সবুজ কলা, যা সাধারণের কাছে কাঁচকলা নামে পরিচিত, সেই কাঁচকলা ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশায় বা ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমেরিকান গ্যাস্ট্রো অ্যান্ট্রলজি অ্যাসোসিয়েশনের গ্যাস্ট্রো অ্যান্ট্রোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানিয়েছেন আইসিডিডিআরবির গবেষক, ডা. জিএইচ রব্বানী। ১-২ বছর বয়সের ২০০ শিশুর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে ২-৪ দিনের মধ্যে ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত শিশুরা সেরে উঠছে। গবেষণায় বলা হয়েছে কাঁচকলায় রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টার্চ বা শকরা জাতীয় উপাদান, যা মানুষের হজমযোগ্য নয়। এই উপাদানটি পরিপাকনালী পৌঁছার পর সেখানে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে ফ্যাটি এসিডে পরিণত হয়। এ ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাকনালী থেকে লবণ ও পানিকে শোষণ করে ধরে রাখার মাধ্যমে ডায়রিয়া রোধ করে। এ গবেষনার সময় ২৫০ গ্রাম সিদ্ধ করা কাঁচকলার সঙ্গে ১০ গ্রাম চালের গুঁড়া এক সঙ্গে রান্না করে ধকধকে জাউ হিসেবে চামচ দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয়, যেহেতু চার মাস বয়সের আগে শিশুদের হজমক্ষমতা পূর্ণতা পায় না; তাই এই বয়সের আগে কাঁচকলার এই জাউ খাইয়ে কোনো লাভ হবে না। কিন্ত্ত সব বয়সের ক্ষেত্রে কাঁচকলা ডায়রিয়া কমাতে কতটুকু সাহায্য করবে তা নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি। তা ছাড়া এ গবেষণা ডায়রিয়া আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ওপর পরিচালিত হওয়ায় ডায়রিয়ার শুধু কাঁচকলার জাউ খেলেই চলবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষণায় আরো বলা হয়, যেকোনো জাতের কাঁচকলা দিয়েই এটি তৈরি করা যেতে পারে। তবে পাকা কলায় এই উপকরণ পাওয়া যাবে না। কারণ পেকে যাওয়ার সঙ্গে বিশেষ ধরনের সেই স্টার্চ চিনিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
Wednesday, November 18, 2015
ডায়রিয়া ও আমাশয়ে কাঁচকলা উপকারী
সবুজ কলা, যা সাধারণের কাছে কাঁচকলা নামে পরিচিত, সেই কাঁচকলা ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশায় বা ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমেরিকান গ্যাস্ট্রো অ্যান্ট্রলজি অ্যাসোসিয়েশনের গ্যাস্ট্রো অ্যান্ট্রোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানিয়েছেন আইসিডিডিআরবির গবেষক, ডা. জিএইচ রব্বানী। ১-২ বছর বয়সের ২০০ শিশুর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে ২-৪ দিনের মধ্যে ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত শিশুরা সেরে উঠছে। গবেষণায় বলা হয়েছে কাঁচকলায় রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টার্চ বা শকরা জাতীয় উপাদান, যা মানুষের হজমযোগ্য নয়। এই উপাদানটি পরিপাকনালী পৌঁছার পর সেখানে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে ফ্যাটি এসিডে পরিণত হয়। এ ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাকনালী থেকে লবণ ও পানিকে শোষণ করে ধরে রাখার মাধ্যমে ডায়রিয়া রোধ করে। এ গবেষনার সময় ২৫০ গ্রাম সিদ্ধ করা কাঁচকলার সঙ্গে ১০ গ্রাম চালের গুঁড়া এক সঙ্গে রান্না করে ধকধকে জাউ হিসেবে চামচ দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয়, যেহেতু চার মাস বয়সের আগে শিশুদের হজমক্ষমতা পূর্ণতা পায় না; তাই এই বয়সের আগে কাঁচকলার এই জাউ খাইয়ে কোনো লাভ হবে না। কিন্ত্ত সব বয়সের ক্ষেত্রে কাঁচকলা ডায়রিয়া কমাতে কতটুকু সাহায্য করবে তা নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি। তা ছাড়া এ গবেষণা ডায়রিয়া আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ওপর পরিচালিত হওয়ায় ডায়রিয়ার শুধু কাঁচকলার জাউ খেলেই চলবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি। গবেষণায় আরো বলা হয়, যেকোনো জাতের কাঁচকলা দিয়েই এটি তৈরি করা যেতে পারে। তবে পাকা কলায় এই উপকরণ পাওয়া যাবে না। কারণ পেকে যাওয়ার সঙ্গে বিশেষ ধরনের সেই স্টার্চ চিনিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা
তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...

-
অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্য...
-
অনেকেই মাঝ রাতে ডিনার করেন। তবে ডাক্তাররা বলছেন, রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম। কি...
No comments:
Post a Comment