Monday, October 31, 2016

নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি

  





১. শরীর চর্চা করুন : আমরা শরীরের আকৃতি ঠিক করতে, ওজন কমাতে, শরীরের উন্নয়ন ইত্যাদির জন্য শরীর চর্চা করি, তাহলে নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে এটিকে কেন কাজে লাগাব না?
আপনার জিভকে যতখানি পারেন বের করুন এবং কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করুন, আবার করুন। এবার জিভ বের করে আপনার নাক স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। ধরে রাখুন এবং আবার করুন। এরপর জিভ বের করে থুতনি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন এবং আবার করুন। প্রতিদিন এই তিনটি কৌশলের প্রতিটি ১২ বার করে চর্চা করুন।
আরেকটি ব্যায়াম হচ্ছে দম ফাটানোর হাসির চর্চা আপনার পক্ষে যতখানি জোরে সম্ভব হাসুন এবং কয়েক সেকেন্ড হাসতে থাকুন। এভাবে দশ বার হাসুন। সারা দিনের মধ্যে কয়েকবারই এটি চর্চা করুন। তবে অবশ্যই একাকী হাসবেন।
আর নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে আরও একটি দারুণ ব্যায়াম রয়েছে। সোজা হয়ে চেয়ারে বসুন আপনার নিচের চোয়ালে উপরের থেকে যতখানি সম্ভব বাইরের দিকে ঠেলে ধরুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড থাকুন, এরপর চোয়ালে স্বাভাবিক অবস্থানে নিয়ে আসুন প্রতিদিন এভাবে ১০/১২ বার চর্চা করুন।
২. ওজন কমান : নাক ডাকা বন্ধ করার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পথ হচ্ছে ওজন কমানো। আপনি হয়ত অবাক হবেন। কিন্তু ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে নাক ডাকাও................. বিস্তারিত

Sunday, October 30, 2016

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওষুধ ছাড়াই






উচ্চ রক্তচাপ আমাদের অনেকেরই সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ থেকে শরীরে আনুসঙ্গিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা। কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকিও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অনেককে ওষুধও খেতে হয়। তবে রোজ যদি নিয়ম করে আমরা কিছু খাবার খাই, তাহলে কোনো ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপ।

রসুন: রোজকার খাবারে রসুন রাখুন। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে রসুন ওষুধের মতো কাজ করে। ফলে  ,...বিস্তারিত

Friday, October 28, 2016

প্রথম জিকা রোগীর সন্ধান "মিয়ানমারে"



মিয়ানমারে প্রথমবারের মত এক গর্ভবতী বিদেশি নারীর শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।  রাষ্ট্র চালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, গতকাল ডাক্তারি পরীক্ষার পর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে যে ৩২ বছর বয়সী ওই বিদেশি নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি দেশের বৃহত্তম নগরী ইয়াঙ্গুনে ছিলেন।
 
স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম বারের মত জিকা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। তবে ওই নারী পর্যটক কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
 
জিকা রোগের উপসর্গ হল-প্রচন্ড জ্বর, চোখ লাল হওয়া ও ফুসকুড়ি ওঠা। গর্ভবতী নারীরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুর মাথা ছোট ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মশা এ রোগের জীবাণু বহন করে।
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও’র এক প্রতিবেদনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জিকার সম্ভাব্য বিস্তারের ব্যাপারে সতর্কবাণী করেছে।
 
এতে বলা হয়েছে, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলোতে এ রোগ ব্যাপকভারে বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। 

Thursday, October 27, 2016

স্মৃতিশক্তি ও ডায়াবেটিস সমস্যা


সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় ডায়াবেটিসের জটিলতা মগজ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, বৃদ্ধিবৃধির অধোগতি ঘটে-এর স্বপক্ষে বেশ তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা গেছে।

তথ্য সংগ্রহ করা গেছে ১০ বছর পরীক্ষা করে বয়স্ক স্ত্রী-পুরুষ যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস। যে ধরণের ডায়াবেটিস স্থূলতা ও দৈহিক নিষ্কিয়তার সঙ্গে যুক্ত-এদের বুদ্ধিবৃত্তি বেশ কমেছে অন্তত: সমবয়সী অন্যদের তুলনায়। ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা যত দুর্বল, মানসিক অধোগতি হয়েছে তত বেশি। আর ডায়াবেটিস অনেক অগ্রসর  এমন ক্ষেত্রেই যে কেবল এরকম অধোগতি তাই নয়। গবেষকরা দেখেছেন, গবেষণার শুরুতে যাদের ডায়াবেটিস ছিলো না, এদেরও যখন পরে কালক্রমে ডায়াবেটিস হলো, এদেরও মানসিক অধোগতি, যাদের ডায়াবেটিস নেই এদের চেয়ে

