মানুষের খাবারের স্বাদ অনুভবের জন্য কোনটি দায়ী? জিহ্বা নাকি মস্তিষ্ক? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, জিহ্বা থেকে স্বাদের অনুভূতি আসে। যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, জিহ্বা খাবারের তথ্যগুলো সংগ্রহ করলেও তা মূলত মস্তিষ্ক থেকেই সম্পন্ন হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি, টক, নোনতা, তেঁতো কিংবা মসলাদার খাবারের স্বাদ মস্তিষ্কই পৃথক করে। আর এ স্বাদগুলোর তথ্য জিহ্বা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করে। মস্তিষ্কে এসব স্বাদের অনুভূতি বিশ্লেষণ ও পৃথক করা হয়। আর মস্তিষ্ক থেকেই এ স্বাদের অনুভূতি চালু বা বন্ধ করা যায়। সম্প্রতি গবেষকরা মস্তিষ্ক থেকেই স্বাদের অনুভূতি পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর এতে বিষয়টি যে সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জিহ্বা নয় বরং মস্তিষ্কই স্বাদের অনুভূতি তৈরি করে, এমন বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক চার্লস এস জুকার ও তার নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তিনি বলেন, ‘জিহ্বার নির্দিষ্ট স্নায়ুগুলো টক-মিষ্টি কিংবা অনুরূপ স্বাদ বিষয়ে তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্ক এ তথ্য বিশ্লেষণ করে এগুলোর স্বাদ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’ অপটোজেনেটিক্স নামে যন্ত্রের সাহায্যে গবেষকরা লেজার লাইট ব্যবহার করে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু নিউরনকে কার্যকর করে স্বাদের অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদকেই বেছে নেন। মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, এ দুটি স্বাদ সবচেয়ে জটিল এবং উল্লেখযোগ্য স্বাদ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের জন্য। গবেষকরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে কৃত্রিমভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। এছাড়া তারা ইঞ্জেকশনের সাহায্যে রাসায়নিক প্রবেশ করিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে মিষ্টির অনুভূতি দূর করতেও সক্ষম হন। মস্তিষ্কে যতক্ষণ এ রাসায়নিক থাকে ততক্ষণ ইঁদুর মিষ্টি স্বাদ পায় না। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেলেও একই প্রক্রিয়া মানুষসহ অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
Wednesday, November 25, 2015
স্বাদের অনুভূতি কোথা থেকে আসে?
মানুষের খাবারের স্বাদ অনুভবের জন্য কোনটি দায়ী? জিহ্বা নাকি মস্তিষ্ক? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, জিহ্বা থেকে স্বাদের অনুভূতি আসে। যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, জিহ্বা খাবারের তথ্যগুলো সংগ্রহ করলেও তা মূলত মস্তিষ্ক থেকেই সম্পন্ন হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি, টক, নোনতা, তেঁতো কিংবা মসলাদার খাবারের স্বাদ মস্তিষ্কই পৃথক করে। আর এ স্বাদগুলোর তথ্য জিহ্বা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করে। মস্তিষ্কে এসব স্বাদের অনুভূতি বিশ্লেষণ ও পৃথক করা হয়। আর মস্তিষ্ক থেকেই এ স্বাদের অনুভূতি চালু বা বন্ধ করা যায়। সম্প্রতি গবেষকরা মস্তিষ্ক থেকেই স্বাদের অনুভূতি পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর এতে বিষয়টি যে সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জিহ্বা নয় বরং মস্তিষ্কই স্বাদের অনুভূতি তৈরি করে, এমন বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক চার্লস এস জুকার ও তার নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তিনি বলেন, ‘জিহ্বার নির্দিষ্ট স্নায়ুগুলো টক-মিষ্টি কিংবা অনুরূপ স্বাদ বিষয়ে তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্ক এ তথ্য বিশ্লেষণ করে এগুলোর স্বাদ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’ অপটোজেনেটিক্স নামে যন্ত্রের সাহায্যে গবেষকরা লেজার লাইট ব্যবহার করে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু নিউরনকে কার্যকর করে স্বাদের অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদকেই বেছে নেন। মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, এ দুটি স্বাদ সবচেয়ে জটিল এবং উল্লেখযোগ্য স্বাদ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের জন্য। গবেষকরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে কৃত্রিমভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। এছাড়া তারা ইঞ্জেকশনের সাহায্যে রাসায়নিক প্রবেশ করিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে মিষ্টির অনুভূতি দূর করতেও সক্ষম হন। মস্তিষ্কে যতক্ষণ এ রাসায়নিক থাকে ততক্ষণ ইঁদুর মিষ্টি স্বাদ পায় না। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেলেও একই প্রক্রিয়া মানুষসহ অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা
তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...

-
অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্য...
-
অনেকেই মাঝ রাতে ডিনার করেন। তবে ডাক্তাররা বলছেন, রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম। কি...
No comments:
Post a Comment