উন্নয়নশীল দেশে ডায়েরিয়া একটি বড় ধরনের সমস্যা। এর জন্য মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। ডায়েরিয়ার জন্য ম্যালনিউট্রিশন হয় এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে বিভিন্ন সংক্রমণ হয়।
ডায়েরিয়া কী?
পাতলা জলের মতো মল যা বারে বারে হয়।
গ্যাস্ট্রোএনটারাইটিস কী?
এটি একটি ক্লিনিক্যাল সিনড্রোম। যখন ডায়েরিয়ার সঙ্গে বমি হয়, এর সঙ্গে জ্বর থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে।
ডায়েরিয়া যে কোনও বয়সেই হতে পারে। কিন্তু ডায়েরিয়া দু’বছরের কম বয়সের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। (৬—৯) মাসের শিশুদেরই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় এবং বর্ষাকালে প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। যে সমস্ত শিশুরা গরিব পরিবারভুক্ত সেই সমস্ত শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। গরিব পরিবারের শিশুরা অস্বাস্থকর পরিবেশে থাকে এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি না জানার জন্যই বেশি আক্রান্ত হয়। এই ধরনের ডায়েরিয়া দাঁত ওঠার সময়ই বেশি দেখা যায়। অনেকেরই ধারণা দাঁত ওঠার জন্যই ডায়েরিয়া হয়। এটা সাধারণত হয় অপরিষ্কার হাত ও অপরিচ্ছন্ন জিনিস মুখে দেওয়ার জন্য। ফলে সংক্রমণ খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে এবং ডায়েরিয়া হয়।
কোন্ কোন্ সংক্রমণ থেকে ডায়েরিয়া হয়?
২৫শতাংশ থেকে ৫০শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে রোটা ভাইরাস দায়ী।
ই-কোলাই জাতীয় ব্যাকটিরিয়া থেকেও ডায়েরিয়া হতে পারে।
ভিবরিয়ো কলেরি গ্যাসট্রোএনটারাইটিসের জন্য দায়ী।
জিয়ার্ডিয়া ল্যামলিয়া (৭-১৫) শতাংশ রোগীর ডায়েরিয়ার জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার জন্য ডায়েরিয়া হয়।
ডায়েরিয়ার নন ইনফেকটিভ কারণ
কাউ মিল্ক অ্যালার্জি।
ডায়েরিয়ার লক্ষণ :—
১) ডায়েরিয়া হঠাৎ শুরু হতে পারে অথবা আস্তে আস্তে শুরু হতে পারে সাধারণত (৫-৭) দিন থাকে।
২) পায়খানা বারে বারে হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩) রক্তের মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য পেটটা ফুলে যায়।
৪) রোটা ভাইরাস ডায়েরিয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে বমি হয় এবং সামান্য জ্বর আসতে পারে।
৫) বমি ও পায়খানার মাধ্যমে দ্রুত শরীর থেকে জল ও ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায়।
৬) শিশুর ওজন কমে যায়।
৭) শিশুর ওজনের ৫শতাংশ যদি ওজন কমে, আমরা তাকে মাইল্ড ডিহাইড্রেশান বলি।
৮) শিশুর ওজনের (৫-১০) শতাংশ যদি ওজন কমে, আমরা তাকে মডারেট ডিহাইড্রেশান বলি।
৯) শিশুর ওজনের ১০শতাংশ-এর বেশি যদি ওজন কমে, আমরা তাকে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান বলি। এই অবস্থায় শিশুর রেনাল ফেলিওর শুরু হয়।
সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান একটি ইমারজেন্সি অবস্থা।
শিশু কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থায় কোনও সাড়া দেয় না।
পেরিফেরাল সারকুলেটরি ফেলিওর হয়।
হাত, পা ঠান্ডা হয়, তখন শরীর গরম থাকে।
নাড়ি দ্রুত ও ক্ষীণ হয়।
প্রস্রাবের পরিমাণ যথেষ্ট কমে যায়।
চোখগুলি বসে যায়।
অ্যানটিরিয়ার কনটেনেলি যদি ওপেন থাকে তাহলে বসে যায়।
মুখের মিউকাস মেমব্রেন ও জিব শুকিয়ে যায়।
প্রচণ্ড জল পিপাসা লাগে।
সেরামের মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম লেভেল কমে যাওয়ার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে খিঁচুনি শুরু হয়।