অনেক বেশি হলো।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষয় বেশ জোরালো, বলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা: ক্রিস্টিনি জ্যাকে। কার্যকারণ সম্পর্কটি আরো পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার বিষয় হলেও ‘ডায়াবেটিস ও মগজের স্বাস্থ্য’ বিষয়টি দৃঢ় প্রতিপন্ন হলো সাধারণ জনগোষ্ঠির উপর এর প্রভাব বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আমেরিকাতে ৬৫ উর্দ্ধ একতৃতীয়াংশ মানুষের রয়েছে ডায়াবেটিস, মানে ১১ মিলিয়ন লোকের রয়েছে ডায়াবেটিস। ২০৩৪ সালের মধ্যে তা হয়ে দাঁড়াবে ১৫ মিলিয়ন। আগের গবেষণা থেকে দেখা গেছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে শেষ বয়সে আলঝাইমার রোগ ও চিত্তভ্রংশ রোগ হবার সম্ভাবনা ও ঝুঁকি খুব বেশি। তবে কার্যকারণ সম্পর্ক স্পষ্ট জানা নেই। অনেকের ধারণা, অনেক বছর ধরে ক্রনিক রক্ত সুগার মান বেড়ে থাকলে যে রক্তনালীর ক্ষতি ও প্রদাহ ঘটে, এই ব্যাপারটি দায়ী। নতুন এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল আর্কাইভস অব নিউরোলজিতে। আমেরিকার পিটসবার্গ ও টেনিসিতে বসবাসরত ৩০৬৯ জন লোক, যারা অধিকাংশ ৭০ উর্দ্ধ এরকম শ্বেতকায় ও কৃষ্ণকায় লোকদের উপর দীর্ঘ সময় গবেষণা করলেন ডা: জ্যাকে। গবেষণা যখন শুরু হলো তখন ২৩% শতাংশ

লোকের ছিলো ডায়াবেটিস এবং ৫ শতাংশ লোক শুরুতে ডায়াবেটি মুক্ত ছিলেন পরে তাদের ডায়াবেটিস হয়। অধিকাংশরই ছিলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। গবেষণায় কালক্রমে এদেরকে বারবার বুদ্ধিবৃত্তি পরীক্ষার মুখোমুখি করা হলো স্মরণশক্তি, সমন্বয় শক্তি, মনোযোগের ক্ষমতা, হাতের কাজের দক্ষতা এমনকি সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যও পরখ করা হলো। গবেষণার শুরুতে যাদের ইতিমধ্যে ডায়াবেটিস ছিলো, তাদের সঙ্গে যাদের ছিলোনা তাদের মধ্যে সামান্য তফাত্ ছিলো। তবে নয় বছর পর তাদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তির মানে বেশ ফারাক হলো। যাদের প্রথম ডায়াবেটিস ছিলোনা তবে পরে হলো এদেরও বুদ্ধিবৃত্তির অধোগতি হলো।

রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ দুর্বল

ছিলো কিনা তা  দেখার জন্য গ্লাইকোসাইলেটেড হেমোগ্লবিন (HBA1C) পরীক্ষাও করা হলো। প্রচলিত রক্তের সুগার পরীক্ষা করে রোগীর তাত্ক্ষণিক রক্তসুগার মান জানা যায় তবে (HbA1C) বা গ্লাইকোসাইলেটেড হেমোগ্লবিন

করে আরও বিস্তৃত জানা যায়। রোগী বিগত ২-৩ মাসের রক্তের সুগারের গড় মান এতে জানা যায়। ডায়াবেটিস চিকিত্সার অগ্রগতি যাচাই করার শ্রেষ্ঠ পরীক্ষা হলো-(HBA1C) এইচবিএওয়ানসি। নতুন এই পরীক্ষায় ফলাফলে যতো উচুমান (HbA1C) পাওয়া গেলো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ তত দুর্বল বোঝা যায়, বুদ্ধিবৃত্তিক অধোগতির এটি একটি ভালো ভবিষ্যত্সূচকও বটে।

এই ফলাফল থেকে একটি

সারকথা যা বেরিয়ে আসে তা হলো-মধ্য জীবনে বা এরও আগে ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা, বিশেষ

করে প্রতিরোধ করা গেলে বৃহত্ জনগোষ্টিতে বুদ্ধিবৃত্তিক অধোগতি বেশ ঠেকানো যাবে।

তবে ডা: জ্যাকে একটি সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন। যেমন বয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের সুগার বেশি কড়া নিয়ন্ত্রণ করাও ঠিক নয়। রক্তসুগার স্বল্পতার প্রবণতাও বয়স্কদের বেশি হয়। সাধারণ

