হার্টের সমস্যা রক্তের ভাসমান চর্বি থেকে
রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ে কথা হলেই সবাই প্রথমে মাথায় আনেন ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল অথবা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল। তবে যুক্তরাষ্টের হিউস্টনের বেলর কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড: পিটার এইচ জোনস এমডি এর অভিমত: হার্ট ভালো রাখতে হলে রক্তের ট্রাইগিসারাইড অবশ্যই ১৫০ অথবা এর নীচে রাখা দরকার। অনেক ক্ষেত্রে রক্তের এই ভাসমান চর্বি হার্টের রক্তনালীতে জমা হয়ে হার্টের সমস্যা করতে পারে। এমনকি অনেক বিশেষজ্ঞও মনে করেন ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল ঠিক থাকা এবং খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল কম থাকলেই চলে।
হার্ট ডিজিজ ও ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে রক্তে ভাসমান চর্বি হিসাবে পরিচিত ট্রাইগিসারাইড বেশী ঝুঁকির্পূণ। তাই রক্তের ট্রাইগিসারাইড ১৫০ মাত্রার নীচে নামিয়ে রাখতে হবে। কোন প্রকার ওষুধ ছাড়াই রক্তের এই ক্ষতিকর ট্রাইগিসারাইড ৩০ থেকে ৫০ শতাংশে হ্রাস করতে পারেন। আর এটা সম্ভব যদি আপনি আপনার খাবারের তালিকা থেকে স্যাসুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি যেমন: গরুর মাংস, লালমাংস, মাখন, নারিকেল তেল, সয়াবিন তেল, কালো চকলেট, ডিম, চিপস ইত্যাদি বাদ দেন অথবা এ ধরণের চর্বি খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেন। পাশাপাশি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে পারেন। এতে আপনার হ্নদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ ভাগ কমেযাবে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করলেও রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিশ্বে ৫০ লক্ষেরও বেশি মহিলা আক্রান্ত হবেন ক্যানসারে , ১৪ বছরের মধ্যেই , বলছে সমীক্ষা
সারা বিশ্বে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ক্যানসার। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে অনেক বেশি। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে ৫০ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হবেন।
বাড়তে থাকা জনসংখ্যাকেই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মহিলারাই ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হবেন বলে মনে করছেন তারা। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসি়ডেন্ট অব গ্লোবাল হেলথ স্যালি কোওয়াল জানাচ্ছেন, অল্পবসী ও মাঝবয়সী মহিলারা ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার ফলে ক্রমশই আর্থিক সঙ্গতি হারাচ্ছে তাঁদের পরিবার। কম উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসারের চিকিত্সার অব্যবস্থা ও খরচের ছবিটাও উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রতি সাত জন মহিলার মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় ক্যানসারে। তবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ চার ক্যানসার স্তন, কোল্যাটারাল, ফুসফুস ও সার্ভিকাল ক্যানসারের সব ক’টাই রোখা যায়, এবং প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়লে সফল চিকিত্সাও সম্ভব। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসারে শনাক্তকরণ ও চিকিত্সা হলেও, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ক্যানসারের যথাযথ চিকিত্সা না হওয়ার কারণে মৃত্যু অনেক বেশি হয়। এই সব দেশের মহিলাদেরও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, ওজন, সন্তানধারণ, বেশি বয়সে সন্তানধারণের কারণে এই ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে।
দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ক্যানসার ইন উইমেন শিরোনামে এই রিপোর্ট প্যারিসের ওয়ার্ল্ড ক্যানসার কংগ্রেসে প্রকাশিত হয়েছে।
১) প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
২) মাঝে মাঝে গোলাপ পানিতে চোখ ধোয়ার অভ্যাস করুন।
৩) আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ক্লান্তি কাটবে। চোখের তলায় কালি থাকলে দূর হবে।
৪) বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করুন।
৫) যখন তখন চোখে হাত দিবেন না ও অযথা চোখ ঘষবেন না। ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘষা ঘষিতে চোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।
৬) মুলতানি মাটি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দইয়ের সাথে মিশিয়ে চোখের নিচে লাগালে উপকার পাবেন।
৭) তুলসি পাতাবাটা ও চন্দনবাটা গোলাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।
৮) ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের পক্ষে আরামদায়ক।
৯) ভিটামিন এ এবং ডি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে, ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
১০) আধাঘন্টা নিয়মিত স্কিপিং, জগিং, সাঁতার, হাঁটা, দৌড়ানো যেকোন ধরনের ব্যায়াম করা খুবই ভালো।
১১) সাজগোজের সময় ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করা উচিত।
OVERVIEW INFORMATION VITAMIN B12
Vitamin B12 is a vitamin. It can be found in foods such as meat, fish, and dairy products. It can also be made in a laboratory.
Vitamin B12 is used for treating and preventing vitamin B12 deficiency, a condition in which vitamin B12 levels in the blood are too low. It is also used to treat perniciousanemia, a serious type of anemia that is due to vitamin B12 deficiency and is found mostly in older people. For this purpose, people use either a supplement that is taken by mouth or a gel that is applied inside the nose.
Vitamin B12 is also used for memory loss; Alzheimer’s disease; boosting mood, energy, concentration and the immune system; and slowing aging. It is also used forheart disease, lowering high homocysteine levels (which may contribute to heartdisease), male infertility, diabetes, sleep disorders, depression, mental disorders, weak bones (osteoporosis), swollen tendons, AIDS, inflammatory bowel disease,asthma, allergies, a skin disease called vitiligo, preventing cervical and other cancers, and skin infections.
Some people use vitamin B12 for amyotrophic lateral sclerosis (Lou Gehrig’s disease), multiple sclerosis, preventing the eye disease age-related macular degeneration (AMD), Lyme disease and gum disease. It is also used for ringing in the ears, bleeding, liver and kidney disease, and for protection against the poisons and allergens in tobacco smoke.
Vitamin B12 is applied to the skin either alone or in combination with avocado oil forpsoriasis and eczema.
Vitamin B12 is frequently used in combination with other B vitamins in various vitamin B complex products.
Vitamin B12 is used for treating and preventing vitamin B12 deficiency, a condition in which vitamin B12 levels in the blood are too low. It is also used to treat perniciousanemia, a serious type of anemia that is due to vitamin B12 deficiency and is found mostly in older people. For this purpose, people use either a supplement that is taken by mouth or a gel that is applied inside the nose.
Vitamin B12 is also used for memory loss; Alzheimer’s disease; boosting mood, energy, concentration and the immune system; and slowing aging. It is also used forheart disease, lowering high homocysteine levels (which may contribute to heartdisease), male infertility, diabetes, sleep disorders, depression, mental disorders, weak bones (osteoporosis), swollen tendons, AIDS, inflammatory bowel disease,asthma, allergies, a skin disease called vitiligo, preventing cervical and other cancers, and skin infections.
Some people use vitamin B12 for amyotrophic lateral sclerosis (Lou Gehrig’s disease), multiple sclerosis, preventing the eye disease age-related macular degeneration (AMD), Lyme disease and gum disease. It is also used for ringing in the ears, bleeding, liver and kidney disease, and for protection against the poisons and allergens in tobacco smoke.
Vitamin B12 is applied to the skin either alone or in combination with avocado oil forpsoriasis and eczema.
Vitamin B12 is frequently used in combination with other B vitamins in various vitamin B complex products.
How does it work?
Vitamin B12 is required for the proper function and development of the brain, nerves, blood cells, and many other parts of the body.
Papaya reduce fat
গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে শরীরের বাড়তি চর্বি কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এটি আমাদের শরীরের প্রোটিন হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এই এনজাইম ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এ কারণে কাঁচা পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াটাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। অন্যদিকে, পাকা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি। পাকা পেঁপেতে থাকা এসব ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, দাঁত, চুল ও ত্বকের জন্য সুফল বয়ে আনে। বুড়িয়ে যাওয়াকে দূরে ঠেলে দেয়ার মতো উপাদান রয়েছে পেঁপেতে। তাই ত্বকের ওপরেও কাজ করে এই ফল। এতে কোনো খারাপ কোলেস্টেরল ও চর্বি বা ফ্যাট নেই। অতিরিক্ত মোটা মানুষ নিশ্চিন্তে পেঁপে খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মিষ্টি পেঁপে না খাওয়ায় ভালো। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গরু, খাসি বা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, মাংসের আমিষ ভালোভাবে রক্তের সঙ্গে মেশে এবং মাংসের চর্বির ক্ষতিকর দিকটা কমে আসে।
শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
- এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন ঠোঁটে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত চারবার মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর চেষ্টা করুন। এতে ঠোঁট ফাটবে না আর ঠোঁট থাকবে নরম ও পেলব।
- গ্রিন টি ব্যাগ খুব ভালো ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। ব্যবহৃত টি ব্যাগ ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন। চার মিনিট রাখুন। দিনে একবার করে করলেই হবে।
- নিয়মিত লেবুর রস লাগালে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন। ঠোঁটের কালো ছোপ কমে যাবে।
- এক চা চামচ দুধের সর ও তিন ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিশ্রণটা লাগিয়ে নিন। ভালো ফল পাবেন।
- অ্যালোভেরা জেল অর্থাৎ ঘৃতকুমারির রস ঠোঁটে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
- শসার রস ১৫-২০ মিনিট ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন | দিনে যতবার খুশি শশার রস লাগাতে পারেন |
Roshogollas Benefits
মিষ্টির একটি জনপ্রিয় প্রকারভেদ হচ্ছে রসগোল্লা। এটি খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিনই হবে।
খেতে ভালো লাগে বলেই হয়তো আমরা এটি খেতে ভালোবাসি।
তবে রসগোল্লার যে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত গুণ রয়েছে তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। নিচে রসগোল্লার তেমনই ১০টি গুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
দাঁত ও হাড়ের যত্নে : রসগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হওয়ায় রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে। হাড় বা দাঁতের ক্ষত রোধ করতে পারে রসগোল্লা। অস্টিওপরেসিস বা গাঁটের ব্যথাতেও উপকারী গরম রসগোল্লা।
ইনস্ট্যান্ট শক্তি সরবরাহ করে : দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালোরি মিটিয়ে ইন্সট্যান্ট এনার্জি জোগাতে পারে
রসগোল্লা। সারা দিনের খাটুনির পর বা ওয়ার্কআউটের পর গরম রসগোল্লা খান।
যন্ত্রণা উপশম : ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড গাঁট ও বাতের
ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখে।
দাঁতের ক্যাভিটি : রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকায় দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত
থেকে রক্ষা পায়। ভিটামিন ডি ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে।
ওজন : রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে হজম ভালো হয়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ক্যানসার : উচ্চমাত্রায় ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকার কারণে পেট, ব্রেস্ট, প্রস্টেট বা
কোলন ক্যান্সার রুখতে পারে রসগোল্লা।
হৃদযন্ত্রের যত্ন : ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
ইউরিনারি : রসগোল্লা ইউরিনারি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। ফলে কিনডিতে
