Tuesday, November 10, 2015

জিহ্বার ক্যান্সার

ক্যান্সার তখনই সৃষ্টি হয় যখন শরীরের কোষ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিতভাবে হতে থাকে অস্বাভাবিকরূপে। জিহ্বার ক্যান্সার ও একইভাবে হয়ে থাকে। মানবদেহে জিহ্বার দৃটি অংশ রয়েছে। একটি হল ওরাল টাং বা জিহ্বা যা আমরা সচরাচর সহজেই দেখতে পাই জিহ্বার এ অংশ হল জিহ্বার সামনের তিন ভাগের দুই ভাগ। জিহ্বার অন্য অংশকে জিহ্বার বেস বলা হয় অর্থাৎ জিহ্বার পিছনের তিন ভাগের এক ভাগ। জিহ্বার ক্যান্সার সাধারণত মুখ এবং ওরোফেরিংস (মুখের পিছনে গলার অংশ) কে আক্রান্ত করে থাকে। জিহ্বার পিছনের এই অংশে ক্যান্সার হলে তাকে ওরোফেরিনজিয়াল ক্যান্সার বলা হয়। জিহ্বায় যে ধরণের ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা। স্কোয়ামাস সেল মুখের লাইনিংকে আবৃত করে রাখে। স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বলা হয় এই কারণেই যে, ক্যান্সারের শুরু হয় এ সেল বা কোষ থেকে। 
জিহ্বার ক্যান্সারের কারণ ঃ (ক) ধূমপান (খ) তামাক পাতা সেবন (গ) অতিরিক্ত এলকোহল সেবনের কারণে। 
জিহ্বার ক্যান্সার কাদের হতে পারে? ঃ (ক) পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে (খ) যাদের মুখের স্বাস্থ্য খুবই খারাপ থাকে (গ) চলি্লশ বছরের উপরে বয়স হলে (ঘ) ধূমপান বা এলকোহল সেবনের কারণে মুখের মিউকাস মেমব্রেনের ক্রমাগত প্রদাহের কারণে (ঙ) যাদের ক্রমাগত মুখের আলসার হয়ে থাকে (চ) জেনেটিক কারণেও হতে পারে। 
জিহ্বার ক্যান্সার হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যথাসময় চিকিৎসা গ্রহণ করলে জিহ্বার ক্যান্সার থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। 

No comments:

Post a Comment

কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...