ধারনা হলো গ্লুকোজ নি য়ন্ত্রণ যতো কঠোর, ডায়াবেটিস জটিলতা

ঠেকানো ততই ভালো। তবে

বয়স্ক ও বুড়ো লোকদের ক্ষেত্রে এ যেন পিচ্ছিল পাহাড়ের ঢাল। বুড়োদের রক্তসুগার স্বল্পতা প্রবণ বেশি; অন্যান্য ওষুধও তারা খান,

যা মিথষ্ক্রিয়া করে আর অন্যান্য

অসুখ ও থাকে তাদের। তাই খুব কঠোর নিয়ন্ত্রণ, রক্তের সুগার খুব নামানো, বুড়োদের ক্ষতি করতে

পারে বরং। তাই বেশি কড়াকড়ি

নয় তাদের জন্য।

 

 

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী

পরিচালক, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস

বারডেম, ঢাকা

Wednesday, October 26, 2016

কেন কম খাওয়া উচিত লবণ ?



লবণ কী

ঝরঝরে মিহি দানা আর সাদা রংয়ের খাবার লবণ বা নূণের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম ক্লোরাইড। এতে আছে শতকরা ৪০ ভাগ সোডিয়াম আর ৬০ ভাগ ক্লোরাইড। 

লবণ কেন প্রয়োজন

লবণ স্বাদে তিতা। স্বাদে তিতা হলেও একটা পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে লবণ তরকারী বা ভর্তা-ভাজির স্বাদ বৃদ্ধি করে। মূল এ জন্যই আমরা লবণ ব্যবহার করি। তবে শরীরের জন্য দরকার লবণে থাকা সোডিয়াম। এটি শরীরের পানি আর খনিজ লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের পি.এইচ ঠিক রাখে। সোডিয়াম দরকার শরীরের স্নায়ুর সিগন্যাল পরিবহণ করার জন্য। দরকার মাংসপেশির সংকোচন প্রসারণের জন্যও।

কতটুকু লবণ দরকার

আমাদের দৈনিক সোডিয়াম দরকার ১০০০-৩০০০ মিলিগ্রাম। অনেকের মতে ২৪০০ মিলিগ্রামের বেশি নয়। আর সোডিয়ামের এই চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন খাবার লবণ প্রয়োজন বড়দের ক্ষেত্রে মাত্র ৬ গ্রাম বা প্রায় ১ চা চামচ পরিমাণ। শিশুদের কিডনি বেশি লবণ সহ্য করতে পারে না। তাই তাদের প্রয়োজন আরো কম লবণ। এক থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুদের প্রয়োজন দৈনিক মাত্র ২ গ্রাম বা তিন ভাগের এক চা চামচ,৪ থেকে ৬ বছর বয়সীদের জন্য দরকার প্রায় ৩ গ্রাম বা আধা চা চামচ, আর ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫ গ্রাম লবণ প্রয়োজন। দশ বছরোর্ধ শিশুদের প্রয়োজন বড়দের সমান অর্থাত্ দৈনিক প্রায় ৬ গ্রাম।  দৈনিক ৬ গ্রামের চেয়ে কম লবণ খেলে উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কম লবণ খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে প্রায় ১৩ শতাংশ আর ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা কমে প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থাত্ কম লবণ খাওয়াই শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

লবণ বেশি খেলে কী সমস্যা

অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। লবণ শরীরে বাড়তি পানি ধরে রাখে। এতে রক্তের ভলিউম বা পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এ জন্য বেড়ে যায় রক্তচাপ। শরীরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধমনীর সংকোচনও বাড়িয়ে দেয় লবণ। এ জন্যও রক্তচাপ বাড়ে। রক্তচাপ বাড়ার কারণে বেড়ে যায় বিভিন্ন হূদরোগ যেমন- ইস্কেমিক হূদরোগ, হার্ট ফেইলিওর ও স্ট্রোক এর ঝুঁকি। শরীরে বাড়তি পানি জমে শরীর একটু মোটাও হয়ে যেতে পারে।

লবণ কম খেতে কী করণীয়

তরকারীতে লবণ হওয়া চাই পরিমিত। আমরা অনেকেই লবণ দিয়েই খাওয়াটা শুরু করি। নুণ খাই যার, গুণ গাই তার- সেজন্য হয়ত। ফারসিতে লবণকে বলে ‘নেমক’। ‘নেমক’ খেয়ে গুণ না গাইলে হয় ‘নেমক-হারাম’। বাড়তি কাঁচা লবণ বা পাতে লবণ খাওয়া পরিহার করুন। পারলে টেবিল থেকে লবণদানি সরিয়ে রাখুন। এতে লবণ গ্রহণ কমে যাবে শতকরা অন্তত

