Saturday, December 12, 2015
Monday, December 7, 2015
Papaya reduce fat
আমাদের খুবই পরিচিত একটি ফল পেঁপে। এ ফল সারা বছর পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা দু’রকম পেঁপেই শরীরের জন্য উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে শরীরের বাড়তি চর্বি কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এটি আমাদের শরীরের প্রোটিন হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এই এনজাইম ক্যান্সার নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এ কারণে কাঁচা পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াটাই শরীরের জন্য বেশি উপকারী। অন্যদিকে, পাকা ...বিস্তারিত
Sunday, December 6, 2015
Weight control the potato
আলু ছাড়া একটি দিনও কাটে না এমন মানুষ খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। চিকিৎসকদের মতে, পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার আলু। জেনে নিন আলুর খাদ্যগুণ।
- আলুর ডায়েটারি ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।...বিস্তারিত
Weight control of the pumpkin
মিষ্টি কুমড়া অনেকেরই খুব প্রিয় সবজি। ভিটামিন-এ তে ভরপুর এই ধরণের কুমড়া মানবদেহের জন্যও উপকারী। মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ভাজি থেকে শুরু করে আচার, নিরামিষ, মাংস রান্না সব কিছুই করা হয়ে থাকে। কুমড়োতে ভিটামিন-এ, বি-কমপ্লেক্স, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফ্লেভনয়েড পলি-ফেনলিক, অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট উপাদান সমূহ যেমন লিউটিন, জ্যানথিন এবং আরও অনেক উপাদান আছে। কুমড়াতে ক্যালোরিও বেশ কম থাকে। কিন্তু অনেকের জানা নেই, এসব ছাড়াও কুমড়ার এমন কিছু
গুণাগুণ আছে যা অবাক করার মতো। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর পুষ্টিগুণ।...বিস্তারিত
Saturday, December 5, 2015
শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর সেই সঙ্গে তার প্রভাব পড়ছে ত্বকে, ঠোঁটে। অনেকেই আছেন যারা ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। তাদের জন্য কিছু ঘারোয়া টিপস।
- এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন ঠোঁটে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত চারবার মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর চেষ্টা করুন। এতে ঠোঁট ফাটবে না আর ঠোঁট থাকবে নরম ও পেলব।...বিস্তারিত
Quality of kalami-saka
অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্যাঁতসেঁতে ভূমিতে সামান্য যত্নেই এই শাক ভালো জম্মে। পুষ্টিগুণে কলমি শাক অতুলনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম। কলমি শাকে থাকা এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এবার কলমি শাকের কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক- ...বিস্তারিত
Many kyalasiyame cauliflower
শীতের সবজি এখন বাজারে। আর এরমধ্যে ফুলকপি অন্যতম। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’।
প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপির পাতায় ক্যালসিয়াম ৬২৬ মিলিগ্রাম ও আয়রন ৪০ মিলিগ্রাম থাকে। আরও থাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, আয়রন।
ফুলকপিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে তা কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি। ফুলকপির কচি পাতাও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা সবুজ কচুশাকের চেয়ে ৪ গুণ, ডাঁটা শাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের ৫ গুণ বেশি। এছাড়া ফুলকপির ডাঁটায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম।
ফুলকপির গুণাগুণ: - ফুলকপিতে রয়েছে ...বিস্তারিত
Friday, December 4, 2015
প্রযুক্তি পণ্যেরও যত্ন নিন
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব ছাড়া যেন চলাটা কঠিনই হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ যেন এগুলো ছাড়া সম্পন্ন করা আজ অসম্ভবই হয়ে উঠেছে। তবে এসব পণ্যের সঠিক যত্ন নেয়াটাও্ জরুরি। তা না হলে অতি দ্রুতই এসব নষ্ট হয়ে যাবে। কিভাবে প্রযুক্তি পণ্যের ঠিকঠাক যত্ন নিবেন তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো : ...বিস্তারিত
Thursday, December 3, 2015
Roshogollas Benefits
মিষ্টির একটি জনপ্রিয় প্রকারভেদ হচ্ছে রসগোল্লা। এটি খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিনই হবে।
খেতে ভালো লাগে বলেই হয়তো আমরা এটি খেতে ভালোবাসি।
তবে রসগোল্লার যে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত গুণ রয়েছে তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। নিচে রসগোল্লার তেমনই ১০টি গুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
Which is the right time for dinner?

রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম।
কিন্তু কেন?
আসুন জেনে নিই আগেভাগে ডিনারের কয়েকটি সুফল।
১) সারা দিনের শেষে ডিনারটাই মূলত শেষ খাওয়া।
যদি সন্ধাবেলাতেই
ডিনার সেরে নেন, সেক্ষেত্রে হজমের জন্য যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায়। আর ওই খাবার
শরীরে শক্তি তৈরি করে কিন্তু মেদ জমায় না। দেরি করে ডিনার করলে তা হজম না হয়ে শুধু শরীরের
ওজনই বাড়াবে, ভাল কিছু করবে না।
যদি সন্ধাবেলাতেই
ডিনার সেরে নেন, সেক্ষেত্রে হজমের জন্য যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায়। আর ওই খাবার
শরীরে শক্তি তৈরি করে কিন্তু মেদ জমায় না। দেরি করে ডিনার করলে তা হজম না হয়ে শুধু শরীরের
ওজনই বাড়াবে, ভাল কিছু করবে না।
Tongue disease
মুখ ও জিহ্বার এমন কিছু রোগ রয়েছে যার কারণে পাত্র-পাত্রী ছাড়াও অভিভাবকরা বিয়ের সময় হলে বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। আবার কেউ কেউ রোগ লুকিয়ে রেখেও বিয়ে করে ফেলেন। জিহ্বার দুটি রোগের একটি হলো: জিওগ্রাফিক টাং বা মানচিত্র জিহ্বা আর অন্যটি হলো: ফিশার যুক্ত বা গর্তযুক্ত জিহ্বা। যাদের জিহ্বায় ফিশার ...বিস্তারিত
Wednesday, December 2, 2015
Some simple tips to stay healthy in winter
সব বয়সের মানুষের কাছে এই কালটি খুবই আরামদায়ক। শরীর খারাপ হওয়ার ভয়ই থাকে না এই কালে। ঘুরতে যাওয়া, পিকনক করা, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা, আড্ডা মারা এই সব কিছু তো আছেই। শুধু গায়ে একটা গরম জামা চাপিয়ে নিলেই হল।
কিন্তু শীতকালে বড়দের সঙ্গে শিশুদেরও শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই দরকার। শুধু ছোট কয়েকটা টিপস মেনে চললেই আনন্দে কাটাতে পারবেন শীতকাল।
১. বাইরে বেরুলে অবশ্যই গরম জামা পড়ুন। দেখবেন যেই গরম জামা যাতে খুব বেশি গরম বা খুব বেশি পাতলা না হয়।
২. শীতকালে শিশুদের খেলাধুলা বেড়ে যায়। কিন্তু বাইরে খেলার ফলে তাদেরকে বিভিন্ন রকরমের পোকা কামড়ায়। তাদের যাতে পোকামাকড় কামড়াতে না পাড়ে তার দিকে নজর দেবেন।
৩. বাইরে বেরুলেই সান্সক্রিম মাখবেন। দেখে নেবেন সান্সক্রিমে এসপিএফের পরিমাণ যেন ভালো থাকে।
৪. শীতকালে বেশি করে পানি খান। কারণ শীতকালে শরীরের ভেতর অনেক গরম হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের খুব একটা পানি তেষ্টা পায় না। যার জন্য আমাদের ডিহাইড্রেশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে আর এই সমস্যা দেখা দেবে না।
৫. খাবার খাওয়ার সময় যাতে বাচ্চারা হাত ধোয় তার দিকে অবশ্যই নজর রাখবেন।
Tuesday, December 1, 2015
মালাই চপ
উপকরণ :ছানা আধা কেজি, তরল দুধ ২ লিটার, ক্রিম সিকি কাপ, কেশর ১ চিমটি, পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি পরিমাণমতো, গোলাপজল সামান্য (ইচ্ছামতো)।
সিরার জন্য :২ কাপ চিনি, ৬ কাপ পানি।
প্রণালি :২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ১ লিটার করে নিন। এবার তাতে ক্রিম ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে রাখুন। ছানা ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে মথে নিন। এবার গোল গোল করে একটা পাত্রে রাখুন। চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে ফুটন্ত সিরায় মিষ্টিগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। ১২-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে আবার ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা সিরায় রেখে তুলে নিন। এবার ঘন করে রাখা দুধে মিষ্টিগুলো দিয়ে চুলায় ৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন গোলাপ জলে ভিজানো কেশর দিয়ে। ঘন দুধে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন পাত্রে রেখে উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিন।
শীতের ফুল 'গোলাপ চাষ'
গোলাপের চারা যেকোনো সময় লাগানো যায়।
