Saturday, October 31, 2015

ছোট বয়সে চুল পড়ে যাচ্ছে


প্রতিদিন তুমি ৫০-১০০টা চুল হারাচ্ছো। তা ঝরে গিয়ে তোমার সোয়েটারে লেগে থাকছে কখনো বা মুখে।
সাধারণ নিয়মে এ চুল যখনই পড়ে যায়, সে স্থানে নতুন চুল গজায়। কিন্তু যদি এমন হয় যে পড়ে যাওয়া চুলের স্থানে নতুন চুল উৎপন্ন হচ্ছে না কিংবা যত বেশি পরিমাণে চুল ঝরছে, তত আর নতুন করে গজিয়ে উঠছে না, তখন টাক হতে চলে—যেভাবে বড়দের কপাল চুলহীন হয়ে আস্তে আস্তে বিস্তৃত হতে থাকে। তবে বাচ্চা বয়সেও যদি এমন ঘটে তার নাম এলোপেসিয়া।
চুলকাহিনি
চুল নখের মতো ক্যারোটিন নামক প্রোটিনে তৈরি। এটা ফলিকেলস নামক চামড়ার নিচে ছোট্ট গর্ত থেকে গজায়। এ ফলিকেলে চুলের মূল রোপিত থাকে, যা জীবন্ত এবং বৃদ্ধি পায়। যা চুল বলা হয় তা হলো কাণ্ড, যা মৃত তাই চুল কাটার সময় ব্যথা পাওয়া যায় না। চুল মাসে প্রায় দুই সেন্টিমিটারের মতো বাড়ে।
এভাবে তোমার মাথায় প্রতি শয়ে ৮৫টি চুল বাড়ছে। পরে যখন আর বাড়ে না তখন বিশ্রামে যায় ও ঝরে পড়ে। একেক সময় তোমার মাথার চুলের প্রতি শয়ে ১৫টা এভাবে বিশ্রাম পর্বে থাকে।
কেন চুল পড়ে
 বয়স্ক হলে। এনড্রোজেন হরমোনঘটিত। পরিবারে এভাবে বাহিত হতে পারে। কপাল চওড়া হতে থাকে। বাচ্চাদের এটা হয় না।
 বাচ্চা বয়সে চুল হারানোর ঝুঁকি হবে—কেমিক্যালসের (চুলে ডাই) ব্যবহার ব্লিস, পার্ন। হেয়ার ড্রাইংয়ের ব্যবহার—বেশি গরম হওয়ায় চুল পড়ে যায়।
 শাওয়ারের পানি যেখানে প্রতিদিন বেশি লাগে। জ্বর, মানসিক চাপ, সার্জারি।
 ফানগ্যাস (রিং ওয়ার্ম) সংক্রমণ।
 এলোপেসিয়া এরিয়াটা-ফ্যামিলিগত। শরীরের ইমিউন সিস্টেম চুল ফলিকেলসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
 নিজের চুল নিজে টেনে মুচড়ে আঘাত করার কুঅভ্যাস। মনোরোগ।
 থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত সমস্যা। সুষম পুষ্টির অভাব।
 ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত কেমোথেরাপি ও র‌্যাডিয়েশনের প্রতিক্রিয়াজাত।
চিকিৎসকের করণীয়
 চিকিৎসকের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়। রিং ওয়ার্মজনিত কারণে ওষুধ প্রয়োগ।
টাক পড়া অবস্থা হয়ে থাকলে তা মেনে নেওয়ার প্রবণতা গড়ে তোলা।