১০-১৫ ভাগ। লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন লবণাক্ত মাছ, চিপস, ক্রেকার্স, লবণাক্ত বিস্কুট, কেচআপ, লবণ-বাদাম, পনির, বেকিং পাউডার ইত্যাদি খাওয়াও কমাতে হবে যথেষ্ট পরিমাণে। ফাস্ট ফুডেও যোগ করা হয় বাড়তি লবণ। ফাস্ট ফুডও তাই পরিহার করুন। বড়ই, তেঁতুল, আমলকি, আমড়া, জলপাই, জাম্বুরা, আনারস, কামরাঙা- এ জাতীয় টক ফল লবণ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। দেখবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ আর খাওয়া হচ্ছে না।

 

 অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্

অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান

কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ

কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

Monday, October 24, 2016

বুকের দুধ থেকে নতুন এক এন্টিবায়োটিক উদ্ভাবন




বুকের দুধ থেকে নতুন এক এন্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকদের উদ্ভাবিত এই এন্টিবায়োটিক কোষীয় রূপান্তরের কারণে সৃষ্ট রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়ও সহায়ক।
রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মায়ের দুধে থাকা ল্যাকটোফেরিন নামের এক প্রোটিন নবজাতককে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। ওই প্রোটিনের মাধ্যমে গবেষকরা একটি ক্যাপসুল তৈরি করেছেন, যা ভাইরাসের মতো কাজ করে।
এই ক্যাপসুল নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটিরিয়াকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে ধ্বংস করতে পারে অন্য কোষের ক্ষতি না করেই।
এই গবেষক দলের সদস্য হাসান আলকাশেমকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, ক্যাপসুলের কার্যকারিতা দেখতে তারা এ্যাটমিক মাইক্রোস্কোপসহ বিশেষ একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল ক্যাপসুল ছিল না, ব্যাকটিরিয়ার ঝিল্লি বা পর্দার ওপর এই ক্যাপসুল কী মাত্রায় আক্রমণ করে তাও আমরা দেখতে চেয়েছিলাম। পরীক্ষার ফলাফল হয়েছে দুর্দান্ত। এটি বুলেটের বেগে ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়ার ঝিল্লিতে আক্রমণ চালিয়েছে।
গবেষকরা দেখতে পান, এই প্রোটিন ক্যাপসুল ব্যাকটিরিয়ার জৈব কাঠামোকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে সেটি আর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে না। আর এ কারণেই সাধারণ এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক নিরাময়ে গবেষকরা নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। প্রচলিত এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা এ ধরনের ব্যাকটিরিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সুপার বাগ’। প্রতিবছর সুপার বাগের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।
ব্রিটিশ সরকার গঠিত একটি গবেষক প্যানেলের হিসাবে এখনই এসব সুপার বাগ প্রতিরোধের নতুন চিকিৎসা তৈরি না হলে ২০৫০ সালে ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বছরে ১ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পরে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেন, সুপার বাগের বিরুদ্ধে জয়ী হতে না পারলে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ‘অন্ধকার যুগে’ ফিরে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ল্যাকটোফেরিন থেকে তৈরি নতুন এ এন্টিবায়োটিক সুপার বাগের পাশাপাশি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া রক্তকণিকার রোগ নির্মূলেও ভাল কাজ করবে।
এ বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডেম স্যালি ডেভিস বলেন, প্রতি দশকে আমাদের এ ধরনের দশটি নতুন এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন। আমি কেবল আমার বৃদ্ধ বয়সের কথা ভাবছি না। আমার সন্তানরাও যাতে তাদের বৃদ্ধ বয়সে ব্যবহার করতে পারে।

Sunday, October 23, 2016

নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারীতা জেনে নিন!



  • ) নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।


  • ) আমরা যখন নামাজে দাঁড়াই তখন আমাদের চোখ যায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে বা সিজদাহর জায়গায় স্থির অবস্থানে থাকে, ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।


  • ) নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।


  • ) নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।


  • ) নামাজ মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়।


  • ) নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। যেমন, ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয়; এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।


  • ) নামাজে ওজুর সময় মুখমণ্ডল ৩ বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায় ।



  • ) নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায় ।


  • ) কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয়; ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে ।

Saturday, October 22, 2016

Medical care advice to teeth



সুস্থ্য, সুন্দর দাঁতের রক্ষনাবেক্ষণ অনেক জরুরি। সুন্দর হাসি, পুষ্টিকর খাদ্য, হজমের জন্য সঠিকভাবে চিবিয়ে খাওয়া এমনকি অন্যান্য রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তাছাড়া দাঁতের ব্যথা, যন্ত্রণা ও অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সুস্থ, সুন্দর দাঁত দীর্ঘদিন অখুন্ন রাখার জন্য বিশেষ কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন-
১. শিশুর দাঁতের যত্ন: গবেষণায় দেখা যায় প্রতি ৪ জন শিশুর ১ জনের দাঁতের ক্ষয় শুরু হয় শিশু বয়সে এবং ১২ থেকে ১৫ বছরের প্রায় ৫০% শতাংশ ছেলেমেয়েদের দাঁতের ক্যারিজ থাকে। শিশুর দাঁতের যত্ন শুরু করতে হবে
যখন থেকে তাদের দাঁত উঠা শুরু হয়, সাধারনত ছয় মাস বয়স থেকে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই সময় শিশুর দুধ দাঁত একটি পরিষ্কার ফ্লানেমের কাপড় বা নরম টুথব্রাশ দিয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে। দুই বছর বয়স থেকে শিশুকে নিজ হাতে দাঁত ব্রাশ করার জন্য উত্সাহিত করতে হবে, তবে সেই সাথে নজরদারীও রাখতে হবে।
২. ফিসার সিলেন্ট: মলারের স্থায়ী দাঁত চলে আসে সাধারনত ৬ বছর বয়সে। এই বয়সে ফিসার সিলেন্ট ফিলিং দিয়ে ঐ মলার স্থায়ী দাঁত ভরে দিতে হবে। যাতে করে দন্তক্ষয় না হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় এই ফিলিং দাঁতের ক্ষয় অনেকাংশই প্রতিরোধ করে।
৩. ফ্লুরাইড ব্যবহার:মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে বড় যে আবিষ্কার তা হলো ফ্লুরাইড। এই ফ্লুরাইড ব্যবহারে দাঁতের এনামেল মজবুত হয় এবং ডেন্টাল ক্যারিজ থেকে রক্ষা করে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র-এ এখন বেশীর ভাগ মানুষ ফ্লুরাইড যুক্ত খাবার পানি গ্রহন করে। তাছাড়া ফ্লুরাইড টুথপেষ্ট ব্যবহারে দাঁতের ক্ষয় রোগ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলছে। অতএব ফ্লুরাইড টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন।
৪. প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ ও ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার : মানবজীবনে দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ দুটি প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা শুধু বয়ষ্কদের নয় তরুণদের মধ্যে তিন চতুতাংশই মাড়ির রোগে ভোগে এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।
আমেরিকান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী।
(ক) প্রতিবছর অতন্ত: ৩/৪ বার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন, বিশেষত টুথব্রাশ ফাইবারগুলো যখন বাঁকা হয়ে যায়
(খ) যে সব মানুষ আকাবাকা দাঁতের জন্য ব্রেসেসস ব্যবহার করেন বা যাদের নকল দাঁত বা ইনপ্লান্ট আছে তারা বিশেষভাবে তৈরী টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন।
(গ) বৃদ্ধ মানুষ যাদের আথ্রাইটিজ আছে বা শারীরিক ভাবে অসুস্থ তাদের জন্য ইলেট্রনিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
(৫) মুখ কুলকুচি করা: দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লাশিং ছাড়াও আরও একটি বিশেষ করনীয় হচ্ছে জীবানু নাশক মাউথ ওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করা তাতে দাঁতের ক্ষয় রোগ ও মাড়ির রোগ বেশীর ভাগই প্রতিরোধ করা যায়। খাবার পর সুগার ফ্রি চুইংগাম ব্যবহারেও অনেক ক্ষেত্রে মুখের লালা প্রবাহ বড়িয়ে এনামেল কে ক্ষয় থেকে প্রতিরোধ করে এবং ব্যকটেরিয়া মুক্ত করে এবং এ্যসিডিটির মাত্রাকে সমতায় নিয়ে আসে।
