনজাইমটি উৎপাদন করে না। তবে হুইলের ওপর দৌড়ানোর মতো শারীরিক পরিশ্রমের ফলে এ অচলাবস্থা কেটে যায় এবং এনজাইমটি উৎপাদন শুরু হয়। ম্যটসন এ বিষয়ে বলেন, ‘রানিং হুইল অনুশীলন স্বাভাবিকভাবে নিউরনে এসআইআরটিথ্রি নামে এনজাইম বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমায় এবং মস্তিষ্কের অবনমন প্রতিহত করে।’ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্ষয় হয়ে যায়। এতে স্মৃতিশক্তি বিধ্বংসী অ্যালঝেইমার্সসহ নানা রোগ সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কও স্বাভাবিকভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে। কিন্তু সেল মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা বলছেন, শারীরিক অনুশীলন এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে অনেক বয়স পর্যন্ত মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
ম্যালেরিয়া ঠেকাবে মশা!
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী যে মশা, এবার সেই পতঙ্গটিকে এই রোগ ঠেকানোর কাজে লাগাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) মশা উদ্ভাবন করেছেন যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণাগারে যে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে তা মাঠপর্যায়ে কাজে আসলে মশার কামড়ে মানবদেহে ম্যালেরিয়ার পরজীবী ছড়িয়ে পড়া বন্ধে এটি হবে এক নতুন উপায়। জিন এডিটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা মশার ডিএনএ-তে একটি নতুন ধরনের জিনের প্রবেশ ঘটিয়েছেন। এই নতুন জিএম মশা অন্য মশার সঙ্গে বংশবিস্তার করলে তখন ওই মশাগুলোও একই ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জন্মাবে। ফলে এসব মশা মানুষকে কামড়ালেও ম্যালেরিয়ার পরজীবী মানবদেহে ছড়াবে না।
সারাবিশ্বে তিনশ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দাবি, জেনেটিক্যালি মডিফাইড মশারা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
এই মশাদের পরবর্তী তিন প্রজন্মের মধ্যে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বিরাজ করবে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা। মশার অন্যান্য প্রজাতির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজ করবে বলে আশা করছেন তারা। সূত্র: বিবিসি
Having a Healthy Diet
## Drink more water. Adult humans should drink 2-3 liters (or roughly eight 8oz glasses) of water per day. That is in addition to things like tea and coffee. Water keeps bodies at the correct temperature and removes toxins that are the inevitable result of metabolism and industrial life. You'll be healthier automatically.
- Water also clears your skin, helps your kidneys, helps to control your appetite, and keeps you energized. If being healthier, more wakeful, and having better skin isn't motivation, what is?
- It also keeps you from drinking unhealthy beverages like soda and juice, which are high in calories. The body barely registers the intake of these unhealthy drinks and yet you still feel thirsty hundreds of calories later. If you need the taste, splash some lemon, lime, or 100% juice into your water. However, be sure that you eat plenty of calcium-rich foods, such as broccoli, to support healthy bones as you grow older.
## Eat breakfast. A light, healthy breakfast is sufficient enough to reap the benefits of eating early. If it's comprised of lean protein and whole grains, then it will keep you from gorging at lunch. Research shows that breakfast-skippers actually eat more! So, to curb your appetite, don't skip the first meal of the day.
- Instead of two chocolate doughnuts and a coffee that's more cream than anything else, opt for eggs, fruit, and for a beverage, skimmed milk, fresh orange juice, or tea. The healthier your breakfast is, the more energized you'll feel throughout the day and the more you won't need to eat later in the day.
## Eat well throughout the day. If half of your plate is vegetables and fruit, you're on the right track. Add in lean protein, low-fat dairy, and whole grains. Once a steady eating pattern has been established, your body will feel more comfortable. There may be a period of time when your body is wondering where the sugary foods went, but once you're over the hump, you'll feel better than ever.
- Remember that not all fats are bad for you. Good fats can be found in oily fish like salmon and tuna, avocados, nuts, and olive oil. These are essential to a well-balanced diet. Read How to Eat Healthy for more tips.
## Eat at the right times. A good time for a healthy, easy-to-digest evening meal is between 17:00 and 20:00; it's best to avoid late night snacks because they fill you with unnecessary calories and can disrupt your sleep. If you do need that midnight snack, stick to unsalted nuts, seeds, fruits, and veggies.
- Snacking isn't bad for you if you do it right. In fact, eating "constantly" can keep you from feeling deprived and going for that third piece of cheesecake when the cart rolls around. Just make sure it's all in moderation.
## Go meatless. In case you haven't noticed, meat hasn't played much of a role in what we've talked about so far. Being vegetarian is a good way to reduce your calorie intake and get loads of vitamins and minerals, but that being said, it can be done wrong. While it's not the best idea to go fully vegetarian, most people do eat far too much meat. A good idea is to change the amount and types of meat you eat: swap pork chops for lean chicken; steak for tuna.
- A high-fiber diet is easily had without meat. Fiber has been shown to lower your cholesterol, control your blood-sugar levels, improve your bowel health, and make you less likely to overeat. The recommended fiber intake is 30g a day for men and 21g for women; after the age of 50, this jumps up to 38g for men and 25g for women. Some good sources of fiber include fruits and vegetables (with the skin), whole grains, and legumes.
## Read the labels. Processed foods get a bad rap, and often for good reason. However, you've got to choose your battles. That frozen bag of broccoli isn't nearly as bad as that boxed mac and cheese. In short, avoid processed foods when you can — but if you can't, read the labels and watch for added bad stuff: salt, sugar, and fat.
- Food that stays on the shelves often has added sodium, words that end in -ose, and trans and saturated fats in the ingredient list. If you see these on the label (especially if they're in high amounts), avoid them. You can find a healthier alternative elsewhere. It's not worth it.
- Just because it says it has no trans fat doesn't actually mean it has no trans fat. Negligible amounts can be legally ignored — so if you see hydrogenated vegetable oil on the list, you've found one of the masked culprits.
No comments:
Post a Comment