শৈশব মানেই একটা মিষ্টি সময়





শৈশব মানেই একটা মিষ্টি সময়। একটা ভাল লাগার সময়। একটা সুন্দর সময়। আর কৈশর মানেই দুরন্তপনা। এলমেলো, অগোছালো, বিরামহিন, বাঁধাহীন সময়। কৈশরের দুরন্তপনায় ছুটে চলতাম এদিক থেকে সেদিক। মন যেখানে যেতে চাইত সেদিকেই ছুটে যেতাম। কি বৃষ্টি, কি ঝর, কি তুফান, কি বাধা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করতাম না। তবে মাকে দেখে বিষম ভয় পেতাম। কারণটা হল বৃষ্টির উপর মার নিষেধাজ্ঞা ছিল। মা বলত, বাইরে বেরুনো যাবে না। বৃষ্টি ধরলে জ্বর আসবে। এদিকে আমাদের বাড়ী ছিল টিনের চাল দেয়া। ঘরের টিনের চালের উপর ঝুমঝুম শব্দ করে বৃষ্টি পড়ছে। মনে হয় কোন গানের শব্দ কানে আসছে। কিছুতেই মনকে ধরে রাখতে পারতাম না। কি করব কিছুতেই বুঝতে পারতাম না। এদিকে বাইরে বন্ধুরা অপেক্ষা করছে। চোখের সামনে বন্ধুদের হাত ইশারার দৃশ্য বারবার ভেসে আসছে। মনের মধ্য অন্য রকম অস্থিরতা, অন্যরকম ব্যকুলতা, অন্য রকম আকুলতা হয়ে ধেয়ে বেড়াত। একটি প্রশ্ন বারবার মনের মধ্য ঘুরপাক খেত, একটি প্রশ্ন বারবার আমাকে প্রশ্নবিদ্ব করত কখন বাইরে বেরুতে পারব ? আমি কখন বৃষ্টির পানিতে নিজেকে ভিজিয়ে ফেলতে পারব। কখন বৃষ্টির ছোঁয়া নিতে পারব। মার ঘুমের অপেক্ষায় থাকতাম। যেই দেখতাম মা ঘুম ঘুম চোখ। সঙে সঙেই টিপটিপ করে পা ফেলতাম। কোন শব্দ যেন না হয় ঠিক সেইভাবে দরজা পর্যন্ত পৌছাইতাম। দরজা পার হয়েই একটা দৌড়। একদম চোখ মুখ বন্ধ করে ভোঁ দৌড়ে চলে যেতাম বন্ধুদের কাছে। বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলতে অনেক ভাল লাগত। সবাই মিলে ছুটে যেতাম পতিত কোন মাঠে। যেখানে ধান কাটা বা অন্য ফসলি চাষাবাদ করা শেষ হয়ে গেছে। ব্যস্ত হয়ে উঠতাম ফুটবল খেলতে। কতদিন ফুটবল খেলে পা'য়ে ব্যাথা পেয়েছি। কতদিন ফুটবল খেলে কাদা মাখা শরীর নিয়ে বাড়ী ফিরছি তার কোন হিসেব নেই। তবে ভয় করত মার সামনে আসতে। একবারতো পাঁ ভেঙে গেছে। কোনভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়ি আসলাম। ভয়ে ভয়ে মার সামনে আসলাম। আর ভাবছি আজ কোন রক্ষা নেই। আজ নিশ্চিত কোন মাইর কপালে আছে। অথচ মার সামনে আসতেই মা অস্থির হয়ে যেত্ কিসের বকা সব মা ভুলে যেত। মা আমায় নিয়ে অস্থির হয়ে জরিয়ে ধরত। হাজারটা প্রশ্ন জুড়ে দিত, কোথায় ব্যথা পেয়েছিস, পায়ের হাড়ের কিছু হয়নিতো, দেখে শুনে খেলতে পারিস না বলে আমায় বুকে জরিয়ে ধরত। সন্ধ্যা বেলা মা তেল গরম করে পায়ে ছ্যাকা দিতে থাকত। মার এই ভালবাসায় আমি কেঁদে ফেলতাম। আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারতাম না। মাকে আমি জড়িয়ে ধরে বলতাম মা আমি আর কখনো ফুটবল খেলতে যাব না। ফুটবল খেলা পঁচা। তারপর পা একটু ভাল হয়ে গেলেই আবার খেলতে যেতাম। ভুলে যেতাম পুরাতন ওয়াদা। 
এভাবেই চলত দুষ্টামি ভর সময়।
আর স্কুল মানেতো একটা অন্যরকম ভাল লাগার স্থান। স্কুলে না গেলে ভালই লাগত না। রাত আসলে শুধু অপেক্ষায় থাকতাম কখন দিন হবে। কখন স্কুলে যেতে পারব। কখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারব, কখন এই কবিতাটি স্যারের কাছে শুনিয়ে দিতে পারব, কখন স্কুল বন্ধুদের টাকায় আইসক্রীম খেতে পারব। তবে আইসক্রীম না খেলেতো থাকতেই পারতাম না। আইসক্রীম আবার দু রকম ছিল। একটা নারকেলের তৈরী যাকে বলা হত নারকেলের আইসক্রীম আর একটা পানসে আইসক্রীম। আমাদের এক বান্ধবী ছিল আবার অন্যরকম। নাম ছিল আসমা। সে আইসক্রীম খাবার সবচেয়ে বেশী পটু ছিল। আমাদের বলত আমি বিয়ে করলে আইসক্রীম ওয়ালাকে বিয়ে করব। আমরা বলতাম কেনরে। বলত বাবা মা আইসক্রীম খাবার যে টাকা দেয় তা দিয়ে ভাল মতো মনের মত করে প্রতিদিন আইসক্রীম খেতে পারি না। তার কথা শুনে আমরা খিল খিল করে হেসে ফেলতাম। আমরা স্কুলের বন্ধুরা তাকে আইসক্রীম ওলার বউ বলে ডাকতাম। মাঝে মধ?্য সে রেগে যেত স্যারদের কাছে বলে দিবে বলে ভয় দেখাত। একবারতো স্যারের কাছে আমাদের অনেকের নামে নালিশ করে বসল। ক্লাস রুমে তার নালিশের কথা শুনে স্যারসহ সবাই হেসে ফেলেছিল। সেদিন ক্লাসের ভিতর যেন খই ফোটার মত শব্দ হচ্ছিল। পরেতো আমরা আবার স্কুল ছুটে হলে তাকে আইসক্রম ওয়ালার বউ বলে রাগাতাম। এভাবে চলত স্কুল সময় গুলো। তবে আমাদের ভিতর একটা বেশি প্রতিযোগীতা ছিল স্কুল ফাস্ট হওয়া। এজন্য আমরা সবাই গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়া লেখা করতাম। আর স্কুলের ক্লাস করতাম নিয়মিত। এক সাথে প্রাইভেটে যেতাম। প্রতিযোগিতা করতাম কে আগে বসবে। আগের বেঞ্চে বসলে ভাল শোনা যেত। বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয় অনেক ভাল। তোমাদের শৈশব কৈশর অনেক ভাল কাটছে। আরো ভাল কাটুক এই শুভ কামনা রইল।

