ফুসফুস বা লাঙ্গস শরীরের বক্ষ পিঞ্জরে অবস্থিত। আমাদের একজোড়া ফুসফুস আছে। আর ফুসফুস নামক এই অরগানের প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন সরবরাহ করা এবং দুষিত কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ করা। আর মজার ব্যাপার হলো আমরা যখন কথা বলি, হাসি, কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি অথবা কণ্ঠে সঙ্গীতের মূর্ছনায় আবেগ প্রবণ হই তখন যে বাতাসের প্রয়োজন হয় তাও আসে ফুসফুস থেকে। আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যও ফুসফুস অপরিহার্য। অথচ আমরা শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ ভাইটাল অঙ্গটির ওপর কতনা অত্যাচার করি। ধূমপানের অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে ফুসফুসকে
ক্ষত-বিক্ষত করি। আর এই ফুসফুসের রোগকে বৃটেনের মত উন্নত দেশও ‘বিগেস্ট কিলার’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। আর এই ফুসফুসকে আক্রান্ত করবার মত ৩০টি রোগকে সনাক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। তন্মধ্যে যক্ষ্মা, অ্যাজমা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, দীর্ঘ মেয়াদী অবসট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিজ, ক্যান্সার ও নিউমোনিয়াকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলা হয়েছে। আর ফুসফুসকে ভালো রাখতে নূন্যতম কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন: ধূমপান একেবারেই বর্জন করতে হবে। কোন অজুহাতেই ধূমপান করা যাবেনা। সব সময় অ্যাকটিভ থাকতে হবে এবং করতে হবে নিয়মিত এক্সারসাইজ। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ সবজি ও ফলমূল আহার করতে হবে। ডিপ ব্রিদিং বা লম্বা শ্বাস নিয়ে ফুসফুসকে শক্তিশালী রাখতে হবে অর্থাত্ লাঙ্গ ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ রাখতে হবে স্বাস্থ্য সম্মত। এমনকি প্যাসিভ স্মোকিং থেকেও নিজেকে রক্ষা করতে হবে। মহিলাগণের ফুসফুসের উপসর্গ সমূহের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া শীতে ঠান্ডা থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের যাতে নিউমোনিয়া না হয় তা দেখতে হবে। এছাড়া বড়দের লাঙ্গস ভালো রাখতে অবশ্যই ইনফেকশন যাতে না হয় তার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি ফুসফুস ভালো রাখার জন্য আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। অথবা ব্রিটিশ থোরাসিক সোসাইটির ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment