
এভাবেই চলত দুষ্টামি ভর সময়।
আর স্কুল মানেতো একটা অন্যরকম ভাল লাগার স্থান। স্কুলে না গেলে ভালই লাগত না। রাত আসলে শুধু অপেক্ষায় থাকতাম কখন দিন হবে। কখন স্কুলে যেতে পারব। কখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারব, কখন এই কবিতাটি স্যারের কাছে শুনিয়ে দিতে পারব, কখন স্কুল বন্ধুদের টাকায় আইসক্রীম খেতে পারব। তবে আইসক্রীম না খেলেতো থাকতেই পারতাম না। আইসক্রীম আবার দু রকম ছিল। একটা নারকেলের তৈরী যাকে বলা হত নারকেলের আইসক্রীম আর একটা পানসে আইসক্রীম। আমাদের এক বান্ধবী ছিল আবার অন্যরকম। নাম ছিল আসমা। সে আইসক্রীম খাবার সবচেয়ে বেশী পটু ছিল। আমাদের বলত আমি বিয়ে করলে আইসক্রীম ওয়ালাকে বিয়ে করব। আমরা বলতাম কেনরে। বলত বাবা মা আইসক্রীম খাবার যে টাকা দেয় তা দিয়ে ভাল মতো মনের মত করে প্রতিদিন আইসক্রীম খেতে পারি না। তার কথা শুনে আমরা খিল খিল করে হেসে ফেলতাম। আমরা স্কুলের বন্ধুরা তাকে আইসক্রীম ওলার বউ বলে ডাকতাম। মাঝে মধ?্য সে রেগে যেত স্যারদের কাছে বলে দিবে বলে ভয় দেখাত। একবারতো স্যারের কাছে আমাদের অনেকের নামে নালিশ করে বসল। ক্লাস রুমে তার নালিশের কথা শুনে স্যারসহ সবাই হেসে ফেলেছিল। সেদিন ক্লাসের ভিতর যেন খই ফোটার মত শব্দ হচ্ছিল। পরেতো আমরা আবার স্কুল ছুটে হলে তাকে আইসক্রম ওয়ালার বউ বলে রাগাতাম। এভাবে চলত স্কুল সময় গুলো। তবে আমাদের ভিতর একটা বেশি প্রতিযোগীতা ছিল স্কুল ফাস্ট হওয়া। এজন্য আমরা সবাই গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া লেখা করতাম। আর স্কুলের ক্লাস করতাম নিয়মিত। এক সাথে প্রাইভেটে যেতাম। প্রতিযোগিতা করতাম কে আগে বসবে। আগের বেঞ্চে বসলে ভাল শোনা যেত। বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয় অনেক ভাল। তোমাদের শৈশব কৈশর অনেক ভাল কাটছে। আরো ভাল কাটুক এই শুভ কামনা রইল।
No comments:
Post a Comment