Friday, October 30, 2015

দীপ্তিময় ত্বকের জন্য সহজ কিছু টিপস



চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠা া করে নিন। এবার এর সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এর মত করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার ভাবে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।
এক টেবিল চামচ ওটস পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। ২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে ৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠা া পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা কেটে গিয়ে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।
যেকোনও ধরনের পার্টি তে যাওযার আগে একটা কলা চটকে, তার সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটা পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন আপনার কাঙি্ক্ষত উজ্জ্বলতা। একটা টমেটোর রস এর সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটাকে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি কিছুক্ষণের মধ্যে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটাকে গুঁড়ো করে এক কাপ ফ্রেশ টকদই এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব এর সাথে সাথে ত্বক উজ্জ্বলও হবে।
এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে এক চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং লেবুর রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মুখে লেবু লাগানোর কারণ হল এটি ব্লীচের একটি প্রধান উপাদান। এটি মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাডাই সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন গি্লসারিন, শশা, গোলাপজল আপনার ত্বককে খুব দ্রত উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে দিতে পারে। কয়েক টুকরা শশার সাথে পরিমাণ মত গোলাপজল এবং গি্লসারিন মিক্স করে পেস্ট করে ঘুম্েনার আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেস্টটি খুব বেশি পাতলা না হয় অথবা ঘন না হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকে আলুর রস লাগালে মুখের পোডা ভাব দূর হয এবং তাৎক্ষনিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এর সাথে পেঁপে মিক্সড করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রঙ পরিষ্কার হবে। এবং মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে। ফলে আপনাকে ফর্সা দেখাবে। ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে ফেটে নিয়ে মুখে লাগান। এতে স্কিন অনেক নরম ও উজ্জ্বল হয়। আমরা সবাই চাই নিজেদের সুন্দর দেখাতে কিন্তু আলসেমি হোক আর সময়ের অভাবেই হক না কেন নিজেদের পরিপূর্ণ যত্ন নিতে আমরা হই। তাই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নিজের চেহারায় চমক আনতে উপরের টিপসগুলোর জুড়ি নেই।

মিক্সড চাইনিজ ভেজিটেবল রেসিপি





যা যা লাগবে: মিক্সড সবজিঃ চিচিংগা (প্রধান সবজি হিসাবে ধরা হয়েছে), গাজর, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ (ফালি করে কাটা পেঁয়াজ এখানে সবজি হিসাবে ধরা হয়েছে)ু হাফ কাপ চিকেন বোনলেস জুলিয়ান কাট (লম্বা কাট), ১ টেবিল চামচ আদা, ১ টেবিল চামচ রসুন, ২ চা চামচ সয়াসস, কয়েকটা কাঁচা মরিচ, এক চিমটা গোল মরিচ, ১ চা চামচ চিনি, হাফ কাপ তেল, লবণ পরিমাণ মত।
প্রণালী: চিচিংগা ও গাজর সবজি গুলো আড়াআড়ি করে কেটে হালকা লবণ যোগে সিদ্ব করে ঠা া পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই সিদ্ধটা এজন্য যে, যেন রান্নায় সময় কম লাগে এবং সবজির রং যেন শেষেও ভাল থাকে। ক্যাপসিকাম সিদ্ধ না করাই ভাল, এর ঘ্রাণ ভাল লাগবেৃ আড়াআড়ি কেটে রেখে দিন। উপকরণের সব মশলা পাতি দিয়ে চিকেন গুলো মিশিয়ে ফেলুন (লবণ সহ)। কড়াইতে তেল গরম করে মশলা মাখা চিকেন গুলো তেলে ভাঁজতে থাকুন। চিকেন পিসগুলো নরম হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কাটা দিয়ে আবারো ভাল করে কষান। (এই পর্যায়ে সামান্য হাফ কাপ পানি দিন, ঝোল বানান), তেল উঠে গেলে কিছুক্ষণ পর সবজি গুলো দিয়ে দিন। ভাল করে মিক্সড করুন। লক্ষ্য রাখবেন যাতে সবজি গুলো না ভেংগে যায়, উপরে নীচে করে। হাফ কাপ পানিতে এক চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার গুলিয়ে সবজিতে দিয়ে দিন। (বাসায় না থাকলে নাই, এটা শুধু সবজির ঝোলকে গাঢ় করার জন্য) ভাল করে মিশিয়ে মিনিট পনেরো জাল দিন। এই সময় লবণ দেখুন, লাগলে দিন না লাগলে ওকে বলুন। ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

শিশুকে ঘুমানোর সহজ পদ্ধতি




শিশুর ঘুম নিয়ে উদ্বিগ্ন নন এমন মা-বাবা কমই আছেন। দিনের বেলা যদিও ঘুমায় রাত হলে লাইটের মতো চোখদুটো জ্বলে থাকে। সঙ্গে জাগিয়ে রাখে কর্মব্যস্ত আপনাকেও। ভালো ঘুম না হওয়া আপনার এবং তাদের জন্য স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। বড়দের ঘুমের পাশাপাশি শিশুদের ঘুমের ব্যাপারটিও সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। যেসব শিশু রাতে ঘুমায় না আর সারা দিন ঘুমিয়ে কাটায়, তাদের মায়েদের বিড়ম্বনা সবচেয়ে বেশি। অথচ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে শিশু দিন ও রাতের পার্থক্য দ্রুত বুঝতে পারবে। সে দিনে জেগে থেকে রাতে ঘুমাতেও শুরু করবে। তাই- 
দিনের বেলা ঘরে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা রাখুন। বাচ্চার সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে যান, কোনো কাজে ব্যস্ত রাখেন- যাতে দিনে না ঘুমায়।
দিনের বেলা শিশুকে মিউজিক, টিভি বা অন্য কোনো খেলায় ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। দিনের বেলা দৌড়াদৌড়িতে সে ক্লান্ত থাকবে, রাতে ঘুম হবে ভালো।
দিনের বেলায় শিশুকে একবারে নির্ঘুম রাখতে হবে তা নয়, তবে খুব বেশি যেন না ঘুমায়। শিশু দুই থেকে চারবারে এক-দেড় ঘণ্টার ঘুম দিতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টার পর শিশু যেন না ঘুমায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেলা, কথা বলায় তাকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সন্ধ্যা থেকে শিশুকে জাগিয়ে রাখলেও রাত ৮ থেকে ৯টার পর থেকেই শিশুর ঘুমের আয়োজন শুরু করে দিন।
ঘুমের আগে শিশুকে সর্বশেষ রাত ১০টার দিকে খাওয়াতে চেষ্টা করুন। এরপর শিশু না ঘুমালেও তাকে বিছানায় নিয়ে ঘুমানোর জন্য ছড়া বা গান শোনাতে পারেন।
এসময় ঘরে শব্দও কম করুন। যাতে নিরিবিলি পরিবেশে তার ঘুম ভালো হয়। ঘুমের এসব পদ্ধতি অবলম্বনের সময় খুব কঠোর হওয়া যাবে না। জবরদস্তিও করা উচিৎ নয়।
প্রতিদিনের এই অভ্যাস শিশুর সঠিক ঘুমকে নিশ্চিত করবে।