৬. মুখের উপর যে কোন আঘাত থেকে রক্ষা করা:  বিভিন্ন খেলাধুলা বা জিমনাটিক কাজ আমাদের দেহ গঠনে সাহায্য করে তবে অনেক ক্ষেত্রে অসবধানতার জন্য বা দুর্ঘটনার কারণে দাঁতে আঘাত লাগতে পারে ফলে দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে অথবা সম্পূর্ণ উপড়ে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মডিথ গার্ড ব্যবহার করতে পারলে যেকোন দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
৭. ধুমপান ও তামাক জর্দ্দা ব্যবহার: ধুমপান ও তামাক জর্দ্দা যে শুধু দাঁতের স্বাভাবিক সুন্দর রঙকে বিবর্ন বা কালো করে তাই নয় এই ধুমপান তামাক ব্যবহার মানুষের ক্যান্সারও হতে পারে। অতএব সুস্থ দাঁত ও মুখের নিশ্চয়তার জন্য তামাক বর্জন করা জরুরি।
এ ব্যপারে একজন ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিষ্ট বা কাউন্সিলারের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।
৮. দাঁত ও মাড়ির সুস্থতার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন:  যেকোন বয়সে সুসম খাদ্য গ্রহন অপরিহার্য। বিজ্ঞানীরা মনে করেন কোন কোন খাদ্যের মধ্যে ওমেগা ও ফ্যাট আছে যা দাঁত ও মাড়ির প্রদাহ প্রতিরোধ করে।
তবে প্রতিদিন কিছু শাক-সবজি যেমন  লাল শাক, পালং শাক, পুই শাক, গাজর, টমেটো, শশা, লেবু এবং ফলের মধ্যে কমলালেবু, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, আমড়া, পেয়ারা, কলা ইত্যাদি জাতীয় খাবার  দাঁত ও মাড়িকে শক্ত রাখে।
৯. শরকরা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা: মুখের বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া মিষ্টি বা শর্করা জাতীয় খাবারের সাথে মিশে গিয়ে এসিড তৈরী করে ফলে দাঁতের এনামেল তাড়াতাড়ি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। সুতারাং মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহনের পর দাঁত ব্রাশ করা বা কুলিকুচি করা জরুরি। বিশেষ করে শিশুরা রাতে শোবার আগে ফিডারে যদি দুধ খায় এবং তাতে চিনি মিশ্রিত থাকে অথবা চকলেট খায় তবে দাঁত অবশ্যই ব্রাশ করে নেয়া প্রয়োজন।
১০. ডেন্টিস এর সাথে স্বাক্ষাত্কার:  গবেষকরা মনে করেন প্রতি ছয় মাস অন্তর ডেন্টাল চেক আপ করানো গেলে দাঁতের রুটিন ডেন্টাল স্কেলিং এর মাধ্যমে প্লাস পরিষ্কার করা হলে দাঁতের ক্যারিজ ও মাড়ির রোগ অনেক প্রতিরোধ করা সম্ভব যা কিনা ব্রাশ বা ডেন্টাল ফ্লসের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তাছাড়া নিয়মিত ৬ মাস অন্তর ডেন্টাল চেক আপের ফলে আরও যেসব উপকার হয় তা হলো-
(ক) মুখের ভিতরে ক্যান্সারের পূর্বাবস্থায় কোন লক্ষন দেখা দিলে তা নির্ণয় করে দ্রুত রোধ করা সম্ভব। প্রতি ১০ টি মুখের ক্যান্সার ৯ টিকে পূর্ব থেকে চিহ্নিত করতে পারলে সুস্থ করা সম্ভব।
(খ) দাঁতের বিভিন্ন ক্ষয় যথা (এনামেল ক্ষয়) মাড়ির ক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
(গ) মাড়ি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ মাড়ি থেকে রক্ত পড়া সনাক্ত করতে পারলে অতি সহজেই চিকিত্সা করে সুস্থ করা সম্ভব।
(ঘ) দেহের অনান্য রোগ,  যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, হূদরোগ তাদের ওষুধ গ্রহনের কারণে মুখে প্রভাব পড়তে পারে। যেমন সুস্ক মুখ সেটাও পূর্ব থেকে নির্ণয় করা গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা দেওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
সম্মানিক উপদেষ্টা, বারডেম,
১৫/এ গ্রিন স্কায়ার,
গ্রীণ রোড, ঢাকা-১২০৫