গোবর, সরিষার পচা খৈল, ড্যাপ, টিএসপি, হাড়ের গুঁড়া এসব সার গোলাপের জন্য উপকারী। আমি নিজে এগুলোর পাশাপাশি তরকারির খোসা ব্যবহার করি। গোলাপে যথাসম্ভব ইউরিয়ার ব্যবহার পরিহার করা উচিৎ।
সাধারণত এক মাস পর পর সার দিতে হয়। শীতের ঠিক পরেই অর্থাৎ মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথম দিকে টবের উপরের ৮ সেঃমিঃ – ১০ সেঃমিঃ মাটি তুলে দিয়ে খালি জায়গায় পচা গোবর সার, সরিষার খৈল ও নতুন ফাঁপা মাটি দিয়ে ভরে দিতে হবে।
এছাড়া গোবর ও সরিষার খৈল ৪-৫ দিন পানিতে পচিয়ে তরল করে মাসে ১ বার ব্যবহার করা যায়। ছোট মাছপঁচা পানি গাছের গোড়ায় দেয়া যায়। দুর্বল গাছে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হিসাবে ইউরিয়া মিশিয়ে সকাল বিকাল পাতায় সেপ্র করলে গাছ তাজা হয়। কিন্তু তাজা/সুস্থ গাছে অযথা ইউরিয়া সেপ্র করা উচিৎ নয়। কয়েক প্রকার বীজ থেকে গোলাপের চারা তৈরি করা গেলেও প্রধানত কলমের চারাই ব্যবহার করা হয়।,...বিস্তারিত
Sunday, November 29, 2015
রসুনের গুণ
সকালে খালি পেটে রসুন খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়,...বিস্তারিত
Saturday, November 28, 2015
দাঁত শির শির করা সমস্যা
দাঁত নড়লে বা মাড়ি ফুললে আমরা প্রচন্ড সন্ত্রাসে ছুটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে। পরম করুনাময়ের দান দন্তরাজি যখন সাহসী সৈন্যদলের মত বছরের পর বছর ধরে গরু,খাসি, মুরগী ও মাছের হাঁড়, চালের কাঁকর ইত্যাদিকে পিষ্ট করে অবশেষে একে একে রণে ভঙ্গ দেয়, তখন তাদের স্থান গ্রহণ করে নতুন রিক্রুট-একটি, দু’টি অথবা একপাটি দুইপাটি নকল দাঁত। আপনারা ভাবছেন চিকিত্সা শাস্ত্রেও এই দন্ত পরিচর্যা বর্তমান শতাব্দীর মৌলিক অবদান? আপনাদের ধারনা দুই-তিন-চারশ বছর আগে দাঁত নড়লে বা পড়লে কিছুই করাবার ছিলনা? তাহলে মিশরের প্যাপিরাস কাগজে লেখা প্রাচীন নথিপত্র ঘাঁটুন এবং কবরস্থানের দেয়ালের লেখা পড়ুন। তবেই জানতে পারবেন যে, পৃথিবীর ...বিস্তারিত
Pregnancy risk factors
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, ‘আমার স্ত্রীতো অসুস্থ’ বা অমুক ভাবী, খালা অসুস্থ’। কেন, কী হয়েছে, কেন জানেন না, উনার তো বাচ্চা হবে। মেয়ে মাত্ররই তো মা হবে, এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। এটা তো আর ৫-১০টা রোগের মতো অসুস্থতা নয়। বাচ্চা হওয়াটা শরীরের একটা অবস্থা মাত্র। এটা কোন রোগ নয়। কাজেই প্রথম থেকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত এই ভাবনা। এজন্যই চিকিত্সকগণ বলেন, মা হওয়ার আগে শারীরিক-মানসিক প্রস্তুতির বিশেষ প্রয়োজন আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারী যখন মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন মা হওয়ার জন্য তখনই তার সন্তানধারণ করা উচিত। তার আগে নয়। কাজেই সন্তান ধারণের আগে একজন মায়ের যেমন প্রস্তুতি আছে, তেমনি পরিবারের আর সবারও আছে। নিচে গর্ভকালীন কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করা হলো। নূন্যতম প্রস্তুতি এবং সচেতনতা থাকলেও এগুলো মোকাবিলা করা তেমন কোন সমস্যা নয়। তবে জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ...বিস্তারিত
7 steps to keep acidity
নানা উৎসবে সুযোগ পেলেই অনেকে বাড়তি খাবার খেয়ে এসিডিটি বাধিয়ে ফেলেন। এছাড়া অনেকে স্বাভাবিক খাবারের পরেও নানা কারণে এসিডিটিতে আক্রান্ত হন। এ লেখায় থাকছে এসিড সমস্যা সমাধানের সাতটি উপায়।
১. ছোট ছোট টুকরো খান খাবারের বড় টুকরো নয় বরং ছোট ছোট টুকরো খান। এছাড়া খাওয়ার সময় তা ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে ...বিস্তারিত
Friday, November 27, 2015
মুখের আলসার নিয়ে বিভ্রান্তি