ম্যানেজমেন্ট
ওরাল রিহাইড্রেশান : মাইল্ড থেকে মডারেট ডিহাইড্রেশানের ক্ষেত্রে মুখের মাধ্যমে রিহাইড্রেশান করা সম্ভব। এটা করা হয় হু-এর ওরাল রিহাইড্রেশান ফ্লুইডের মাধ্যমে।
ইনট্রাভেনাম হাইড্রেশান: সে ক্ষেত্রে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান হয় এবং বারে বারে বমি হতে থাকে, উপরের পেট ফুলে যায়। সেই ক্ষেত্রে আই ভি ইনফিউশান প্রয়োজন। সিভিয়ার ডিহাইড্রেশানের জন্য শিশুর হাইপোভলিমিক শক্ হয় এবং গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশান রেট কমে যায় এবং ইউরিমিয়া ডেভেলপ করে।
চিকিৎসা: এই রকম সিভিয়ার অবস্থাতেও হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ অতি দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা রাখে।
ক্রনিক ডায়েরিয়া:
কারণ:
অন্ত্রে স্ট্রাকচারাল ও ফাংশনাল পরিবর্তনজনিত — সিলিয়াক ডিজিজ
কাউ মিল্ক অ্যালার্জি অথবা অন্যান্য খাদ্যে অ্যালার্জি
এনটারাইটিস
ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার
প্যাংক্রিয়েটিক এনজাইমের অনুপস্থিতি জনিত
সিসটিক ফাব্রোসিস
ক্রনিক প্যাংক্রিয়েটাইটিস
বাইল সল্টের অনুপস্থিতি জনিত
লিভারের রোগ
বাইল ডাক্ট এট্রেসিয়া
সিলিয়াক ডিজিজ
এটি ম্যাল অ্যাবজর্পশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
লক্ষণ:
বারে বারে ডায়েরিয়া হয়।
স্টুল পরিমাণে অনেকটা হয় এবং ফেনাযুক্ত।
শিশুর বারে বারে ডায়েরিয়ার সঙ্গে বমি হতে থাকে এবং ভীষণভাবে ডিহাইড্রেশান হয়।
পেটটা ফুলে ওঠে এবং পেশি সঙ্কুচিত হয়। পাছা ও অঙ্গপ্রতঙ্গের সাবকিউটেনিয়াস টিসু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
শিশুটি বদমেজাজী ও খিটখিটে হয়।
শরীরে রক্তাল্পতা ও ভিটামিনের অভাব ঘটে।
রোগ নির্ণয়:
ক্লিনিক্যাল লক্ষণের ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় করা হয়।
খাবার থেকে গম জাতীয়, রাই, বার্লি, ওট ইত্যাদি বাদ দিলে রোগ লক্ষণের উন্নতি হয়।
জেজুন্যাল বায়োপসিতে ভিলাস অ্যাট্রপি পাওয়া যায়।
স্টুলে ফ্যাট বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
সিসটিক ফাইব্রোসিস
এটি একটি জন্মগত রোগ। যে সমস্ত এস্কোক্রাইন গ্ল্যান্ড শরীরে আছে বিশেষত রেসপিরেটরি এবং গ্যাসট্রোইনটেসটিন্যাল সিস্টেমে সেইগুলি বেশি আক্রান্ত হয় এবং অস্বাভাবিক চটচটে মিউকাস তৈরি হয়। এই সমস্ত সিক্রিশান প্যাংক্রিয়েটিক ডাক্ট বন্ধ করে দেয়। প্যাংক্রিয়াসে যে সেলগুলি আছে সেগুলি সিস্টের আকার নেয়। এর ফলে প্যাংক্রিয়াটিক সিক্রিশান ডিয়োডিনামে পৌঁছায় না। লাংসে ঘন মিউকাস প্লাগ ব্রোঙ্কিবলে বাধা সৃষ্টি করে ফলে লাংস কোলাপস হয় এবং ইনফেকশান হয়। পরবর্তিকালে ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ তৈরি হয়।
কী কী লক্ষণ পাওয়া যায়
ক্রনিক ডায়েরিয়া
বারে বারে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে ইনফেকশান।
শিশুর বৃদ্ধি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়।
বিলিয়ারি সিরোসিশ প্রায়ই দেখা যায়।
রেকটাম বেরিয়ে আসে।
রোগ নির্ণয়:
খুব শিশু বয়সে বারে বারে রেসপিরেটরি ইনফেকশান সঙ্গে ডায়েরিয়া।
চেষ্ট এক্স-রে করলে লাংস আক্রান্ত হয়েছে বোঝা যায়।
ঘামের ক্লোরাইড অ্যানালিসিস একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যদি ক্লোরাইড লেভেল ৬০মিলি ইকুইভ্যালেন্ট প্রতি লিটারের বেশি হয় এটাই রোগ নির্ণয়ের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
কী ধরনের খাদ্য দেওয়া উচিত?