Thursday, October 29, 2015

দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাথা মাংস হতে পরে ক্যানসারের কারণ




দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস নিয়ে ডব্লিউএইচওর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার(আইএআরসি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে,  এসব মাংশ নিয়মিত খেলেপায়ুপথ ও খাদ্যনালির ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায় ১৮ শতাংশ।
গবেষকরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন, ক্যানসার সৃষ্টি করার আশঙ্কা থেকে সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক নয়। বরং প্রক্রিয়াজত মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে এবং দীর্ঘদিন ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ফ্রিজে গরুর মাংস তিন থেকে থেকে চার মাস আর খাসির মাংস দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি রাখলে সেই মাংসের স্বাদ তো থাকেই না, পুষ্টিগুণও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একসময় তা হয়ে উঠতে পারে ক্যানসারের মতো ঘাতক ব্যাধির কারণ।

নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত


হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সবাই ঘাবড়ে যান বৈকি। সাধারণত শিশু ও বৃদ্ধদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘটনা বেশি ঘটে। নানা কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। আমাদের নাকের ভেতরের রক্তনালি খুব স্পর্শকাতর এবং সামান্য আঘাত, এমনকি জোরে ঘষা খেলেও তা ছিঁড়ে যেতে পারে এবং রক্তপাত হয়।
কী কী কারণে রক্তপাত হয়?
নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে নাকের নিজের সমস্যায় আবার দেহের অন্যান্য কিছু সমস্যায়ও।
নাকের সমস্যাগুলো হলো সাধারণত আঘাতজনিত। যেমন: নাকে কোনো ভোঁতা বস্তুর আঘাত, বাইরের বস্তু ঢোকা, নাক খুঁটার সময় নখের আঘাত ইত্যাদি। আবার নাকের পলিপ, সাইনোসাইটিস, প্রদাহ ইত্যাদি কারণেও রক্তপাত হতে পারে।
নাক ছাড়া শরীরের অন্যান্য জায়গায়, বিশেষ করে মাথায় আঘাত, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, রক্তস্বল্পতা বা অন্য কোনো রক্তরোগ, রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয়, এমন কোনো রোগ যেমন প্লাটিলেট কমে যাওয়া, ক্যানসার বা লিউকেমিয়া ইত্যাদিতে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি সেবন করলেও কারও কারও কখনো রক্তপাত হয়। আবার অনেক সময় নাকের রক্তপাতের কোনো কারণই খুঁজে পাওয়া যায় না।
কী করবেন?
হঠাৎ করে নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করলে ঘাবড়ে না গিয়ে সোজা হয়ে বসুন ও দুই আঙুল দিয়ে নাকটা একটু চাপ দিয়ে ধরে টেনে রাখুন। নাকের ওপরের দিকে যে শক্ত হাড় আছে, তার ঠিক নিচেই রয়েছে নরম তরুণাস্থি। ঠিক এ জায়গাটাতেই জোরে চেপে ধরতে হবে। এভাবে ৫ থেকে ১৫ মিনিট ধরে রাখুন। এ সময় নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াটা বন্ধ রাখতে হবে এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নেবেন। নাকের ওপর একটু বরফ দিয়েও সেঁক দিতে পারেন।
যা করা যাবে না
মাথা পেছনে হেলাবেন না বা মাথা উঁচু করে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস টানবেন না। এতে রক্ত নাক থেকে গলায় চলে যাবে এবং পরে পেটে। এই রক্ত শ্বাসনালিতে চলে যাওয়ারও ঝুঁকি আছে।
যদি না কমে
যদি এভাবে বাড়িতে রক্ত বন্ধের চেষ্টার ২০ মিনিট পার হওয়ার পরও সমস্যার সমাধান না হয় এবং একটানা পড়তেই থাকে, তবে হাসপাতালে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া নাকের রক্তপাতের সঙ্গে যদি মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম লাগা, কানে ভনভন শব্দ বা চোখে দেখতে সমস্যা হয়, তবে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে।

Monday, October 26, 2015

হজমের জন্য উপকারি ভেষজ



সামনে আসছে ঈদের লম্বা ছুটি। এই সময় খাওয়া-দাওয়াকে ঘিরে প্রত্যেক পরিবারেই বিশাল আয়োজন থাকে। তবে এই পরম আরাধ্য ভোজনপর্বে অনেকেই নানা সমস্যায় ভোগেন- পেটের পীড়া, অন্ত্রপ্রদাহ, বদহজম কিংবা গ্যাসের সমস্যা। খাদ্য তালিকায় রাখুন কিছু ভেষজ গুণ সম্পন্ন মসলা বা খাদ্য উপাদান। দেখুন কেমন ‘লোহা খেয়ে হজম’ করে ফেলতে পারছেন।

দারুচিনি
উষ্ণ দারুচিনি হজমের সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। এছাড়া ক্ষুদামন্দা, খিটখিটে মেজাজ এবং পেটফাঁপা সমস্যা নিরসনে দারুচিনি হতে পারে একটি অতি উপকারি ভেষজ। দারুচিনিতে রয়েছে প্রোটিন এবং মিনারেল। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অপরিসীম। 


এলাচি
এলাচি পরিপাক নালী সচল করে খাদ্য দ্রæত এবং কম সময়ে হজম হতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এলাচি বেশ কার্যকর হতে পারে। হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বুক জ্বালাপোড়া, পেটব্যথা, বমি বমি ভাব এবং নিশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচির জুড়ি নেই।

আদা
পেট খারাপজনিত সমস্যা সমাধানে একটি পরীক্ষিত উপাদান হল আদা। পেট ব্যথার সহজ সমাধান হতে পারে আদা চা বা আদার রস। এছাড়া এটি শরীর শীতল করে এবং কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

হলুদ
খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হলুদ। এতে বিদ্যমান সারকিউমিন নামক উপাদান পরিপাকপ্রদাহ থেকে দেহকে রক্ষা করে। এছাড়া সারকিউমিন মানসিক অবসাদ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অন্ত্রের রোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ত্বক ও লিভারের সুরক্ষায় হলুদ বেশ কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে।

যবজাতীয় শস্য
যব বা জইএ বিদ্যমান আঁশ শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে এবং ঘুমের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

জিরা
গ্যাসের সমস্যায় যারা নাজেহাল তাদের জন্য জিরার বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও জিরা বেশ কার্যকর। জিরায় বিদ্যমান এনজাইম হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। নিদ্রাহীনতা দূর করতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গোলমরিচ
গাত্রপ্রদাহ দূর করার জন্য প্রতিদিন খাবারে উপকরণ হিসেবে গোলমরিচ ব্যবহার করা উচিত। গোলমরিচ খেলে পাকস্থলি থেকে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের নিঃসরণ দ্রæত ঘটে যার ফলে খাবার সহজে হজম হয়। এছাড়া এটি দেহ থেকে ঘাম ঝরিয়ে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
যষ্টিমধু
যষ্টিমধুর গুণ বলে শেষ করা যাবে না। অন্ত্রপ্রদাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে যষ্টিমধুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া আলসার, ব্রংকাইটিস প্রতিরোধে এবং লিভারের সুরক্ষায় যষ্টিমধু বিশেষ উপকারী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কফ এবং কাশি নিরামক হিসেবেও যষ্টিমধুর বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। 

লালমরিচ
লালমরিচ দেহে যন্ত্রণার উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী নিউরোট্রান্সমিটার ‘সাবট্যান্স পি’-কে নিঃশেষিত করে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রদাহ থেকে মুক্ত থাকা যায়। অতিরিক্ত ঝালযুক্ত লাল মরিচ স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে বলে গবেষণায় জানা গিয়েছে।

মেনথল
পেটের পীড়া থেকে মুক্ত পেতে মেনথলের বিকল্প নেই। মেনথল তেলের ক্যাপসুল বদহজম দূর করতে সক্ষম। এছাড়া যারা সাইনোসাইটিসের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য মেনথল গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

কেওড়া
কেওড়া একটি উপকারী ঔষধি যা পরিপাকনালী সুরক্ষিত রাখে। যারা পেটফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। 
আপনার প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় উপরে বর্ণিত খাদ্য উপকরণগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। সব ধরনের রোগ-শোক থেকে দূরে থেকে উৎসবে আনন্দ এবং পেট-পুজো দুটোই করা যাবে।
Ñনাসিফ রাফসান

Health care: সর্প দংশন (সাপের কামড়)

Health care: সর্প দংশন (সাপের কামড়): অনেক সাপই বিষধর নয়। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে নির্বিষ সাপের কামড়েও অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় বিপদের সম্ভাবনা থাকে। আর যে-সব সাপ বিষধর,...

সর্প দংশন (সাপের কামড়)





অনেক সাপই বিষধর নয়। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে নির্বিষ সাপের কামড়েও অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় বিপদের সম্ভাবনা থাকে। আর যে-সব সাপ বিষধর, তাদের কামড়ে প্রতি বছরই বহু লোকের মৃত্যু ঘটে। সাধারণতঃ সাপের বিষ তিন রকম ভাবে দেহকে আক্রান্ত করে :
• 'হেমোটক্সিন্স' ( haemotoxins) হল সেই বিষ, যেটা রক্তের লোহিত কণিকাকে বিভক্ত করে (haemolyse) অথবা রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে।
• নিউরোটক্সিন্স ( neurotoxins) নার্ভকে আক্রান্ত করে, যার ভয়াবহ পরিণতি হল যেসব পেশীর সংকোচন প্রসারণে আমরা খাবার গিলতে পারি বা নিঃশ্বাস নিতে পারি - সেগুলি অকেজো হওয়া।
• কার্ডিওটক্সিন্স (cardiotoxins) - এটি হৃদ্-যন্ত্রকে সরাসরি আক্রমণ করে এবং রক্ত-চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে।
এছাড়াও অন্যান্য নানাভাবে সাপের বিষ দেহকে আক্রান্ত করে, যেমন অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া।
সাপ কামড়েছে কিনা বোঝার উপায় কি ?
সাপের কামড়ে কি প্রতিক্রিয়া হবে তা স্থির ভাবে বলা শক্ত। তবে মোটামুটি ভাবে সাপ কামড়ালে নিচের লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে পারে :
• ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া
• চামড়াতে সাপের দাঁতের দাগ এবং সেই জায়গাটা ফুলে যাওয়া
• দংশনের জায়গাতে তীব্র যন্ত্রণা
• পেট খারাপ হওয়া
• জ্বালা ভাব
• সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়া
• মাথা ঘোরা
• চোখে ঝাপসা দেখা
• অত্যাধিক ঘাম হওয়া
• গলা শুকিয়ে যাওয়া
• জ্বর
• বমি ভাব বা বমি হওয়া
• অসাড়তা বা ঝিঁ-ঝিঁ ধরা
• নাড়ীর গতি বেড়ে যাওয়া
সাপ কামড়ালে প্রাথমিক কর্তব্য :