মুখের ভেতরে সৃষ্ট আলসারগুলোর মধ্যে অ্যাপথাস বেশি দেখা যায়। তবে সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে মুখে ঘা হতে পারে। মাঝে মধ্যে এ দুটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট ঘা দেখতে অনেকটা অ্যাপথাস আলসারের মতো। ব্যতিক্রম হলো, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট আলসারে যখন কিনারার কাছে পচন ধরে, তখন এটি লাল রঙের হয় না। অ্যাপথাস আলসার সাদা অথবা হলুদ ডিম্বাকৃতির হয়। চারপাশে প্রদাহযুক্ত লাল বর্ডার লাইন ...বিস্তারিত
ঠোঁটের প্রাথমিক যত্ন
দাঁতের গঠন ঠিক রাখতে হলে ঠোঁটেরও যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের যত্নে যা করতে হবে তা হলো- (ক) প্রথমেই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। (খ) তামাকজাতীয় কোনো পদার্থ সেবন করা যাবে না। (গ) ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিপজেল বা বাম ব্যবহার করতে হবে। (ঘ) লিপ লিকিং এর বদ অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। (ঙ) যেসব লিপ বামে অ্যালোভেরা থাকে সেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অ্যালোভেরাতে প্রদাহবিনাশকারী এবং ব্যাকটেরিয়া ...বিস্তারিত
Thursday, November 26, 2015
অর্শ্ব বা পাইলস রোগে হোমিও চিকিৎসা
মানব দেহে যত রকম যন্ত্রণাদায়ক রোগ আছে অর্শ্ব তার অন্যতম। সাধারণত যেসব মানুষের কোষ্ঠ-কাঠিন্য রোগের ব্যাপকতা থাকে অর্শ্ব তাদেরই বেশি দেখা দেয়। যাদের দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে বসে থাকতে হয় তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগের লক্ষণ ১. মলদ্বারে অস্বস্তি বোধ ২. মলদ্বারে সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা। ৩. মলদ্বারে উত্তাপ বোধ ৪. মলদ্বার ফেটে যাওয়া ৫. মলদ্বার চুলকানো ৬. অর্শ্ব বা পাইলস হতে রক্ত ঝরা ৭. এ রোগ সাধারণত ঠা-ায় বা শীতাকালে বৃদ্ধি পায় ৮. ঘুম থেকে জাগলে বা ঘুম ভেঙ্গে গেলে এ রোগের উপস্বর্গগুলোর উৎপাত বেড়ে যায়। চিকিৎসা এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে আঁশ যুক্ত খাবার যেমন- কচুর শাক, লাল শাকসহ যে কোন শাক নিয়মিত খাবেন। কোষ্ট-কাঠিন্য হতে পারে এমন খাবার যেমন- গরুর গোশত, হাঁসের গোশত, হাঁসের ডিম, চা, অতিরিক্ত মসল্লার তরকারি এড়িয়ে চলবেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ইস্কুলাসহিপ ঔষধ রোগ নিরাময়ের জন্য অন্যতম। প্রাথমিক অবস্থায় হোমিও চিকিৎসায় এ রোগ সহজেই নিরাময়যোগ্য।
ডা. মো. শামসুল আলম
হোমিও ক্লিনিক
মোবাইল-01935509458
ক্যানসার-অ্যাজমা রুগীদের ক্ষেত্রে জিরার উপকারিতা
![]() |
কিন্তু জিরার উপকারিতার কথা শুনে ...বিস্তারিত
ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ
এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ অসুখ হয়। ব্যাকটেরিয়ার নাম বারটোনেলা। বিড়াল কামড় দিলে বা আঁচড়ালে রোগটি হয়। এ রোগে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: ...বিস্তারিত
বয়স বাড়লেও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখুন

চীনে শুরু হচ্ছে অ্যাপল পে
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মোবাইল লেনদেন ব্যবস্থা ‘অ্যাপল পে’। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

যাত্রা শুরুর পর ‘অ্যাপল পে’কে ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার মোবাইল লেনদেন সেবা আলি পে আর সরকার নিয়ন্ত্রিত সেবা ‘ইউনিয়ন পে’ এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। চীনের ইউয়ান লেনদেনের কার্ড সেবাদানের ব্যবসায় ‘ইউনিয়ন পে’ একচেটিয়া ব্যবসা ...বিস্তারিত
Wednesday, November 25, 2015
ম্যালেরিয়া ঠেকাবে মশা!
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী যে মশা, এবার সেই পতঙ্গটিকে এই রোগ ঠেকানোর কাজে লাগাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) মশা উদ্ভাবন করেছেন যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মানসিক চাপে বাড়ে ওজন