কম কম করে খাবার দিতে হবে।
যে সমস্ত খাদ্য পুষ্টিগুণযুক্ত এবং সহ্য করতে পারে সেই ধরনের খাদ্য দিতে হবে, ধীরে ধীরে খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
রোগ কমের দিকে এলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে।
কাউ মিল্ক প্রোটিন ইনটলারেন্স (CMPI)
শিশুর প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই মিল্ক প্রোটিন সহ্য না হওয়া বুঝতে পারা যায়।
কী লক্ষণ পাওয়া যায়?
ডায়েরিয়া বমি, পেট ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ।
বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধি না পাওয়া।
স্টোম্যাক ও অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ।
রোগ নির্ণয়:
মিল্ক প্রোটিন অ্যালার্জির সঠিক পরক্ষা নেই।
তবে জেজুনাল বায়োপসি করলে ভিলাস অ্যাট্রপি পাওয়া যায়।
মিল্ক প্রোটিন বাদ দিলে ডায়েরিয়া বন্ধ হওয়া এবং মিল্ক প্রোটিন কমপক্ষে তিনবার দিলে ডায়েরিয়া শুরু হওয়া এটাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
চিকিৎসা:
এই সমস্ত ক্রনিক ডায়েরিয়াতেও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ঠিকমতো প্রয়োগ করলে রোগ সারানো সম্ভব। তবে বেশি বাড়াবাড়ি হলে অন্যপথ নেওয়া উচিত।
ডায়েরিয়া কী?
পাতলা জলের মতো মল যা বারে বারে হয়।
গ্যাস্ট্রোএনটারাইটিস কী?
এটি একটি ক্লিনিক্যাল সিনড্রোম। যখন ডায়েরিয়ার সঙ্গে বমি হয়, এর সঙ্গে জ্বর থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে।
ডায়েরিয়া যে কোনও বয়সেই হতে পারে। কিন্তু ডায়েরিয়া দু’বছরের কম বয়সের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। (৬—৯) মাসের শিশুদেরই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় এবং বর্ষাকালে প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। যে সমস্ত শিশুরা গরিব পরিবারভুক্ত সেই সমস্ত শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। গরিব পরিবারের শিশুরা অস্বাস্থকর পরিবেশে থাকে এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি না জানার জন্যই বেশি আক্রান্ত হয়। এই ধরনের ডায়েরিয়া দাঁত ওঠার সময়ই বেশি দেখা যায়। অনেকেরই ধারণা দাঁত ওঠার জন্যই ডায়েরিয়া হয়। এটা সাধারণত হয় অপরিষ্কার হাত ও অপরিচ্ছন্ন জিনিস মুখে দেওয়ার জন্য। ফলে সংক্রমণ খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে এবং ডায়েরিয়া হয়।
কোন্ কোন্ সংক্রমণ থেকে ডায়েরিয়া হয়?