সহজে পাথর হয় না।
রোগ প্রতিরোধ : রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা ধরে রাখে। সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থমা সারাতে উপকারী রসগোল্লা।
শিশুদের জন্যও উপকারি : রসগোল্লা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশুদের প্রয়োজনীয়
পুষ্টি জুগিয়ে শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে গরম রসগোল্লা।
Tongue disease
লেখক: মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
রসুনের গুণ
সকালে খালি পেটে রসুন খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সঙ্গে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয় না। খালি পেটে রসুন খেলে রসুনের কার্যকারিতা আরো বেড়ে যায়, এটি পরিণত হয় একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকে।
গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল দূর করে। স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে পেটের গণ্ডগোলজনিত অসুখ, যেমন ডায়রিয়া হলে খালি পেটে রসুন দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতেও সহায়তা করে। যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তারা এড়িয়ে চলুন। খালি পেটে রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালে, নাশতা করার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন দুই কোয়া রসুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট7 steps to keep acidity
নানা উৎসবে সুযোগ পেলেই অনেকে বাড়তি খাবার খেয়ে এসিডিটি বাধিয়ে ফেলেন। এছাড়া অনেকে স্বাভাবিক খাবারের পরেও নানা কারণে এসিডিটিতে আক্রান্ত হন। এ লেখায় থাকছে এসিড সমস্যা সমাধানের সাতটি উপায়।
১. ছোট ছোট টুকরো খান খাবারের বড় টুকরো নয় বরং ছোট ছোট টুকরো খান। এছাড়া খাওয়ার সময় তা ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে ভুলবেন না। ছোট টুকরোর খাবার খাওয়া হলে খাবারের পরিমাণও কমানো সম্ভব। এতে এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা সহজ হবে।
২. ট্রিগার জেনে রাখুন অনেকেরই কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবারের মাধ্যমে এসিডিটি শুরু হয়। আপনার ঠিক কোন খাবারটিতে এসিডিটি হয় তা জেনে রাখুন। অনেকেরই কোনো মসলাদার খাবার, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন ইত্যাদিতে এসিডিটি শুরু হয়। সে খাবারটি এড়িয়ে চললেই এসিডিটি এড়িয়ে চলা সহজ হবে।
৩. পানীয় থেকে সাবধান অনেকেরই সোডা, ফিজি ড্রিংক্স ও অ্যালকোহলে এসিডিটি হতে পারে। তাই প্রয়োজনে এসব পানীয় বাদ দিন। প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এছাড়া কমলা বা লেবুজাতীয় নয় এমন জুস পান করতে পারেন।
৪. খাবারের শেষে ক্যাফেইন নয় খাবারের শেষে চা-কফি কিংবা অনুরূপ ক্যাফেইন পান করবেন না। ক্যাফেইন পেটে অ্যাসিডিটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ তালিকায় রয়েছে কোমল পানীয় ও চকলেটও।
৫. অ্যান্টাসিড সঙ্গে রাখুন বাড়তি অ্যাসিডিটি সমস্যায় অসুস্থ হয়ে যাওয়া রোধ করতে অ্যান্টাসিড সঙ্গে রাখুন। এটি বিপদের সময় কাজে লাগতে পারে।
৬. খাওয়ার পর ঘুম নয় খাওয়ার পর যদি আপনি শুয়ে ঘুমান তাহলে তা পেটে এসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে। মূলত শুয়ে থাকলেই এসিডের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই খাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর ঘুমাতে যান।
৭. একটু হাঁটুন খাওয়ার আগে ও পরে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এছাড়া পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসে হাঁটলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমন পেটের খাবারও হজমে সহায়ক। আর এতে এসিডিটি সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মুখের আলসার নিয়ে বিভ্রান্তি
মুখের ভেতরে সৃষ্ট আলসারগুলোর মধ্যে অ্যাপথাস বেশি দেখা যায়। তবে সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে মুখে ঘা হতে পারে। মাঝে মধ্যে এ দুটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট ঘা দেখতে অনেকটা অ্যাপথাস আলসারের মতো। ব্যতিক্রম হলো, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট আলসারে যখন কিনারার কাছে পচন ধরে, তখন এটি লাল রঙের হয় না। অ্যাপথাস আলসার সাদা অথবা হলুদ ডিম্বাকৃতির হয়। চারপাশে প্রদাহযুক্ত লাল বর্ডার লাইন দেখা যায়। লাল বাউন্ডারির মধ্যে ধূসর, সাদা বা হলুদ এলাকা হয় ফিব্রিন গঠনের কারণে। ফিব্রিন একটি প্রোটিন। তা রক্ত জমাটবাঁধার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সাইটোমেগালো ভাইরাস নির্ণয় করতে হলে বায়োপসি প্রয়োজন। মুখে আলসার বা ক্ষত দেখা দিলে তা অবশ্যই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে যথার্থ চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। না হলে মাসের পর মাস রোগী যন্ত্রণা অনুভব করবেন।
ঠোঁটের প্রাথমিক যত্ন
দাঁতের গঠন ঠিক রাখতে হলে ঠোঁটেরও যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের যত্নে যা করতে হবে তা হলো- (ক) প্রথমেই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। (খ) তামাকজাতীয় কোনো পদার্থ সেবন করা যাবে না। (গ) ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিপজেল বা বাম ব্যবহার করতে হবে। (ঘ) লিপ লিকিং এর বদ অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। (ঙ) যেসব লিপ বামে অ্যালোভেরা থাকে সেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অ্যালোভেরাতে প্রদাহবিনাশকারী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান রয়েছে। লিপ ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। (চ) গ্লিসারিন প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে নরম রাখে। (ছ) ভিটামিন ‘ই’- ভিটামিন ‘ই’ এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট। (জ) নারকেল তেল-নারকেল তেলও লিপ বাম হিসাবে কাজ করে থাকে। নারকেল তেলকে মধুর সাথে মিশিয়ে ফাটা এবং শুষ্ক ঠোঁটের উপর প্রযোগ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। (ঝ) ঠোঁট কামড়ানোর বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। (ঞ) অতিরিক্ত চা-কফি পান পরিহার করতে হবে। (ট) সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। (ঠ) পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে।
মানসিক চাপে বাড়ে ওজন
সুস্থ দেহের সাথে যেমন সুস্থ মনের যোগাযোগ আছে ঠিক তেমনি মনের অসুখের সাথেও যোগ রয়েছে দেহযন্ত্রের। এ বাস্তবতায় আমাদের অনেকের মাঝেই যে ধারণাটি প্রচলিত সেটি হলো, মনের কোনো ব্যামো হলে বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে সেটি পক্ষান্তরে আমাদের স্বাস্থ্যকেও বাহ্যিকভাবে খারাপ করে দেয় এবং এ অবস্থায় তাদেরকে হয়তো তুলনামূলক বেশি রোগা দেখায়।
যদিও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ বিষয়ক যে গবেষণাটি করেছেন তাতে এর উল্টোটাই দাবি করা হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়কে এই গবেষণা জরিপে অন্তর্ভূক্ত করা না হলেও মেয়েদের ওপর পরিচালিত জরিপ এবং সংগৃহিত তথ্য ও উপাত্তের বিশ্লেষণ থেকেই এমনটা দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, সাধারণত যেসব নারী স্থায়ী কিংবা ক্ষণস্থায়ী কোনো স্নায়বিক চাপে ভোগেন তাদের মাঝে ওজন হূাসের চাইতে বরং ওজন বৃদ্ধির প্রবণতাই বেশি।
বিশেষ করে অন্য সময়ের তুলনায় মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় নারীদের শরীরে চর্বিযুক্ত খাবারের প্রভাব বেশি পড়ে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, মানসিক কোনো অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এমন কোনো নারী যদি মাত্র এক বেলাও চর্বিযুক্ত কোনো খাবার খান তাহলে বছরে তাদের ওজন পাঁচ কেজি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলেন, যেসব নারী নানা ধরনের মানসিক চাপে ভোগেন তারা মানসিক অস্থিরতার সময়টিতে সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে খাদ্যের পরিপাক চালিয়ে যেতে পারেন না এবং এ সময় তাদের খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ার গতিও তুলনামূলক ধীর হয়ে পড়ে।
শুধু তাই নয়, গড়পরতা ৫৩ বছর বয়সী ৫৮ জন নারীর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায় এ ধরনের মানসিক অবস্থায় নারীদের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণও কিছুটা বেড়ে যায়। তবে বর্ধিত এই খাদ্য গ্রহণের বিপরীতে তাদের ক্যালরী কম খরচ হয়। আর এভাবেই মানসিক চাপের সময়ে ক্রমে ক্রমে বাড়তি মেদ জমা হতে থাকে শরীরে।
No comments:
Post a Comment