সাপ কামড়েছে জানলে দ্রুত হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। কিন্তু যতক্ষণ চিকিৎসার বন্দোবস্ত না হচ্ছে ততক্ষণ যা করা দরকার, তা হল:
• সাবান জল দিয়ে ক্ষতস্থানটা ধুয়ে ফেলা
• শরীরের যে অংশে সাপ কমড়েছে সেটা যতটা সম্ভব স্থির করে রাখা।
• ক্ষতস্থানটা পরিস্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।
সাপ কামড়ানোর পর যদি ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হয়, তাহলে আমেরিকান রেড ক্রসের উপদেশ হল:
সাপ যেখানে কামড়েছে তার দুই থেকে চার ইঞ্চি উঁচুতে (অর্থাৎ হৃদ্পিণ্ডের দিকে) একটা জড়ানো ব্যাণ্ডেজ বাঁধা। ব্যাণ্ডেজটা খুব কষে বাঁধা যেন না হয়, সেক্ষেত্রে রক্ত-চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। মোটামুটি ভাবে ব্যাণ্ডেজের তলা দিয়ে যাতে একটা আঙুল গলিয়ে দেওয়া যায় - সেটা দেখতে হবে। এইবার ক্ষতের উপর কোনো 'সাক্শন' যন্ত্র সাবধানে বসিয়ে (যাতে কেটেছড়ে না যায়) বিষটাকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা। এই ধরণের 'সাক্শন' যন্ত্র সর্প-দংশন কিট-এ পাওয়া যায়। তবে এই 'সাক্শন' পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাপারে দ্বিমত আছে। এতে বিষের অল্প অংশই বার করা যায়, বরং ঘষাঘষিতে বিষটি শরীর মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বলে অনেকের অভিমত।
সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরি প্রাথমিক চিকিৎসা ঠিক কি হবে, সেটা বলা একটু মুশকিল। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরণের বিষধর সাপ থাকে। প্রত্যেক সাপের বিষ একরকম ভাবে দেহকে আক্রমণ করে না। ফলে এক রকম সাপের বিষের ক্ষেত্রে যে প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যকরি অন্য অন্য সাপের ক্ষেত্রে সেটি ভালোর থেকে মন্দ বেশি করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগের পরামর্শ নেওয়াটা বিশেষ প্রয়োজনীয়।

Sunday, October 25, 2015

হাড় সুস্থ রাখতে সচেতন থাকুন


শরীরের ওজন নিয়ে এখন যতটা মাথাব্যথা আমাদের, ততটা কিন্তু হাড় নিয়ে নয়। অথচ এই হাড়ই কিন্তু বয়সকালে ধরে রাখবে আপনাকে। বয়স, জিনগত কারণ, মেনোপজ, অনিমিয়ত জীবন যাপনে দেখা দেয় অস্টিওপরেসিসের মতো হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার রোগ। ওজন কমানোর ঝোঁকে অল্পবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের প্রবণতা। যার ফলে ওজন কমলেও ভেঙে যাচ্ছে শরীর। দুর্বল হচ্ছে হাড়। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে অস্টিওপরেসিসের প্রকোপ। এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপরেসিস দিবস ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একটু সচেতন থেকে যদি মেনে চলা যায় সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার রুটিন, তবে অস্টিওপরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যেতে পারে।
ডায়েট- হাড় সুস্থ রাখতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, স্ট্রনটিয়াম, বোরন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দুধ, চিজ, দই জাতীয় খাবার ক্যালসিয়ামের আধার। এ ছাড়াও শাক সবজি, শস্য ফলের রসেও থাকে ক্যালসিয়াম। তেল যুক্ত মাছ যেমন ম্যাকরেল, স্যালম বা টুনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি। এই ধরনের খাবার যদি ডায়েটে থাকে তবে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
শরীরচর্চা- ওজন তোলা বা পেশির শক্তি বাড়ানোর এক্সারসাইজ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যদি কখনও হাড় ফ্র্যাকচার হয়ে থাকে তবে নাচ, দৌড় বা স্কিপিংয়ের মতো এক্সারসাইজ এড়িয়ে চলুন। তার বদলে তা়ড়াতাড়ি সিঁড়ি ভেঙে উঠুন বা হাঁটুন। এতে হার্টও ভাল থাকবে।

বার্গার থেকে সাবধান, হতে পারে ক্যান্সার!


দোকান থেকে কিনে এনেছেন আপনার প্রিয় বার্গার। প্যাকেট খুলে খেতে গিয়ে আঁতকে উঠলেন। ভয়াবহ ছবির সঙ্গে লেখা, ‘বার্গার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। বার্গার ক্যানসারের কারণ’! এত দিন এই সতর্কতা সিগারেটের প্যাকেটে দেখতেই অভ্যস্ত ছিলাম আমরা। তবে খুব তাড়াতাড়ি এটা দেখতে পেতে পারেন বার্গার, সসেজের প্যাকেটেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এই খাবারগুলো সিগারেটের মতোই ক্ষতিকারক। হতে পারে ক্যানসারও।
হু-এর প্রকাশিত ‘এনসাইক্লোপেডিয়া অফ কার্সিনোজেনস’ তালিকা থেকে একটুর জন্য বাদ পড়েছে টাটকা রে়ড মিট। কিন্তু প্রিজার্ভ করা রেড মিট কার্সিনোজেনিক। হু-এর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের রিপোর্ট বলছে, রেড মিট থেকে প্রতি বছর ব্রিটেনে দেড় লক্ষ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
এনসাইক্লোপেডিয়া অফ কার্সিনোজেনস তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে অ্যালকোহল, অ্যাসবেসটস, আর্সেনিক, সিগারেট। প্রসেসড মিটের তালিকায় রয়েছে হ্যাম, বেকন, পাস্ত্রামি, সসেজ ও সালামি। বার্গার, হট ডগ জাতীয় খাবারে এই ধরনের প্রসেসড মিটই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Saturday, October 24, 2015

শরীর সতেজ রাখতে সুইমিং


Image result for swimming pictures

প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা, জগিং করা, ট্রেডমিল, দৌড়ানো, সাইক্লিং, সুইমিং ইত্যাদি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন যারা নিয়মিত সুইমিং করেন তাদের হার্ট বিট ভালো থাকে, মাংসপেশীর সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরে রক্ত চলাচল অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় দ্রুততর হয় এবং রক্ত সঞ্চালন সুষমভাবে বিস-ৃত হয়। এছাড়া সুইমিং করলে শরীর থেকে পানি বের হয় না। ফলে খনিজ লবণের ওপর কোন প্রভাব পড়েনা। সুইডিস বিজ্ঞানীরা জগিং, ট্রেডমিল এবং সুইমিং তিন ধরণের ব্যায়ামের তুলনামূলক জরীপ করে দেখেছেন যারা নিয়মিত সুইমিং করেণ তারা অন্যাদের থেকে শারীরিকভাবে অধিক সামর্থ্যবান থাকেন এবং মানসিক চাপ তাদের অনেক কম থাকে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে।
এছাড়া সুইমিং পেরিফেরাল ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়। ফলে সুইমিং করার পর শারীরিক যোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার কথা বলা হলেও প্রতিদিন কমপক্ষে কত মিনিট সুইমিং করতে হবে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয় নি। তবে সুইমিং এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অথবা সন্ধ্যায় অন-ত: ২০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন- সুইমিং করতে পারেন।

Friday, October 23, 2015

জ্বর হলে যে সব খাবার খাবেন






আবহাওয়ার এ তারতম্যের
কারণে এসময় ঠাণ্ডা-কাশি ও

গলাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন
অবস্থায় অনেকের জ্বরও হয়। আর জ্বর
মানেই খাওয়ায় অরুচি।
প্রিয় খাবারও জ্বরের সময় পানসে
লাগে। জ্বর বেশি হলে হজম ক্ষমতা
কমে যায় ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে
দ্রুত সুস্থতার জন্য এসময় সঠিক
খাদ্যতালিকা মেনে চলা প্রয়োজন।
জ্বরের সময় উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার,
ভিটামিন সি ও প্রচুর পানি ও
পানিজাতীয় খাবার খাওয়া
প্রয়োজন। দেখে নিন ভালো করে,
পরে কাজে দেবে।
রুটি
গমের রুটি সহজপাচ্য। তাই জ্বর হলে
সকাল ও রাতের খাবারে হাতে গড়া
গমের রুটি রাখতে পারেন। তবে
রুটিতে তেল বা ঘি ব্যবহার না করাই
ভালো।
পানিজাতীয় সবজি
জ্বরের সময় শরীরে পানির চাহিদা
পূরণে প্রচুর পরিমাণে পানি জাতীয়
সবজি খাওয়া উচিত। যেমন- মিষ্টি
কুমড়া, লাউ, টমেটো, বাঁধাকপি,
গাজর ও শসা। এসব সবজি শরীরের
পানির চাহিদা পূরণ করে সুস্থতা
ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
স্যুপ
বেশিরভাগ সময় ঠাণ্ডা থেকেই জ্বর
হয়। জ্বরে আরাম পেতে দু’বেলা
টমেটো বা গাজরের স্যুপ খেতে
পারেন। স্যুপ শরীরের ব্যাকটেরিয়া
প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আপেল
জ্বরের সময় প্রতিদিন অন্তত একটি
আপেল খাওয়া উচিত। আপেল শরীরকে
ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও এটি ভাইরাল
ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।
জুস
জ্বরের সময় প্রচুর পানি করা প্রয়োজন।
পানির পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমী
ফলের জুসও খেতে পারেন। এসময় লেবু
কমলা ও মালটার জুস খেলে দ্রুত মুখে
রুচি ফিরে আসবে।
ভেষজ চা
তুলসি, আদা, লেবু ও লবঙ্গ চা খেতে
পারেন। পানিতে আট থেকে ১০
মিনিট আদা ও লবঙ্গ সেদ্ধ করুন। এবার
কাপে তুলসি পাতা রেখে লেবুর রস
দিন। উপর থেকে আদা ও লবঙ্গ সেদ্ধ
পানি ঢালুন। চাইলে মধু মেশাতে
পারেন। এছাড়াও খালি তুলসি পাতা
দিয়েও চা তৈরি করতে পারেন। এই
চা গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশি ‍ও
মাথাব্যথার ভেষজ ওষুধ হিসেবে
কাজ করে।
দুধ ও ছানা
শরীরের শক্তি বাড়ানো ও উদ্যম
ফিরিয়ে আনতে দুধের জুড়ি নেই। দুধে
মধু মিশিয়ে খেলে কাশি ও
মাথাব্যথায় উপকার পাবেন। এছাড়াও
ব্রেকফাস্টে ছানা খেতে পারেন।
এটি শরীরে শক্তি যোগাবে তো
বটেই, খেতেও বেশ দারুণ।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে
ভুলবেন না।

Thursday, October 22, 2015

আদা-চা’র যত গুন

Image result for tea picture


সারা বিশ্বে জনপ্রিয় যত পানীয় রয়েছে তার একটি হলো চা। শুধু জনপ্রিয় নয় চা উপকারীও। অনেকেরই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চা না হলে চলে না। আর শীতের দিনে তো গরম চায়ের যেন তুলনাই নেই।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের সাথে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারীতা বাড়ে কয়েকগুণ।
কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।
শীতকালে আদা-চায়ের বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো-
১। শ্বাসকষ্ট কমায়
শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শীতজনিত শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও এই চা বেশ কর্যকর।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা-চা। নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া আদা-চা শীতে হালকা জ্বর-কাশি দূর করে।
৩। ব্যথা কমায়
যাদের বয়স একটু বেশি; শীতে তাদের কষ্ট হয় বেশি। শরীরের নানা জায়গায় তাদের ব্যথা দেখা দেয়। আদা দেহের পেশী ও হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে ব্যথা হলে চায়ের সাথে সামান্য আদা খাওয়া ভালো।
৪। হজমে সহায়ক
আদা হজমেও সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে। পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে আদা চা। অনেকেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আদা-চা খুবই উপকারী। আদা-চা অল্প সময়ের মধ্যেই ওই অস্বস্তি দূর করে।
৫। বমি রোধে কার্যকরী
বাসে বা ট্রেনে উঠলে অনেকের বমির ভাব হয়।এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তাই যাত্রার আগে এক কাপ আদা-চা পান উপকারী।
৬। মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা-চা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

ইনস্ট্যান্ট নুডলসে বাড়ে মৃত্যু ঝুকি!



Image result for noodles picture


নুডলস কে না পছন্দ করে! রান্না করতে হয় না বলে ইন্সট্যান্ট নুডলস সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। কিন্তু ইনস্ট্যান্ট নুডলস যতই সহজ এবং সুস্বাদুই হোক না কেনো, এটি আপনার জন্য বাড়াতে পারে মৃত্যু ঝুকি। কারন এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা সর্বদা আপনার শরীরকে অসুখ বিসুখ এর দিকে ঠেলে দেয়।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস কিভাবে আমাদের দেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে তার ১০টি বর্ননা এখানে দেওয়া হলো:
১। পুষ্টি শোষণ করে:
ইনস্ট্যান্ট নুডলস ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য পুষ্টি শোষণ করে তদের শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি সাধন করে।
২। গর্ভপাত:
এটি ভ্রূণ উন্নয়নকে প্রভাবিত করে, ফলে নারীরা গর্ভাবস্থায় ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেলে গর্ভপাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৩। জাঙ্ক ফুড:
ইনস্ট্যান্ট নুডলস শর্করা সমৃদ্ধ কিন্তু কোন ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ পদার্থ নেই। ফলে এটিকে একটি জাঙ্ক ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৪। সোডিয়াম:
ইনস্ট্যান্ট নুডলসে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম থাকে। যার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি ক্ষতি ও ঝুকি বাড়ে।
৭। MSG:
নুডলস এর গন্ধ উন্নত করতে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট ইনস্ট্যান্ট ব্যবহৃত হয়। MSG – এ প্রচুর পরিমানে এলার্জি আছে নুডলস এর একটি অংশ হিসাবে ব্যবহার হয়। ফলে, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, পেটে ব্যথা, ইত্যাদি রগে ভুগতে পারেন।
৮। মাত্রাতিরিক্ত ওজন বাড়ায়:
নুডলস খেলে আকস্মিক ভাবে স্থূলতার বেড়ে যায়। নুডলস শরীরে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ওজনের বাড়ে, এবং স্থূলতা হার্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৯। হজম ক্ষমতা কমায় :
ইন্সট্যান্ট নুডলস খাওয়ার পর স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন শাক-সবজি বা ফলমূল খেলেও প্রত্যাশিত লাভ হয় না৷ কারণ শাক-সবজি বা ফলের পুষ্টিকর উপাদানগুলোকে শরীর আর তখন গ্রহণ করতে পারে না৷ ইন্সট্যান্ট নুডলস খাওয়ার কারণেই এমন হয়৷ ইন্সট্যান্ট নুডলস খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজই করে না৷
১০। ক্যানসারের ঝুঁকি:
ইন্সট্যান্ট নুডলসের Styrofoam নামের উপাদান থাকে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়৷ বিশেষ করে নুডলস অনেকদিন ভালো রাখার জন্য যে ‘প্রিজারভেটিভ’ মেশানো হয়, সেগুলোর কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে৷ কাপ-নুডলসের কাপ তৈরি করা হয় ‘পলিস্টাইরিন’ দিয়ে৷ সেই পলিস্টাইরিনেও থাকে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোর মতো উপাদান৷ কাপে গরম পানি ঢাললেই সেই উপাদানগুলো গলে নুডলসে মিশে যায়৷

কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা

তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...