২৫শতাংশ থেকে ৫০শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে রোটা ভাইরাস দায়ী।
ই-কোলাই জাতীয় ব্যাকটিরিয়া থেকেও ডায়েরিয়া হতে পারে।
ভিবরিয়ো কলেরি গ্যাসট্রোএনটারাইটিসের জন্য দায়ী।
জিয়ার্ডিয়া ল্যামলিয়া (৭-১৫) শতাংশ রোগীর ডায়েরিয়ার জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার জন্য ডায়েরিয়া হয়।
ডায়েরিয়ার নন ইনফেকটিভ কারণ
কাউ মিল্ক অ্যালার্জি।
ডায়েরিয়ার লক্ষণ :—
১) ডায়েরিয়া হঠাৎ শুরু হতে পারে অথবা আস্তে আস্তে শুরু হতে পারে সাধারণত (৫-৭) দিন থাকে।
২) পায়খানা বারে বারে হয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
৩) রক্তের মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য পেটটা ফুলে যায়।
৪) রোটা ভাইরাস ডায়েরিয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে বমি হয় এবং সামান্য জ্বর আসতে পারে।
৫) বমি ও পায়খানার মাধ্যমে দ্রুত শরীর থেকে জল ও ইলেকট্রোলাইট বেরিয়ে যায়।
৬) শিশুর ওজন কমে যায়।
৭) শিশুর ওজনের ৫শতাংশ যদি ওজন কমে, আমরা তাকে মাইল্ড ডিহাইড্রেশান বলি।
৮) শিশুর ওজনের (৫-১০) শতাংশ যদি ওজন কমে, আমরা তাকে মডারেট ডিহাইড্রেশান বলি।
৯) শিশুর ওজনের ১০শতাংশ-এর বেশি যদি ওজন কমে, আমরা তাকে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান বলি। এই অবস্থায় শিশুর রেনাল ফেলিওর শুরু হয়।
সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান একটি ইমারজেন্সি অবস্থা।
শিশু কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থায় কোনও সাড়া দেয় না।
পেরিফেরাল সারকুলেটরি ফেলিওর হয়।
হাত, পা ঠান্ডা হয়, তখন শরীর গরম থাকে।
নাড়ি দ্রুত ও ক্ষীণ হয়।
প্রস্রাবের পরিমাণ যথেষ্ট কমে যায়।
চোখগুলি বসে যায়।
অ্যানটিরিয়ার কনটেনেলি যদি ওপেন থাকে তাহলে বসে যায়।
মুখের মিউকাস মেমব্রেন ও জিব শুকিয়ে যায়।
প্রচণ্ড জল পিপাসা লাগে।
সেরামের মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম লেভেল কমে যাওয়ার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে খিঁচুনি শুরু হয়।
ম্যানেজমেন্ট
ওরাল রিহাইড্রেশান : মাইল্ড থেকে মডারেট ডিহাইড্রেশানের ক্ষেত্রে মুখের মাধ্যমে রিহাইড্রেশান করা সম্ভব। এটা করা হয় হু-এর ওরাল রিহাইড্রেশান ফ্লুইডের মাধ্যমে।
ইনট্রাভেনাম হাইড্রেশান: সে ক্ষেত্রে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশান হয় এবং বারে বারে বমি হতে থাকে, উপরের পেট ফুলে যায়। সেই ক্ষেত্রে আই ভি ইনফিউশান প্রয়োজন। সিভিয়ার ডিহাইড্রেশানের জন্য শিশুর হাইপোভলিমিক শক্ হয় এবং গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশান রেট কমে যায় এবং ইউরিমিয়া ডেভেলপ করে।
চিকিৎসা: এই রকম সিভিয়ার অবস্থাতেও হোমিওপ্যাথিক ঔষুধ অতি দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা রাখে।
ক্রনিক ডায়েরিয়া:
কারণ:
অন্ত্রে স্ট্রাকচারাল ও ফাংশনাল পরিবর্তনজনিত — সিলিয়াক ডিজিজ
কাউ মিল্ক অ্যালার্জি অথবা অন্যান্য খাদ্যে অ্যালার্জি
এনটারাইটিস
ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার
প্যাংক্রিয়েটিক এনজাইমের অনুপস্থিতি জনিত
সিসটিক ফাব্রোসিস
ক্রনিক প্যাংক্রিয়েটাইটিস
বাইল সল্টের অনুপস্থিতি জনিত
লিভারের রোগ
বাইল ডাক্ট এট্রেসিয়া
সিলিয়াক ডিজিজ
এটি ম্যাল অ্যাবজর্পশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ
লক্ষণ:
বারে বারে ডায়েরিয়া হয়।
স্টুল পরিমাণে অনেকটা হয় এবং ফেনাযুক্ত।
শিশুর বারে বারে ডায়েরিয়ার সঙ্গে বমি হতে থাকে এবং ভীষণভাবে ডিহাইড্রেশান হয়।
পেটটা ফুলে ওঠে এবং পেশি সঙ্কুচিত হয়। পাছা ও অঙ্গপ্রতঙ্গের সাবকিউটেনিয়াস টিসু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
শিশুটি বদমেজাজী ও খিটখিটে হয়।
শরীরে রক্তাল্পতা ও ভিটামিনের অভাব ঘটে।
রোগ নির্ণয়:
ক্লিনিক্যাল লক্ষণের ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় করা হয়।
খাবার থেকে গম জাতীয়, রাই, বার্লি, ওট ইত্যাদি বাদ দিলে রোগ লক্ষণের উন্নতি হয়।
জেজুন্যাল বায়োপসিতে ভিলাস অ্যাট্রপি পাওয়া যায়।
স্টুলে ফ্যাট বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
সিসটিক ফাইব্রোসিস
এটি একটি জন্মগত রোগ। যে সমস্ত এস্কোক্রাইন গ্ল্যান্ড শরীরে আছে বিশেষত রেসপিরেটরি এবং গ্যাসট্রোইনটেসটিন্যাল সিস্টেমে সেইগুলি বেশি আক্রান্ত হয় এবং অস্বাভাবিক চটচটে মিউকাস তৈরি হয়। এই সমস্ত সিক্রিশান প্যাংক্রিয়েটিক ডাক্ট বন্ধ করে দেয়। প্যাংক্রিয়াসে যে সেলগুলি আছে সেগুলি সিস্টের আকার নেয়। এর ফলে প্যাংক্রিয়াটিক সিক্রিশান ডিয়োডিনামে পৌঁছায় না। লাংসে ঘন মিউকাস প্লাগ ব্রোঙ্কিবলে বাধা সৃষ্টি করে ফলে লাংস কোলাপস হয় এবং ইনফেকশান হয়। পরবর্তিকালে ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ তৈরি হয়।
কী কী লক্ষণ পাওয়া যায়
ক্রনিক ডায়েরিয়া
বারে বারে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে ইনফেকশান।
শিশুর বৃদ্ধি হ্রাসপ্রাপ্ত হয়।
বিলিয়ারি সিরোসিশ প্রায়ই দেখা যায়।
রেকটাম বেরিয়ে আসে।
রোগ নির্ণয়:
খুব শিশু বয়সে বারে বারে রেসপিরেটরি ইনফেকশান সঙ্গে ডায়েরিয়া।
চেষ্ট এক্স-রে করলে লাংস আক্রান্ত হয়েছে বোঝা যায়।
ঘামের ক্লোরাইড অ্যানালিসিস একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যদি ক্লোরাইড লেভেল ৬০মিলি ইকুইভ্যালেন্ট প্রতি লিটারের বেশি হয় এটাই রোগ নির্ণয়ের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
কী ধরনের খাদ্য দেওয়া উচিত?
কম কম করে খাবার দিতে হবে।
যে সমস্ত খাদ্য পুষ্টিগুণযুক্ত এবং সহ্য করতে পারে সেই ধরনের খাদ্য দিতে হবে, ধীরে ধীরে খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
রোগ কমের দিকে এলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে।
কাউ মিল্ক প্রোটিন ইনটলারেন্স (CMPI)
শিশুর প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই মিল্ক প্রোটিন সহ্য না হওয়া বুঝতে পারা যায়।
কী লক্ষণ পাওয়া যায়?
ডায়েরিয়া বমি, পেট ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ।
বয়স অনুযায়ী বৃদ্ধি না পাওয়া।
স্টোম্যাক ও অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ।
রোগ নির্ণয়:
মিল্ক প্রোটিন অ্যালার্জির সঠিক পরক্ষা নেই।
তবে জেজুনাল বায়োপসি করলে ভিলাস অ্যাট্রপি পাওয়া যায়।
মিল্ক প্রোটিন বাদ দিলে ডায়েরিয়া বন্ধ হওয়া এবং মিল্ক প্রোটিন কমপক্ষে তিনবার দিলে ডায়েরিয়া শুরু হওয়া এটাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
চিকিৎসা:
এই সমস্ত ক্রনিক ডায়েরিয়াতেও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ঠিকমতো প্রয়োগ করলে রোগ সারানো সম্ভব। তবে বেশি বাড়াবাড়ি হলে অন্যপথ নেওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment