শিশুর ফুট ফুটে হাসিতে কার না ভরে ওঠে মন। আর ওই নির্মল হাসির প্রতিক হলো শিশুর ঝকঝকে দাঁত। ছোট শিশুদের প্রথম দিকে যে দাঁত উঠে তাকে দুধ দাঁত বলে। এই দুধ দাঁতেও যত্ন নেওয়া জরুরি। অনেকে মনে করেন এই দাঁততো আর স্থায়ী নয় কদিন পরেই তো স্থায়ী দাঁত উঠবে, তাই ওই দাঁতের বাড়তি যত্ন নিয়ে আর লাভ কী। কিন্তু এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। কারণ এই দুধ দাঁতগুলোই প্রথম কয়েক বছর শিশুর সুস্থতার প্রতিক। দুধ দাঁতের যত্ন না নিলে তা সহজেই পড়ে যাবে বা ক্ষয় প্রাপ্ত হবে। একটি নবজাতক শিশুর দাঁত এখনো ওঠেনি কিন্তু তাই বলে তার দাঁত বা মাড়ির যত্নের প্রয়োজন নেই, তা নয়। জন্মের পর থেকেই শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে হবে। সাধারণত নবজাতকের চার থেকে আট মাসের মধ্যে দাঁত উঠতে শুরু করে। পরে আস্তে আস্তে পড়তে শুরু করে। এসব দাঁতের স্থানে ৬ থেকে ৮ বছরের দিকে স্থায়ী দাঁত উঠতে থাকে। সাধারণত ছয় মাস বয়স থেকে শিশুর মুখে দাঁত গজাতে শুরু করে। সে তখন
যা কিছু সামনে পায় সেটাই কামড়াতে চায়। তাই এই সময় শিশুর হাতের কাছে বিষাক্ত বা ধারালো কোন দ্রব্য নোংরা জিনিস বা ওষুধ পত্র রাখা উচিত নয়। কামড়ানোর জন্য বাজারে কিছু সামগ্রী পাওয়া যায়। তা শিশুর হাতে দেওয়া যায়। কিন্তু খেয়াল রাখুন যেন তা পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত থাকে।
দাঁত উঠার সময় শিশুর হাতে শক্ত বিস্কুট জাতীয় কিছু দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এমন কিছু দেবেন না যা গিলে ফেললে তার গলায় আটকে যেতে পারে।
শিশুর দুধ দাঁত কখনো কখনো ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মুখে অবস্থান করে। অনেকের ধারণা এই দাঁত তো পড়ে যাবে, তাই এর যত্নের দরকার নেই। কিন্তু তা যদি সুস্থ ও সুরক্ষিত না থাকে পরবর্তী স্থায়ী দাঁতগুলোতেও সমস্যা হতে পারে। দুধ দাঁতের শিকড়ে প্রদাহ অনেক দিন স্থায়ী থাকলে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হয়। দুধ দাঁত পড়া ও স্থায়ী দাঁত উঠার সময়ে শিশুর দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। নয়তো স্থায়ী দাঁতগুলো অাঁকাবাঁকা অসমানভাবে বেড়ে উঠতে পারে। শিশু কাল থেকেই দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশুরা খুব অনুকরণ প্রিয়। একটু বড় হলে শিশুকে হাতে ধরিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করা শিক্ষা দিতে হবে। তবে লক্ষ রাখুন শিশুদের টুথ ব্রাশটি যেন নরম শলাকার তৈরি হয়। শিশুদেরও উপযোগী ব্রাশ ও টুথপেস্ট বাজারে পাওয়া যায়। এমন টুথপেস্ট যা গিলে খেলেও সমস্যা নেই। বাড়ন্ত শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধে ফ্লোরাইড মিশ্রিত হলে ভালো। আর অবশ্যই ব্রাশ করার পর তাকে পানি দিয়ে কুলি করাতে হবে। সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। ব্রাশের শলাকা দাঁতের সঙ্গে কোণাকুণিভাবে ধরে দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করান। তাড়াহুড়া করবেন না কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করান। তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। দিনে কমপক্ষে দুই বার ব্রাশ করার পাশা পাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টি জাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা ভালো।
যা কিছু সামনে পায় সেটাই কামড়াতে চায়। তাই এই সময় শিশুর হাতের কাছে বিষাক্ত বা ধারালো কোন দ্রব্য নোংরা জিনিস বা ওষুধ পত্র রাখা উচিত নয়। কামড়ানোর জন্য বাজারে কিছু সামগ্রী পাওয়া যায়। তা শিশুর হাতে দেওয়া যায়। কিন্তু খেয়াল রাখুন যেন তা পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত থাকে।
দাঁত উঠার সময় শিশুর হাতে শক্ত বিস্কুট জাতীয় কিছু দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এমন কিছু দেবেন না যা গিলে ফেললে তার গলায় আটকে যেতে পারে।
শিশুর দুধ দাঁত কখনো কখনো ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মুখে অবস্থান করে। অনেকের ধারণা এই দাঁত তো পড়ে যাবে, তাই এর যত্নের দরকার নেই। কিন্তু তা যদি সুস্থ ও সুরক্ষিত না থাকে পরবর্তী স্থায়ী দাঁতগুলোতেও সমস্যা হতে পারে। দুধ দাঁতের শিকড়ে প্রদাহ অনেক দিন স্থায়ী থাকলে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হয়। দুধ দাঁত পড়া ও স্থায়ী দাঁত উঠার সময়ে শিশুর দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। নয়তো স্থায়ী দাঁতগুলো অাঁকাবাঁকা অসমানভাবে বেড়ে উঠতে পারে। শিশু কাল থেকেই দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশুরা খুব অনুকরণ প্রিয়। একটু বড় হলে শিশুকে হাতে ধরিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করা শিক্ষা দিতে হবে। তবে লক্ষ রাখুন শিশুদের টুথ ব্রাশটি যেন নরম শলাকার তৈরি হয়। শিশুদেরও উপযোগী ব্রাশ ও টুথপেস্ট বাজারে পাওয়া যায়। এমন টুথপেস্ট যা গিলে খেলেও সমস্যা নেই। বাড়ন্ত শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধে ফ্লোরাইড মিশ্রিত হলে ভালো। আর অবশ্যই ব্রাশ করার পর তাকে পানি দিয়ে কুলি করাতে হবে। সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। ব্রাশের শলাকা দাঁতের সঙ্গে কোণাকুণিভাবে ধরে দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করান। তাড়াহুড়া করবেন না কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করান। তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। দিনে কমপক্ষে দুই বার ব্রাশ করার পাশা পাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টি জাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা ভালো।
No comments:
Post a Comment