Calcium is not only beneficial for the heart harmful?


নানা কারণে চিকিত্সকগণ ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধ অথবা সাপ্লিমেন্ট সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই ক্যালসিয়াম সেবন নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন দীর্ঘ মেয়াদী ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করা উচিত নয়।
 
আবার অনেকে বলেন, ক্যালসিয়ামের নানা হিতকর দিক রয়েছে। এ ব্যাপারে জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা অতিমাত্রায় দীর্ঘদিন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করেন তাদের হূদরোগের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে যারা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আহার করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭ গুণ কম। গবেষকগণ ৪৫ থেকে ৮৪ বছরের রোগীদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পান এদের ৪৩ ভাগের হার্টের রক্তনালিতে কম বেশি ক্যালসিয়াম ডিপোজিট আছে। 
 
আর যেসব রোগীদের ওপর গবেষণা চালানো হয় তারা এথেরোস্ক্লোরোসিস বা হার্টের রক্তনালিতে সমস্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ১০ বছর পর একই গ্রুপের ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে দেখা যায় যারা নিয়মিত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করেছেন তাদের হূদরোগের ঝুঁকি অধিক। তবে শুধু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে কোনো ঝুঁকি নেই। 
 
গবেষকরা বলছেন, কতদিন বা কত পরিমাণ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা হলো তা বড় কথা নয়। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন ফুড থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম অধিক উপকারী। এতে কোনো ঝুঁকি নেই। (মায়ামি হেরাল্ড অবলম্বনে)
 
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ

Wednesday, October 19, 2016

জলপাই আচারের ৪ পদ



একটুখানি আচার হলে খাওয়াটা বেশ জমে ওঠে সব বাঙালিরই। এখন চলছে জলপাইয়ের মৌসুম। আর জলপাই আচারের স্বাদের কথা তো সবাই জানেন। তাই ভিন্ন স্বাদের ৪ পদের জলপাইয়ের আচারের রেসিপি নিয়ে এবারের আয়োজন—

মিষ্টি আচার
উপকরণ: জলপাই ১ কেজি, সরিষাবাটা ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, চিনি আধা কেজি, আস্ত পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ আস্ত ৩-৪টা, সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি: জলপাই ধুয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার সিদ্ধ করা জলপাই চটকে ... বিস্তারিত

Tuesday, October 18, 2016

Newborn jaundice, what to do?

Health care smartsector


মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হওয়ার পরই নবজাতক শিশুটি তার ছোট্ট হাত-পা নাড়িয়ে সবাইকে জানান দেয় সে পৃথিবীতে এসেছে। সে কেঁদে সব আপদ-বিপদকে সাবধান করে। মায়ের গর্ভে যেমন নিরাপদে ছিল তেমনই পরিবেশ খোঁজে সে। এ কথাগুলো পড়ে অবাক হচ্ছেন তো!

আমরা অনেক সাবধান থাকার পরও রোগে আক্রান্ত হতে পারে নবজাতক। শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নবজাতকেরই জন্মের পর পর জন্ডিস হতে পারে। ৫০ শতাংশের বেলায় একে বলে স্বাভাবিক জন্ডিস বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস। শিশুর যকৃৎ পুরোপুরি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়।

গর্ভে শিশু যখন বড় হয় তখন মায়ের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত প্লাসেন্টারের মাধ্যমে এই বিলিরুবিন তার দেহ থেকে বের হয়ে যায়। তখন গর্ভস্থ শিশুর লিভারকে বিলিরুবিন ভাঙতে কাজ করতে হয় না। কিন্তু জন্মের পরপর তা করতে হয়। এ সময় লিভার পুরোপুরি কার্যক্ষম হতে সময় লাগে।

বেশির ভাগ নবজাতকের ত্বক হলদেটে হয়ে যায়। চোখের সাদা অংশও হলদেটে হয়। এর কারণ বিলিরুবিন হলদে রঙের পদার্থ। আর এটাই নবজাতকের জন্ডিস হিসেবে পরিচিত। যদি রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন পাওয়া যায়, তবে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে নবজাতকের জন্ডিস ঠিক হয়ে যায়।

ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস

* ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস ২-৩ দিনে এসে আবার ৭-১০ দিনে মিলিয়ে যায়। আর রক্তে জন্ডিসের মাত্রা ১০-১২ মিলিগ্রামের বেশি হয় না। অবশ্য যদি শরীরে রক্তপাত হয়, তাহলে জন্ডিসের ... বিস্তারিত

Foreign food

In Mandarin Chile Sauce

Health care smartsector
In Mandarin Chile Sauce

যা লাগবে : আস্ত ভেটকি মাছ ১টি, তেল ভাজার জন্য, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, আদা কুচি ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, পানি পরিমা মতো, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লাল মরিচ ২-৩টা, চিনি ১ চা চামচ, ভিনেগার আধা চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ চা চামচ, চিলি সস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, ফিশসস ১ চা চামচ, সয়াসস ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন : প্রথমেই মাছটিকে লবণ, লেবুর রস, ভিনেগার, আদা বাটা ও মরিচ গুঁড়া মেখে মেরিনেট করে রেখে দিন। এরপর মাছটি গরম তেলে ভেজে অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এবার অন্য একটি কড়াইতে গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ভেজে তাতে আদা বাটা, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার, চিনি, ফিশসস, লাল মরিচ, সয়াসস ও চিলি সস দিয়ে নেড়ে পানি দিন। ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছটি দিয়ে দিন। ঝোল মাখামাখা হয়ে এলে কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলিয়ে দিন। ঝোল ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ওপরে আদা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ম্যান্ডারিন ইন চিলিসস।

এগ রোল

যা লাগবে : ডিম ২টা, ময়দা ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো, পছন্দ মতো রান্না করা কিমা ১ কাপ, টেস্টিং সল্ট আধা কাপ।

যেভাবে করবেন : প্রথমেই ডিম, ময়দা, লবণ, টেস্টিং সল্ট ও পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নিন। এবার ননস্টিক প্যানে বানিয়ে রাখা গোলা ছেড়ে দিয়ে পাতলা প্যানকেকের মতো ভেজে নিন। ভাজা প্যানকেকে কিমার পুর ভরে রোল বানিয়ে লবণ দিয়ে ফেটে রাখা ডিমে রোলগুলোকে গড়িয়ে গরম ডুবুতেলে ভেজে তুলে ফেলুন। এবার পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার এগ রোল।

টুনা কাবাব
যা লাগবে : ক্যানড টুনা (তেলে ভিজান) ৪৫০ গ্রাম, সেদ্ধ আলু ৮টা, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, ডিম ২টা, ব্রেডক্রাম ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, তেল পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন : প্রথমেই তেল বাদে সব যা লাগবে দিয়ে তেল ঝরানো টিনের টুনা ভালোভাবে মেখে নিন। এরপর ছোট ছোট কাবাব বানিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন। এবার পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার টুনা কাবাব।

ফ্রেঞ্চ পিজা

যা লাগবে : লম্বা ব্রেড ২টি, চিকেন পাতলা করে কাটা আধা কাপ, আদা বাটা চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণ মতো, মেয়নিজ ৪ টেবিল চামচ, টমেটো কেচাপ ৪ টেবিল চামচ, মোজেরেলা চিজ আধা কাপ, টমেটো স্লাইস ৪টি।

যেভাবে করবেন : প্রথমে মুরগির মাংসকে আদা বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে মেরিনেট করে ভেজে নিন। ব্রেডটি লম্বা করে মাঝ বরাবর কেটে ২ টুকরা করুন। টুকরা করা ব্রেডগুলোতে প্রথমেই মেয়নিজ তারপর চিকেন দিয়ে টমেটো স্লাইস ও চিজ ছড়িয়ে দিন। এবার অভেনে ১০ মিনিট বেক করে নামিয়ে ফেলুন। ওপরে হট টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফ্রেঞ্চ পিজা।

সুশি

যা লাগবে : সেদ্ধ স্টিকি /সুশি রাইস ১ কাপ (রাইস কুকারে ১ কাপ পানিতে সেদ্ধ করা), গাজর, শসা, ক্যাপসিকাম লম্বা স্লাইস ১ কাপ. সসেজ লম্বা স্লাইস করা ১ কাপ, ডিম ভাজা লম্বা স্লাইস করা ১ কাপ, সুশি/রাইস ভিনেগার ১ টেবিল চামচ. seaweed sheets বা সুশি শিট ১টা, সয়াসস পরিমাণ মতো, ওয়াসাবি সস পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন : সেদ্ধ রাইসে ভিনেগার মিশিয়ে নেড়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। সুশি শিটের গ্লেসি পাশ পলিথিন দিয়ে মুড়ানো বাঁশের ম্যাটের ওপর রেখে রাইসটা বিছিয়ে তার ওপর মাঝখানে সবজি, সসেজ, ডিম ভাজা লম্বা করে রেখে টাইট করে রোল করে নিতে হবে। তারপর কেটে ওয়াসাবিসস ও সয়াসসসহ পরিবেশন করুন মজাদার সুশি।

মেক্সিকান স্পাইসি টমেটো রাইস

যা লাগবে : আধাসেদ্ধ ভাত ৩ কাপ, টমেটো পেস্ট ১ কাপ, চিকেন স্টক ৩ কাপ, চিকেন পিস আধা কাপ, পাপরিকা ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, অরিগেনো আধা চা চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে করবেন : প্রথমেই মুরগির মাংসে লবণ, লাল মরিচের গুঁড়া, গোল মরিচের গুঁড়া ও আদা বাটা দিয়ে মেখে মেরিনেট করে রাখুন। এরপর মেরিনেট করা মাংস গরম তেলে ভেজে নিয়ে আধাসিদ্ধ ভাত দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। এবার চিকেন স্টক, টমেটো সস ও সব গুঁড়া মশলা দিন। ভাত ভালোভাবে সিদ্ধ হলে তাতে অরিগেনো দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মেক্সিকান স্পাইসি টমেটো রাইস।

Saturday, October 1, 2016

EASY TIPS TO PREVENT DEHYDRATION



    Drink water throughout the day even when not thirsty


    Eat foods high in liquids, such as popsicles, gelatins or soups


    Keep beverages you enjoy close by


    Be careful when drinking alcohol 

কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...