সুস্থ দেহের সাথে যেমন সুস্থ মনের যোগাযোগ আছে ঠিক তেমনি মনের অসুখের সাথেও যোগ রয়েছে দেহযন্ত্রের। এ বাস্তবতায় আমাদের অনেকের মাঝেই যে ধারণাটি প্রচলিত সেটি হলো, মনের কোনো ব্যামো হলে বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে সেটি পক্ষান্তরে আমাদের স্বাস্থ্যকেও বাহ্যিকভাবে খারাপ করে দেয় এবং এ অবস্থায় তাদেরকে হয়তো তুলনামূলক বেশি রোগা দেখায়। .........বিস্তারিত
পোষার জন্য রোবট বিড়াল
পোষা প্রাণীর প্রতি অনেকেরই আগ্রহ আছে। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় নিজের কাছে রাখা সম্ভব হয় না। কেননা ঠিক মতো খাওয়ানো কিংবা দেখাশুনা করা একটা বড় সমস্যা। প্রাণীপ্রেমীদের জন্য বিকল্প একটা উপায় নিয়ে এসেছে মার্কিন খেলনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হ্যাসব্রো। .......বিস্তারিত
আপেলের ফেসপ্যাক ত্বকের যত্নে
স্বাস্থ্যগুণের দিক দিয়ে আপেল একটি উল্লেখযোগ্য ফল। তবে একই সঙ্গে রূপচর্চার দিকে থেকেও এর ব্যবহার রয়েছে। আপেলের তৈরি ফেসপ্যাক ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের যত্নে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ টেবিল চামচ গ্রেট করা আপেল এবং ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই দুইটি উপাদান খুব ভালোভাবে মেশান। এরপর এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে হালনা গরমা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ চা চামচ গ্রেট করা আপেল, ১ চা চামচ টকদই আর ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা কমার সাথে সাথে উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
মিশ্র ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ টেবিল চামচ গ্রেট করা আপেলের সাথে ১/২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
তবে এই প্যাকগুলো ব্যবহারের আগে বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। আপেল আগে থেকে কেটে রাখলে তা অক্সিডাইজ হয়ে যায়। এই অবস্থায় আপেল ব্যবহার করলে তা ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবসময়ই তাত্ক্ষণিক কেটে ব্যবহার করতে হবে।
রান্না-বান্না
গরুর গোশতের ছেঁচা কাবাব
উপকরণ :
হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৩০০ গ্রাম
কাবাব মসলা ২ চা-চামচ
আদা ও রসুনবাটা ২ চা-চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ
কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ
জিরা ও ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ
লবণ স্বাদমতো
তেজপাতা ২টি
গরম মসলা (এলাচ/দারুচিনি/লবঙ্গ) ২টি করে
সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো।
প্রস্তুত প্রণালী :
গরুর গোশত পাতলা করে চারকোনা করে কেটে নিয়ে তা ছেঁচে নিতে হবে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-কাঁচা মরিচবাটা, লবণ, জিরা, ধনে গুঁড়া, তেজপাতা ও গরম মসলা মাখিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। গোশত সিদ্ধ হয়ে পানি শুকালে চুলা থেকে নামিয়ে তেজপাতা ও গরম মসলা ফেলে দিতে হবে। তারপর সিদ্ধ গোশতের সঙ্গে কাবাব মসলা মিশিয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে তাতে তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে গোশত ভাজতে হবে অল্প আঁচে। গোশত ভাজা ও পোড়া পোড়া হলে চুলা থেকে নামাতে হবে। এরপর গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
ডিমের শাহি কোরমাউপকরণ :
সিদ্ধ ডিম ১০টি
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ ৩ কাপ
লবণ স্বাদমতো
চিনি ২ চা চামচ
ঘি আধা কাপ
টক দই ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী :
কড়াইয়ে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিন। তাতে বাদাম বাটা ও আদা বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। টক দই মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে রং পরিবর্তন না হয়। এবার নারকেল দুধ দিয়ে ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিন। এবার তাতে সিদ্ধ ডিমগুলো ঢেলে ২ মিনিট ঢেকে রাখুন। কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
স্বাদের অনুভূতি কোথা থেকে আসে?
মানুষের খাবারের স্বাদ অনুভবের জন্য কোনটি দায়ী? জিহ্বা নাকি মস্তিষ্ক? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, জিহ্বা থেকে স্বাদের অনুভূতি আসে। যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, জিহ্বা খাবারের তথ্যগুলো সংগ্রহ করলেও তা মূলত মস্তিষ্ক থেকেই সম্পন্ন হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি, টক, নোনতা, তেঁতো কিংবা মসলাদার খাবারের স্বাদ মস্তিষ্কই পৃথক করে। আর এ স্বাদগুলোর তথ্য জিহ্বা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করে। মস্তিষ্কে এসব স্বাদের অনুভূতি বিশ্লেষণ ও পৃথক করা হয়। আর মস্তিষ্ক থেকেই এ স্বাদের অনুভূতি চালু বা বন্ধ করা যায়। সম্প্রতি গবেষকরা মস্তিষ্ক থেকেই স্বাদের অনুভূতি পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর এতে বিষয়টি যে সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জিহ্বা নয় বরং মস্তিষ্কই স্বাদের অনুভূতি তৈরি করে, এমন বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক চার্লস এস জুকার ও তার নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তিনি বলেন, ‘জিহ্বার নির্দিষ্ট স্নায়ুগুলো টক-মিষ্টি কিংবা অনুরূপ স্বাদ বিষয়ে তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্ক এ তথ্য বিশ্লেষণ করে এগুলোর স্বাদ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’ অপটোজেনেটিক্স নামে যন্ত্রের সাহায্যে গবেষকরা লেজার লাইট ব্যবহার করে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু নিউরনকে কার্যকর করে স্বাদের অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদকেই বেছে নেন। মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, এ দুটি স্বাদ সবচেয়ে জটিল এবং উল্লেখযোগ্য স্বাদ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের জন্য। গবেষকরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে কৃত্রিমভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। এছাড়া তারা ইঞ্জেকশনের সাহায্যে রাসায়নিক প্রবেশ করিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে মিষ্টির অনুভূতি দূর করতেও সক্ষম হন। মস্তিষ্কে যতক্ষণ এ রাসায়নিক থাকে ততক্ষণ ইঁদুর মিষ্টি স্বাদ পায় না। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেলেও একই প্রক্রিয়া মানুষসহ অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বিশ্ব হোমিওপ্যাথির জাগরণ
৩৫টি দেশের ২৪০০ ডেলিগেটের অংশগ্রহণে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বিশ্ব হোমিওপ্যাথিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল গত ১-৪ ডিসেম্বর আয়োজক সংস্থা ‘লিগা মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিস (Liga Medicorum Homoeopathica Internationals)। এটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের বিশ্ব সংস্থা। ১৯২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এ সংস্থার জন্ম। জেনেভায় এর রেজিস্টার্ড অফিস। প্রথমে ৯টি দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে এ সংস্থা গঠিত হয়, যার প্রথম সভাপতি ছিলেন আমেরিকান চিকিৎসক ডা. রয় উপহ্যাম (Dr. Roy Upham)। এ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি সংস্থার ৬৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ভারতে। আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৪-১৭ তারিখে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে লিগার ৬৭তম সম্মেলন।
৬৬তম লিগা সম্মেলনটি ছিল বেশ জাকজমকপূর্ণ। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো Homoeopathy for Public Health. দিল্লীর বিলাসবহুল সিরিফোর্ট মিলনায়তনের ৪টি হলে একই সময়ে চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ৩০০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ডা. দেবাশীষ রানা তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষা করেন। যদিও বাংলাদেশের কৃতিসন্তান ডা. পরেশ চন্দ্র মোদক-এর গবেষণাপত্র সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল, কিন্তু তিনি অজ্ঞাত কারণে সম্মেলনে যাননি। এটি আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক কারণ ছিল। সম্মেলনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা দেবীসিং পাতিল বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তিনি বলেন, "Homoeopathy is a well-established, recognized and widely accepted system of medicine in India. It is safe and curative in chronic diseases. There is need to undertake organized research in Homoeopathy to make it a Prime public health system." এ সম্মেলন থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গবেষকরা ঘোষণা করেছেন যে, আগামী বিশ্বে হোমিওপ্যাথি ‘চিকিৎসা সুপার পাওয়ার' হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল, যাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোমিওপ্যাথিক পুস্তক সংস্থা এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করে। প্রকাশনা সংস্থাগুলো তাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বইগুলো প্রদর্শনীতে স্থান দেয়ায় চিকিৎসকরা উপকৃত হয়েছেন। বিশেষভাবে যারা গবেষণায় নিয়োজিত তারা এ সম্মেলন থেকে হোমিওপ্যাথির আধুনিক চিন্তাধারার প্রচুর বই সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ভারতীয় সরকারি সংস্থা সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি (Central Council for Research in Homoeopathy) তাদের নানা ধরনের গবেষণা পুস্তক নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের ‘ক্লিনিক্যাল রিসার্চ স্টাডিজ' সিরিজের বইগুলো গবেষকদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাদের ডিজিজ মনোগ্রাফ (Disease Monograph) সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ বই HIV/AIDS AND HOMOEOPATHIC MANAGEMENT এবং Diabetes Mellitus. যেখানে এইডস এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়ে সারা বিশ্বে হতাশা বিরাজ করছে, সেখানে তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, হোমিওপ্যাথিতে এ ধরনের দূরারোগ্য রোগের চিকিৎসা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ প্রুভিংস নিয়েও সংস্থাটির রয়েছে সিরিজ প্রকাশনা, যা যে কোন হোমিওপ্যাথিক গবেষকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ‘ক্লিনিক্যাল ভেরিফিকেশন' প্রকাশনা সিরিজটি আধুনিক হোমিওপ্যাথির জন্য একটি অনন্য অবদান। সংস্থাটির প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল "Homoeopathy for mother and child care' হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের মা ও ও শিশু চিকিৎসায় দক্ষতা অর্জনের এক অনন্য হাতিয়ার। আমরা যদি বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি গবেষণায় এগিয়ে যেতে চাই তাহলে উল্লেখিত প্রকাশনাগুলো আমাদেরকে পথ দেখাবে। কারণ বিশ্বে একমাত্র উক্ত সংস্থাটিই হোমিওপ্যাথির আধুনিক গবেষণায় দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
লিগা সম্মেলনে উপস্থাপিত ৩০০টি গবেষণা পত্রের সবগুলোই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় যে সব রোগের সমাধান দিতে ব্যর্থ, সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির সফলতার কথা উঠে এসেছে এসব গবেষণাপত্রে। যেমন, ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সফলতা নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে অনেকগুলো ক্লিনিক্যাল স্টাডি রিপোর্ট, যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপিত এ ধরনের গবেষণা কর্ম ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
যে সব চিকিৎসক দ্বিধাদ্বনদ্ব নিয়ে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় অবতীর্ণ হতেন তাদের জন্য এসব গবেষণা পথপ্রদর্শকের কাজ করবে। আবার যারা বাণিজ্যিকভাবে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা করতেন, তাদের জন্য অনেক সতর্ক বার্তা রয়েছে এসব গবেষণায়। কারণ একাডেমিক শিক্ষা এবং দক্ষতা না থাকলে যে ক্যান্সারের ন্যায় রোগের চিকিৎসা দেয়া যায় না তা ফুটে উঠেছে ঐসব গবেষণাপত্রে। আসলে এ ধরনের সম্মেলন চিকিৎসকদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।
যক্ষ্মা বা টিবি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সফলতা নিয়ে খুবই উন্নতমানের গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে লিগা সম্মেলনে। বিশেষভাবে ভারতের ডা: প্রবীন কুমারের উপস্থাপিত ‘‘An in vitro study on effect of Tuberculinum on genetic sequence of multidrug strains of mycobacteriwm tuberculosis’’ গবেষণা পত্রটি যে কোন যক্ষ্মা গবেষকের জন্য অনুসরণীয়। মানসিক রোগ এবং ড্রাগ আসক্তি নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি ঔষধের সফলতার গল্পগুলো যে কোন মানুষের মনেই হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে উন্নত ধারণা সৃষ্টি করবে। আর এ ধরনের অনেকগুলো গবেষণাপত্র স্থান পেয়েছে লিগা সম্মেলনে।
সবচেয়ে বড় খবর হচ্ছে, বাংলাদেশে নতুন রোগ বলে পরিচিত চিকনগুনিয়া (Chikungunia) নিয়ে দুর্দান্ত এক গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে লিগা সম্মেলনে। ভাইরাল কিভার বা চিকনগুনিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ‘‘ব্রায়োনিয়া’’ ঔষধটির ব্যবহার এ গবেষণায় প্রমাণ করা হয়েছে। চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে রাস টক্স (Rhus Tox) এবং ইউপেটিরিয়াম পারপ (Eupatorium Purp) ঔষধ দু'টির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ক্লিনিক্যাল স্টাডি দ্বারা। ডেঙ্গু জ্বরে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ব্রাজিলের এক গবেষণাপত্রে। এভাবে এপিডেসিক ডিজিজে হোমিওপ্যাথি ঔষধের কার্যকারিতা ক্লিনিক্যাল স্টাডি দ্বারা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ব দরবারে হোমিওপ্যাথির মর্যাদার আসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দাঁতের রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে। পশু চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিয়ে যে সব গবেষণা স্থান পেয়েছে, তাতে দেখা যায় যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধের আরেকটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
চারদিনের লিগা সম্মেলনে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানা গেছে। একটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে যে, মানসম্পন্ন হোমিওপ্যাথি ঔষধ উৎপাদন খুবই ব্যয়বহুল। যেমন নোসোড গ্রুপের ঔষধ উৎপাদনে একটি জীবাণুর দাম ৫০ হাজার ইউরো। আর একটি ফার্মাসিউটিক্যাল তেলাপোকার দাম ১০-২০ হাজার ইউরো।
সম্মেলনের শেষ দিনে সব চিকিৎসকেরই মন খারাপ হয়েছে। বিশাল আয়োজন, বিশাল তথ্য ভান্ডার, বিশাল গবেষণাপত্রের এ সুন্দর আয়োজন আবার কবে হবে দক্ষিণ এশিয়ায় তা কে জানে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম ভবিষ্যতের দক্ষিণ এশিয় লিগা সম্মেলনের জন্য।
Subscribe to:
Posts (Atom)
কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা
তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...

-
অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্য...
-
অনেকেই মাঝ রাতে ডিনার করেন। তবে ডাক্তাররা বলছেন, রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম। কি...