সকালে খালি পেটে রসুন খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়,...বিস্তারিত
Sunday, November 29, 2015
রসুনের গুণ
সকালে খালি পেটে রসুন খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়,...বিস্তারিত
Saturday, November 28, 2015
দাঁত শির শির করা সমস্যা
দাঁত নড়লে বা মাড়ি ফুললে আমরা প্রচন্ড সন্ত্রাসে ছুটি দাঁতের ডাক্তারের কাছে। পরম করুনাময়ের দান দন্তরাজি যখন সাহসী সৈন্যদলের মত বছরের পর বছর ধরে গরু,খাসি, মুরগী ও মাছের হাঁড়, চালের কাঁকর ইত্যাদিকে পিষ্ট করে অবশেষে একে একে রণে ভঙ্গ দেয়, তখন তাদের স্থান গ্রহণ করে নতুন রিক্রুট-একটি, দু’টি অথবা একপাটি দুইপাটি নকল দাঁত। আপনারা ভাবছেন চিকিত্সা শাস্ত্রেও এই দন্ত পরিচর্যা বর্তমান শতাব্দীর মৌলিক অবদান? আপনাদের ধারনা দুই-তিন-চারশ বছর আগে দাঁত নড়লে বা পড়লে কিছুই করাবার ছিলনা? তাহলে মিশরের প্যাপিরাস কাগজে লেখা প্রাচীন নথিপত্র ঘাঁটুন এবং কবরস্থানের দেয়ালের লেখা পড়ুন। তবেই জানতে পারবেন যে, পৃথিবীর ...বিস্তারিত
Pregnancy risk factors
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, ‘আমার স্ত্রীতো অসুস্থ’ বা অমুক ভাবী, খালা অসুস্থ’। কেন, কী হয়েছে, কেন জানেন না, উনার তো বাচ্চা হবে। মেয়ে মাত্ররই তো মা হবে, এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। এটা তো আর ৫-১০টা রোগের মতো অসুস্থতা নয়। বাচ্চা হওয়াটা শরীরের একটা অবস্থা মাত্র। এটা কোন রোগ নয়। কাজেই প্রথম থেকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত এই ভাবনা। এজন্যই চিকিত্সকগণ বলেন, মা হওয়ার আগে শারীরিক-মানসিক প্রস্তুতির বিশেষ প্রয়োজন আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নারী যখন মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন মা হওয়ার জন্য তখনই তার সন্তানধারণ করা উচিত। তার আগে নয়। কাজেই সন্তান ধারণের আগে একজন মায়ের যেমন প্রস্তুতি আছে, তেমনি পরিবারের আর সবারও আছে। নিচে গর্ভকালীন কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করা হলো। নূন্যতম প্রস্তুতি এবং সচেতনতা থাকলেও এগুলো মোকাবিলা করা তেমন কোন সমস্যা নয়। তবে জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ...বিস্তারিত
7 steps to keep acidity
নানা উৎসবে সুযোগ পেলেই অনেকে বাড়তি খাবার খেয়ে এসিডিটি বাধিয়ে ফেলেন। এছাড়া অনেকে স্বাভাবিক খাবারের পরেও নানা কারণে এসিডিটিতে আক্রান্ত হন। এ লেখায় থাকছে এসিড সমস্যা সমাধানের সাতটি উপায়।
১. ছোট ছোট টুকরো খান খাবারের বড় টুকরো নয় বরং ছোট ছোট টুকরো খান। এছাড়া খাওয়ার সময় তা ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে ...বিস্তারিত
Friday, November 27, 2015
মুখের আলসার নিয়ে বিভ্রান্তি
মুখের ভেতরে সৃষ্ট আলসারগুলোর মধ্যে অ্যাপথাস বেশি দেখা যায়। তবে সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে মুখে ঘা হতে পারে। মাঝে মধ্যে এ দুটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট ঘা দেখতে অনেকটা অ্যাপথাস আলসারের মতো। ব্যতিক্রম হলো, সাইটোমেগালো ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট আলসারে যখন কিনারার কাছে পচন ধরে, তখন এটি লাল রঙের হয় না। অ্যাপথাস আলসার সাদা অথবা হলুদ ডিম্বাকৃতির হয়। চারপাশে প্রদাহযুক্ত লাল বর্ডার লাইন ...বিস্তারিত
ঠোঁটের প্রাথমিক যত্ন
দাঁতের গঠন ঠিক রাখতে হলে ঠোঁটেরও যত্ন নিতে হবে। ঠোঁটের যত্নে যা করতে হবে তা হলো- (ক) প্রথমেই ধুমপান ত্যাগ করতে হবে। (খ) তামাকজাতীয় কোনো পদার্থ সেবন করা যাবে না। (গ) ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিপজেল বা বাম ব্যবহার করতে হবে। (ঘ) লিপ লিকিং এর বদ অভ্যাস বন্ধ করতে হবে। (ঙ) যেসব লিপ বামে অ্যালোভেরা থাকে সেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অ্যালোভেরাতে প্রদাহবিনাশকারী এবং ব্যাকটেরিয়া ...বিস্তারিত
Thursday, November 26, 2015
অর্শ্ব বা পাইলস রোগে হোমিও চিকিৎসা
মানব দেহে যত রকম যন্ত্রণাদায়ক রোগ আছে অর্শ্ব তার অন্যতম। সাধারণত যেসব মানুষের কোষ্ঠ-কাঠিন্য রোগের ব্যাপকতা থাকে অর্শ্ব তাদেরই বেশি দেখা দেয়। যাদের দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে বসে থাকতে হয় তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগের লক্ষণ ১. মলদ্বারে অস্বস্তি বোধ ২. মলদ্বারে সুচ ফোটানোর মতো ব্যথা। ৩. মলদ্বারে উত্তাপ বোধ ৪. মলদ্বার ফেটে যাওয়া ৫. মলদ্বার চুলকানো ৬. অর্শ্ব বা পাইলস হতে রক্ত ঝরা ৭. এ রোগ সাধারণত ঠা-ায় বা শীতাকালে বৃদ্ধি পায় ৮. ঘুম থেকে জাগলে বা ঘুম ভেঙ্গে গেলে এ রোগের উপস্বর্গগুলোর উৎপাত বেড়ে যায়। চিকিৎসা এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে আঁশ যুক্ত খাবার যেমন- কচুর শাক, লাল শাকসহ যে কোন শাক নিয়মিত খাবেন। কোষ্ট-কাঠিন্য হতে পারে এমন খাবার যেমন- গরুর গোশত, হাঁসের গোশত, হাঁসের ডিম, চা, অতিরিক্ত মসল্লার তরকারি এড়িয়ে চলবেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ইস্কুলাসহিপ ঔষধ রোগ নিরাময়ের জন্য অন্যতম। প্রাথমিক অবস্থায় হোমিও চিকিৎসায় এ রোগ সহজেই নিরাময়যোগ্য।
ডা. মো. শামসুল আলম
হোমিও ক্লিনিক
মোবাইল-01935509458
ক্যানসার-অ্যাজমা রুগীদের ক্ষেত্রে জিরার উপকারিতা
![]() |
কিন্তু জিরার উপকারিতার কথা শুনে ...বিস্তারিত
ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ
এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ অসুখ হয়। ব্যাকটেরিয়ার নাম বারটোনেলা। বিড়াল কামড় দিলে বা আঁচড়ালে রোগটি হয়। এ রোগে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: ...বিস্তারিত
বয়স বাড়লেও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখুন

চীনে শুরু হচ্ছে অ্যাপল পে
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মোবাইল লেনদেন ব্যবস্থা ‘অ্যাপল পে’। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

যাত্রা শুরুর পর ‘অ্যাপল পে’কে ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার মোবাইল লেনদেন সেবা আলি পে আর সরকার নিয়ন্ত্রিত সেবা ‘ইউনিয়ন পে’ এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। চীনের ইউয়ান লেনদেনের কার্ড সেবাদানের ব্যবসায় ‘ইউনিয়ন পে’ একচেটিয়া ব্যবসা ...বিস্তারিত
Wednesday, November 25, 2015
ম্যালেরিয়া ঠেকাবে মশা!
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী যে মশা, এবার সেই পতঙ্গটিকে এই রোগ ঠেকানোর কাজে লাগাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা এক ধরনের জেনেটিক্যালি মডিফাইড (জিএম) মশা উদ্ভাবন করেছেন যা ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মানসিক চাপে বাড়ে ওজন
সুস্থ দেহের সাথে যেমন সুস্থ মনের যোগাযোগ আছে ঠিক তেমনি মনের অসুখের সাথেও যোগ রয়েছে দেহযন্ত্রের। এ বাস্তবতায় আমাদের অনেকের মাঝেই যে ধারণাটি প্রচলিত সেটি হলো, মনের কোনো ব্যামো হলে বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে সেটি পক্ষান্তরে আমাদের স্বাস্থ্যকেও বাহ্যিকভাবে খারাপ করে দেয় এবং এ অবস্থায় তাদেরকে হয়তো তুলনামূলক বেশি রোগা দেখায়। .........বিস্তারিত
পোষার জন্য রোবট বিড়াল
পোষা প্রাণীর প্রতি অনেকেরই আগ্রহ আছে। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় নিজের কাছে রাখা সম্ভব হয় না। কেননা ঠিক মতো খাওয়ানো কিংবা দেখাশুনা করা একটা বড় সমস্যা। প্রাণীপ্রেমীদের জন্য বিকল্প একটা উপায় নিয়ে এসেছে মার্কিন খেলনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হ্যাসব্রো। .......বিস্তারিত
আপেলের ফেসপ্যাক ত্বকের যত্নে
স্বাস্থ্যগুণের দিক দিয়ে আপেল একটি উল্লেখযোগ্য ফল। তবে একই সঙ্গে রূপচর্চার দিকে থেকেও এর ব্যবহার রয়েছে। আপেলের তৈরি ফেসপ্যাক ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের যত্নে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ টেবিল চামচ গ্রেট করা আপেল এবং ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিন। এই দুইটি উপাদান খুব ভালোভাবে মেশান। এরপর এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে হালনা গরমা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ চা চামচ গ্রেট করা আপেল, ১ চা চামচ টকদই আর ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা কমার সাথে সাথে উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
মিশ্র ত্বকের জন্য প্যাকঃ
১ টেবিল চামচ গ্রেট করা আপেলের সাথে ১/২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
তবে এই প্যাকগুলো ব্যবহারের আগে বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। আপেল আগে থেকে কেটে রাখলে তা অক্সিডাইজ হয়ে যায়। এই অবস্থায় আপেল ব্যবহার করলে তা ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবসময়ই তাত্ক্ষণিক কেটে ব্যবহার করতে হবে।
রান্না-বান্না
গরুর গোশতের ছেঁচা কাবাব
উপকরণ :
হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৩০০ গ্রাম
কাবাব মসলা ২ চা-চামচ
আদা ও রসুনবাটা ২ চা-চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ চা-চামচ
কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ
জিরা ও ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ
লবণ স্বাদমতো
তেজপাতা ২টি
গরম মসলা (এলাচ/দারুচিনি/লবঙ্গ) ২টি করে
সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো।
প্রস্তুত প্রণালী :
গরুর গোশত পাতলা করে চারকোনা করে কেটে নিয়ে তা ছেঁচে নিতে হবে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-কাঁচা মরিচবাটা, লবণ, জিরা, ধনে গুঁড়া, তেজপাতা ও গরম মসলা মাখিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। গোশত সিদ্ধ হয়ে পানি শুকালে চুলা থেকে নামিয়ে তেজপাতা ও গরম মসলা ফেলে দিতে হবে। তারপর সিদ্ধ গোশতের সঙ্গে কাবাব মসলা মিশিয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে তাতে তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে গোশত ভাজতে হবে অল্প আঁচে। গোশত ভাজা ও পোড়া পোড়া হলে চুলা থেকে নামাতে হবে। এরপর গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
ডিমের শাহি কোরমাউপকরণ :
সিদ্ধ ডিম ১০টি
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
নারকেল দুধ ৩ কাপ
লবণ স্বাদমতো
চিনি ২ চা চামচ
ঘি আধা কাপ
টক দই ১ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী :
কড়াইয়ে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে নিন। তাতে বাদাম বাটা ও আদা বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। টক দই মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে রং পরিবর্তন না হয়। এবার নারকেল দুধ দিয়ে ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিন। এবার তাতে সিদ্ধ ডিমগুলো ঢেলে ২ মিনিট ঢেকে রাখুন। কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
স্বাদের অনুভূতি কোথা থেকে আসে?
মানুষের খাবারের স্বাদ অনুভবের জন্য কোনটি দায়ী? জিহ্বা নাকি মস্তিষ্ক? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, জিহ্বা থেকে স্বাদের অনুভূতি আসে। যদিও গবেষকরা জানাচ্ছেন, জিহ্বা খাবারের তথ্যগুলো সংগ্রহ করলেও তা মূলত মস্তিষ্ক থেকেই সম্পন্ন হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে পিটিআই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি, টক, নোনতা, তেঁতো কিংবা মসলাদার খাবারের স্বাদ মস্তিষ্কই পৃথক করে। আর এ স্বাদগুলোর তথ্য জিহ্বা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করে। মস্তিষ্কে এসব স্বাদের অনুভূতি বিশ্লেষণ ও পৃথক করা হয়। আর মস্তিষ্ক থেকেই এ স্বাদের অনুভূতি চালু বা বন্ধ করা যায়। সম্প্রতি গবেষকরা মস্তিষ্ক থেকেই স্বাদের অনুভূতি পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর এতে বিষয়টি যে সম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জিহ্বা নয় বরং মস্তিষ্কই স্বাদের অনুভূতি তৈরি করে, এমন বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক চার্লস এস জুকার ও তার নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তিনি বলেন, ‘জিহ্বার নির্দিষ্ট স্নায়ুগুলো টক-মিষ্টি কিংবা অনুরূপ স্বাদ বিষয়ে তথ্য মস্তিষ্কে পাঠায় এবং মস্তিষ্ক এ তথ্য বিশ্লেষণ করে এগুলোর স্বাদ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।’ অপটোজেনেটিক্স নামে যন্ত্রের সাহায্যে গবেষকরা লেজার লাইট ব্যবহার করে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু নিউরনকে কার্যকর করে স্বাদের অনুভূতি তৈরি করতে সক্ষম হন। এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রাথমিকভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদকেই বেছে নেন। মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, এ দুটি স্বাদ সবচেয়ে জটিল এবং উল্লেখযোগ্য স্বাদ মানুষ ও অন্য প্রাণীদের জন্য। গবেষকরা ইঁদুরের মস্তিষ্কে কৃত্রিমভাবে মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। এছাড়া তারা ইঞ্জেকশনের সাহায্যে রাসায়নিক প্রবেশ করিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে মিষ্টির অনুভূতি দূর করতেও সক্ষম হন। মস্তিষ্কে যতক্ষণ এ রাসায়নিক থাকে ততক্ষণ ইঁদুর মিষ্টি স্বাদ পায় না। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে সফলতা পাওয়া গেলেও একই প্রক্রিয়া মানুষসহ অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বিশ্ব হোমিওপ্যাথির জাগরণ
৩৫টি দেশের ২৪০০ ডেলিগেটের অংশগ্রহণে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বিশ্ব হোমিওপ্যাথিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল গত ১-৪ ডিসেম্বর আয়োজক সংস্থা ‘লিগা মেডিকোরাম হোমিওপ্যাথিকা ইন্টারন্যাশনালিস (Liga Medicorum Homoeopathica Internationals)। এটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের বিশ্ব সংস্থা। ১৯২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এ সংস্থার জন্ম। জেনেভায় এর রেজিস্টার্ড অফিস। প্রথমে ৯টি দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে এ সংস্থা গঠিত হয়, যার প্রথম সভাপতি ছিলেন আমেরিকান চিকিৎসক ডা. রয় উপহ্যাম (Dr. Roy Upham)। এ বিশ্ব হোমিওপ্যাথি সংস্থার ৬৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ভারতে। আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৪-১৭ তারিখে জাপানে অনুষ্ঠিত হবে লিগার ৬৭তম সম্মেলন।
৬৬তম লিগা সম্মেলনটি ছিল বেশ জাকজমকপূর্ণ। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো Homoeopathy for Public Health. দিল্লীর বিলাসবহুল সিরিফোর্ট মিলনায়তনের ৪টি হলে একই সময়ে চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ৩০০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ডা. দেবাশীষ রানা তার গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষা করেন। যদিও বাংলাদেশের কৃতিসন্তান ডা. পরেশ চন্দ্র মোদক-এর গবেষণাপত্র সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল, কিন্তু তিনি অজ্ঞাত কারণে সম্মেলনে যাননি। এটি আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক কারণ ছিল। সম্মেলনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন উপলক্ষে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা দেবীসিং পাতিল বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তিনি বলেন, "Homoeopathy is a well-established, recognized and widely accepted system of medicine in India. It is safe and curative in chronic diseases. There is need to undertake organized research in Homoeopathy to make it a Prime public health system." এ সম্মেলন থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গবেষকরা ঘোষণা করেছেন যে, আগামী বিশ্বে হোমিওপ্যাথি ‘চিকিৎসা সুপার পাওয়ার' হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল, যাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোমিওপ্যাথিক পুস্তক সংস্থা এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করে। প্রকাশনা সংস্থাগুলো তাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বইগুলো প্রদর্শনীতে স্থান দেয়ায় চিকিৎসকরা উপকৃত হয়েছেন। বিশেষভাবে যারা গবেষণায় নিয়োজিত তারা এ সম্মেলন থেকে হোমিওপ্যাথির আধুনিক চিন্তাধারার প্রচুর বই সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ভারতীয় সরকারি সংস্থা সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথি (Central Council for Research in Homoeopathy) তাদের নানা ধরনের গবেষণা পুস্তক নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের ‘ক্লিনিক্যাল রিসার্চ স্টাডিজ' সিরিজের বইগুলো গবেষকদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাদের ডিজিজ মনোগ্রাফ (Disease Monograph) সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ বই HIV/AIDS AND HOMOEOPATHIC MANAGEMENT এবং Diabetes Mellitus. যেখানে এইডস এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়ে সারা বিশ্বে হতাশা বিরাজ করছে, সেখানে তাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, হোমিওপ্যাথিতে এ ধরনের দূরারোগ্য রোগের চিকিৎসা সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ প্রুভিংস নিয়েও সংস্থাটির রয়েছে সিরিজ প্রকাশনা, যা যে কোন হোমিওপ্যাথিক গবেষকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ‘ক্লিনিক্যাল ভেরিফিকেশন' প্রকাশনা সিরিজটি আধুনিক হোমিওপ্যাথির জন্য একটি অনন্য অবদান। সংস্থাটির প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল "Homoeopathy for mother and child care' হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের মা ও ও শিশু চিকিৎসায় দক্ষতা অর্জনের এক অনন্য হাতিয়ার। আমরা যদি বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি গবেষণায় এগিয়ে যেতে চাই তাহলে উল্লেখিত প্রকাশনাগুলো আমাদেরকে পথ দেখাবে। কারণ বিশ্বে একমাত্র উক্ত সংস্থাটিই হোমিওপ্যাথির আধুনিক গবেষণায় দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
লিগা সম্মেলনে উপস্থাপিত ৩০০টি গবেষণা পত্রের সবগুলোই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসায় যে সব রোগের সমাধান দিতে ব্যর্থ, সেসব ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির সফলতার কথা উঠে এসেছে এসব গবেষণাপত্রে। যেমন, ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সফলতা নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে অনেকগুলো ক্লিনিক্যাল স্টাডি রিপোর্ট, যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা সম্ভব। আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপিত এ ধরনের গবেষণা কর্ম ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
যে সব চিকিৎসক দ্বিধাদ্বনদ্ব নিয়ে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় অবতীর্ণ হতেন তাদের জন্য এসব গবেষণা পথপ্রদর্শকের কাজ করবে। আবার যারা বাণিজ্যিকভাবে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা করতেন, তাদের জন্য অনেক সতর্ক বার্তা রয়েছে এসব গবেষণায়। কারণ একাডেমিক শিক্ষা এবং দক্ষতা না থাকলে যে ক্যান্সারের ন্যায় রোগের চিকিৎসা দেয়া যায় না তা ফুটে উঠেছে ঐসব গবেষণাপত্রে। আসলে এ ধরনের সম্মেলন চিকিৎসকদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে।
যক্ষ্মা বা টিবি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সফলতা নিয়ে খুবই উন্নতমানের গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে লিগা সম্মেলনে। বিশেষভাবে ভারতের ডা: প্রবীন কুমারের উপস্থাপিত ‘‘An in vitro study on effect of Tuberculinum on genetic sequence of multidrug strains of mycobacteriwm tuberculosis’’ গবেষণা পত্রটি যে কোন যক্ষ্মা গবেষকের জন্য অনুসরণীয়। মানসিক রোগ এবং ড্রাগ আসক্তি নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি ঔষধের সফলতার গল্পগুলো যে কোন মানুষের মনেই হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে উন্নত ধারণা সৃষ্টি করবে। আর এ ধরনের অনেকগুলো গবেষণাপত্র স্থান পেয়েছে লিগা সম্মেলনে।
সবচেয়ে বড় খবর হচ্ছে, বাংলাদেশে নতুন রোগ বলে পরিচিত চিকনগুনিয়া (Chikungunia) নিয়ে দুর্দান্ত এক গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে লিগা সম্মেলনে। ভাইরাল কিভার বা চিকনগুনিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ‘‘ব্রায়োনিয়া’’ ঔষধটির ব্যবহার এ গবেষণায় প্রমাণ করা হয়েছে। চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে রাস টক্স (Rhus Tox) এবং ইউপেটিরিয়াম পারপ (Eupatorium Purp) ঔষধ দু'টির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ক্লিনিক্যাল স্টাডি দ্বারা। ডেঙ্গু জ্বরে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে ব্রাজিলের এক গবেষণাপত্রে। এভাবে এপিডেসিক ডিজিজে হোমিওপ্যাথি ঔষধের কার্যকারিতা ক্লিনিক্যাল স্টাডি দ্বারা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ব দরবারে হোমিওপ্যাথির মর্যাদার আসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দাঁতের রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে। পশু চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের ব্যবহার নিয়ে যে সব গবেষণা স্থান পেয়েছে, তাতে দেখা যায় যে, হোমিওপ্যাথি ঔষধের আরেকটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
চারদিনের লিগা সম্মেলনে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানা গেছে। একটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে যে, মানসম্পন্ন হোমিওপ্যাথি ঔষধ উৎপাদন খুবই ব্যয়বহুল। যেমন নোসোড গ্রুপের ঔষধ উৎপাদনে একটি জীবাণুর দাম ৫০ হাজার ইউরো। আর একটি ফার্মাসিউটিক্যাল তেলাপোকার দাম ১০-২০ হাজার ইউরো।
সম্মেলনের শেষ দিনে সব চিকিৎসকেরই মন খারাপ হয়েছে। বিশাল আয়োজন, বিশাল তথ্য ভান্ডার, বিশাল গবেষণাপত্রের এ সুন্দর আয়োজন আবার কবে হবে দক্ষিণ এশিয়ায় তা কে জানে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম ভবিষ্যতের দক্ষিণ এশিয় লিগা সম্মেলনের জন্য।
Tuesday, November 24, 2015
মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥দেশের সরকারী সব হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার সচিবালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রায় ২ লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সরকারী হাসপাতালে কোন মুক্তিযোদ্ধা রোগী গেলে তার চিকিৎসা প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এমনকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বিনামূল্যে করা হবে। তিনি বলেন, এই প্রসঙ্গে একটি নির্দেশনা আগেও ছিল। কিন্তু এ নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা কম ছিল। মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সকল হাসপাতাল পরিচালককে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তিসহ যে কোন প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের বিশেষ মনযোগ দিতে হবে। চিকিৎসা প্রদানে তাদের প্রতি কোন প্রকার অবহেলা করা চলবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক জনকণ্ঠকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে সকল সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। এবং তা হতে হবে অতি গুরুত্বের সঙ্গে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানে কোন চিকিৎসক বা হাসপাতালকে অবহেলা প্রদর্শন করতে পারবেন না। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর থেকে এ নির্দেশ কার্যকর করা হবে। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সম্মানে সেনাপ্রধানের সংবর্ধনা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের পক্ষ থেকে সোমবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ অফিসার্স ক্লাবে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ৩ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৩ জন বীর উত্তম, ৬ জন বীর বিক্রম ও ১১ জন বীর প্রতীক এবং তাঁদের নিকটাত্মীয়দের সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। -আইএসপিআর
গলাব্যথায় করণীয়
ঋতু বদল হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে নানা ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। সবচেয়ে বেশি এ সময় ভোগে শিশুরা—গলাব্যথা, জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গে। বেশির ভাগ গলাব্যথাই শ্বাসযন্ত্রের ওপরের অংশে প্রদাহজনিত কারণে হচ্ছে। এর সঙ্গে জ্বর, মাথা ও কানব্যথা হতে পারে, ঢোক গিলতে কষ্ট হয় বা খুক খুক কাশিও হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, বিশেষ করে রাইনো ভাইরাস এর জন্য দায়ী। কখনো স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করেও গলাব্যথা হয়। এবার জেনে নেয়া যাক- এ থেকে নিরাময় পেতে যা করণীয়-
১. গবেষণায় প্রমাণিত যে কুসুম গরম লবণপানি কেবল জীবাণুকেই ধুয়ে মুছে দেয় না, প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মেশান, তেতো বা বিস্বাদ লাগলে এতে কয়েক ফোঁটা মধুও মেশাতে পারেন। তারপর দিনে দুই বা তিনবার গার্গল করুন।
২. হাঁচি, কাশি ও গলার ভেতর প্রচুর তরল পদার্থ নিঃসরণের জন্য শরীর খানিকটা পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরল খান৷ ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন। গলার প্রদাহে চমৎকার কাজ দেয় ধোঁয়া ওঠা গরম স্যুপ।
৩. মেনথল, ইউক্যালিপটাস বা ফেনলসমৃদ্ধ কিছু লজেন্স পাওয়া যায়, যা চুষে খেলে প্রদাহ ও ব্যথা অনেকটাই কমে। এগুলো মূলত ক্লোরোসেপটিক অর্থাৎ গলায় একটা আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশেও সাহায্য করে৷
৪. দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে। গ্রিনটি বা অন্য কোনো হারবাল চা আরও ভালো। চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করুন, যা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে৷
৫. যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। দরকার হলে কাজ থেকে ছুটি নিন, অবকাশ যাপন করুন। কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হলে কথার বিরতি নিন।
৬. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধই যথেষ্ট। তবে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে গলায় স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ গলাব্যথার উপসর্গ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই তিন দিনের মধ্যে সেরে যায়। ৮৫ শতাংশ সেরে ওঠে সাত দিনের মাথায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে যে খাবার
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, রসুন, দারুচিনি বা লেবুজাতীয় ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার আগে পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের মিশ্রণ খাওয়া ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। পাশাপাশি ডায়বেটিস নেই বা টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমায় এই মিশ্রণ।
অপরিদিকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ কমাতে সহায়ক গ্রিন টি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ডায়বেটিস এবং এই সংক্রান্ত জটিলতাগুলো থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতের 'বাইটক্লাব ডটইন'এর খাদ্য বিশেষজ্ঞ সৌম্য শ্রী।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অনেকদিন ধরেই জায়গা দখল করে আছে। এতে থাকা অ্যাসেটিক অ্যাসিড পাকস্থলীর নির্দিষ্ট কিছু এনজাইম ঝেড়ে ফেলতে সাহায্য করে।
দারুচিনি: টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কার্যকর। পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজ, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরের জন্য ভালো ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক এটি।
লেবুজাতীয় ফল: ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে প্রায়শই ভিটামিন সি’র অভাব দেখা যায়। তাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর লেবুজাতীয় ফলগুলো খেতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে। সাপ্লিমেন্ট বা বিকল্প হিসেবে ভিটামিন সি ট্যাবলেট লোভনীয় মনে হতে পারে। তবে যেহেতু প্রাকৃতিকভাবেই ফলমূলে থাকে কম চর্বি, বেশি আঁশ এবং আরও অনেক পুষ্টিগুণ, তাই এক্ষেত্রে ফলই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিৎ।
গ্রিন টি: পান করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ানোর পেছনে দায়ি দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ প্রশমিত হয়। শরীরের শর্করা শোষণ করার ক্ষমতাও বাড়ায় এই পানীয়। এই চায়ে থাকে প্র্রচুরি পরিমাণে ফ্লেভানয়েড যা শক্তিশালী প্রদাহরোধকারী।
মেথি: টাইপ ওয়ান ও টু দুই ধরনের ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী, এমনকি ডায়বেটিস নেই এমন ব্যক্তিদেরও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক আরেকটি উপাদান এই মেথি। মেথি বীজে থাকা আঁশ কার্বোহাইড্রেটের হজম প্রক্রিয়া মন্থর করতে সহায়ক। ট্যাবলেট হিসেবে, চা ও বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে মেথি খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম: বাদামে মিলবে প্রচুর টোকোট্রাইনোলস। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে ডায়বেটিসের কারণে হওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে।
রসুন: কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক। ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে থাকা ইনসুলিনের পরিমাণও বাড়াতে পারে রসুনের নির্যাস।
টমেটোর কিছু উপকারিতা
টমেটো একটি দৃষ্টিনন্দন শীতের সবজি। এটি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। সবজি হিসেবে টমেটোর জুড়ি অনেক। টমেটো আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। এটি যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে রান্না করে বা রান্না সুস্বাদু করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কাঁচা ও পাকা—এই দুই অবস্থাতে টমেটো খাওয়া যায়। রান্না না করলে টমেটোর যে পুষ্টিগুণ থাকে, রান্না করলে সেই পুষ্টি কিছুটা কমে যায়। শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে টমেটোর ভূমিকার কথা নতুন নয়। সর্বাধিক উপকার পেতে টমেটো কাঁচা খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তো চলুন, দেখে নেয়া যাক এর কিছু উপকারিতা।
১. ক্যানসার প্রতিরোধক: ক্যানসার কোষ বিনষ্টকারী প্রাকৃতিক অ্যানটি-অক্সিডেনট এর প্রাকৃতিক উৎস হল টমেটো। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি রোধে খেতে পারেন টমেটো।
২. হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করা: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে টমেটো খাওয়ার বিকল্প নেই।
৩. দেহের হাড় মজবুত করে: টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনকে, যা দেহের হাড় মজবুত করে এবং ভাঙ্গা হাড়কে জোড়া লাগায় দ্রুততার সঙ্গে।
৪. রাতকানা রোগ নিরাময় করে : টমেটো একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে যে ভিটামিন এ রয়েছে, সেটা রাতকানা রোগ নিরাময় করে।
৫. চুল পড়া কমায় : টমেটোতে যেই পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, সেটা আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুলকে মজবুত করে।
৬. কিডনিতে পাথর জমা রোধ করে : যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, তারা আজ থেকেই খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখবেন। কারণ হলো, টমেটো কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
৭. ওজন কমায় টমেটো : যাদের স্থুলতা নিয়ে চিন্তা, তারা এই প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। প্রতিদিনের প্রচুর পরিমাণে টমেটো আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এবং দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
৮. বাতের ব্যথা দূর করে : যাদের বাতের ব্যথা প্রচণ্ড, তারা টমেটো খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন, কারণ এটি বাতের ব্যথা অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম।
৯. প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ : টমেটোতে প্রচুর পরিমানে বেটা-ক্যারোটিন উপাদান আছে, যা পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী সাহায্য করে। তাই যাদের প্রোস্টেট গ্রন্থিতে সমস্যা আছে, তারা টমেটোকে উপকারী উপাদান হিসেবে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
১০. ত্বকের সুরক্ষায় : আমাদের দেহের ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে এই টমেটো। আর আমরাও পেতে পারি সুন্দর ত্বক।
১১. ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যানসার প্রতিরোধক : টমেটোতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রোটিন থাকে, যা ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যানসার এর ঝুকি কমায়।
১২. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য টমেটো অনেক বেশি ফলদায়ক।
১৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টমেটো : গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন ২৫ গ্রাম টমেটো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। পুরুষদের জন্য ২৫ গ্রাম এবং নারীদের জন্য ৩৫ গ্রাম টমেটো ফলপ্রসূ। চমৎকার ভাবে দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এই টমেটো।
১৪. পানিশূন্যতা রোধে টমেটো : দেহের পানিশূন্যতা রোধের জন্য টমেটো হচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধের মত। দেহে শক্তি যোগায় এই টমেটো।
১৫.বিষন্নতা রোধে : শুনতে অবাক করলেও এটাই সত্যি। টমেটো আমাদের বিষন্নতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিপাকতন্ত্রের এবং ঘুমের সমস্যায় এই টমেটো অনেকটা কার্যকরী।
এছাড়া ক্যালরিতে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ঠান্ডাজনিত ঘা ভালো করে। যেকোনো চর্মরোগ, বিশেষত স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ঠান্ডায় হাত, বিশেষত পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। ভিটামিন-সি এই ফেটে যাওয়া রোধ করে। টমেটোর ভিটামিন-এ শরীরের মাংসপেশিকে করে মজবুত, দেহের ক্ষয় রোধ করে, দাঁতের গোড়াকে করে আরও শক্তিশালী, চোখের পুষ্টি জোগায়। তাই খাবারের প্লেটে রাখুন টমেটো।
Monday, November 23, 2015
শীতে শিশুর যত্ন
শীত অল্প হলেও শিশুকে পর্যাপ্ত গরম জামাকাপড় পরাতে হবে। তার মানে এই নয় যে শিশুর নাক-মুখ বন্ধ করে, শক্ত করে মুড়িয়ে দিতে হবে। শীতের কাপড় যেন আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শীতে ঘাম কম হওয়ার কারণে শিশুর প্রস্রাব বেশি হয়। তাই নবজাতকের কাঁথা ভিজে যাচ্ছে কি না বা শিশুদের প্যান্ট ভিজছে কি না, তা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। বেশি প্রস্রাব করছে দেখে অনেকে শিশুকে বুকের দুধ ও তরল খাবার কমিয়ে দেন। এ রকম কখনোই করা উচিত নয়।
শীতে গোসল করতে বাধা নেই। কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে এক দিন পরপর গোসল করাতে পারেন। তবে গোসল করানোর সময় কানে যাতে পানি না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর গোসলের পরপর শরীর ভালোভাবে মুছতে ভুলবেন না। এ সময় ত্বকের যত্নে অবশ্যই ভালো মানের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই বেশি দেখা যায়। এগুলোর বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত, তাই খুব বেশি জ্বর থাকে না। এ সময় শিশুকে বুকের দুধ ও পর্যাপ্ত তরল খাবার দিতে হবে। সেই সঙ্গে লবণ-পানি দিয়ে শিশুর নাক পরিষ্কার করিয়ে দিতে হবে। কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই ঘরোয়া চিকিৎসায় অধিকাংশ কাশি সেরে যায়। তবে খুব বেশি জ্বর হলে, শ্বাসকষ্ট বেশি হলে কিংবা শিশু খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
মায়ের সাধারণ সর্দি-জ্বর হলে সেই মায়ের বুকের দুধ পান করালে শিশুও আক্রান্ত হবে—এই আশঙ্কায় অনেকে শিশুকে বুকের দুধ বন্ধ করে দেন। এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর
আমার বয়স ৩৪ বছর। উচ্চতা পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। ওজন ৬২ কেজি। সমস্যা হলো শীতকালে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। রাতে শোয়ার সময় মশারি ও অন্যান্য কাপড়ের সঙ্গে লেগে খুব অস্বস্তি হয়। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে কী করব?
কুমিল্লা
এটি এক ধরনের সিজনাল বা ঋতুজনিত চর্মরোগ, যা সাধারণত বংশগত কারণের সঙ্গে পরিবেশগত কারণ যুক্ত হয়ে ঘটায়। পায়ের গোড়ালি ফাটার পরিমাণ বেশি হলে এটিকে ক্র্যাক সোল বলা হয়ে থাকে। এই ক্র্যাক সোলের জন্য প্রচলিত তেল যেমন-সরিষার তেল, নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়া লিকুইড প্যারাফিন, ভ্যাসলিন, ১০ শতাংশ ইউরিয়া অথবা ৫-২০ শতাংশ স্যালিসাইলিক এসিড ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি, এগুলোর যেকোনোটি ব্যবহার করলে উপকৃত হবেন।
আমার বয়স ২৮ বছর। সমস্যা হলো শীতকাল এলেই ঠোঁট ফাটে, চামড়া ওঠে ও হাত ঘামতে থাকে। বিশেষ করে দুটো হাতের তালু প্রচুর পরিমাণে ঘামে। আমি জানতে চাই, এই হাতের তালু ঘামা কি কোনো রোগ বা এর কি চিকিৎসা আছে?
চট্টগ্রাম
ঠোঁট ফাটা বা চামড়া ওঠা, শুষ্ক হওয়া এটা অনেক সময় রোগ না হয়ে একটি খুব সাধারণ উপসর্গ হিসেবে থাকতে পারে। কখনো কখনো হাত ঘামা অন্য রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। আবার কখনো কখনো এটি নিজেই একটি রোগ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। যেমনÑপামো প্ল্যান্টার হাইপার হাইড্রোসিস। সাধারণভাবে অতিরিক্ত নার্ভাসনেস বা দুশ্চিন্তাজনিত কারণে এমনটি হতে পারে। আবার হাইপার থাইরয়ডিজমের কারণেও এটি দেখা দিতে পারে। অথবা অজানা কারণেও পামো প্ল্যান্টার হাইপার হাইড্রোসিস হতে পারে। কম পরিমাণ ঘামলে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। বেশি ঘামলে স্থানীয়ভাবে (টপিক্যালি) ২০ শতাংশ এলোমিনিয়াম হাইড্রো-অক্সাইড সলিউশন ব্যবহার করা যায়। মুখে সেবনের ওষুধ হিসেবে প্রোপানলন ট্যাবলেট ১০ মি. গ্রা. প্রতিদিন দুবার করে সেবন করা যেতে পারে এবং এর কারণ অনুযায়ী অন্যান্য চিকিৎসাও দেওয়া যেতে পারে।
আমার বয়স ৪১ বছর। কিছু দিন আগে আমার হাতে দানা দানা ঘামাছির মতো ওঠে। আমি মনে করেছিলাম এমনিতেই চলে যাবে কিন্তু দানাগুলো চুলকাতে চুলকাতে ঘায়ের মতো হয়ে যায়। এরপর দেখি আমার মেয়ে ও ছেলের হাতেও একই অবস্থা। কী করলে আমি এ থেকে মুক্তি পাব?
সাভার, ঢাকা
যেহেতু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাই এটি স্ক্যাবিস ইনফেকশন অথবা কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইসিস বা ডিফাইব্রোটিক অ্যাকজিমা হতে পারে। স্ক্যাবিসের ক্ষেত্রে পারমিথ্রিন মলম বা ক্রিম ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। মুখে সেবনের ওষুধ হিসেবে অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন, ফেক্সোফেনাড্রিন ১২০ মি. গ্রা. রোজ দুবার সেবন করা যেতে পারে।
ক্লোবেটাজল অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। যে কারণে এই রোগটি হচ্ছে তা বের করার চেষ্টা করুন এবং সেই কারণটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।
আমার বয়স ২৬ বছর। শীত এলে আমার ঠোঁট ফাটে, ভ্যাসলিন দিলে জ্বলে, তা ব্যবহার করতে পারি না। হাতের আঙুলের উল্টা চামড়া ওঠে, আর শরীর খুব শুষ্ক হয়ে যায়। কী করব?
নরসিংদী
আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শরীর শুষ্ক হয়ে যায় বলে এই ফাটার সমস্যা তৈরি হয়। এর কারণ হলো বাতাসে শুষ্কতা হলে ঠোঁটের মিউকাস মেমব্রেন থেকে পানি চলে যায়। ঠোঁটে লিপজেল বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ভ্যাসলিন বা তেলও ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত ফাটার সমস্যা হলে স্টেরয়েড ও অ্যান্টিবায়োটিক মলম একসঙ্গে ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।
এর পরও যদি সমস্যা থেকে যায়, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে চিকিৎসা নিন।
বিশেষজ্ঞের উত্তর
ডা. একেএম মাহমুদুল হক (খায়ের)
ত্বক, যৌন ও কসমেটিক সার্জন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৯২১৯৪২৯
মাথা ঘোরা
মাথা ঘোরানো মানুষের এক বিশেষ ধরনের অনুভূতি। কেউ কেউ নিজেই ঘুরছেন বলে অনুভব করেন। আবার অনেকে তার চারপাশে ঘুরছে বলে অনুভব করেন। কারণ হিসেবে অন্তকর্ণের অসুবিধা অথবা ৮নং (ভেস্টিবুলা ককলিয়ার) নার্ভের অসুবিধার জন্য হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের জন্য মাথা ঘুরতে পারে। এসব রোগীর অনেক সময় কানের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে টিনটিন বা শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে। কখনও কখনও কানে কম শুনে থাকেন। এছাড়া ব্রেনের পেছনে রক্ত সরবরাহের ত্রুটি ও ঘাড়ের রক্তনালিতে ব্লকের কারণে মাথা ঘোরাতে পারে। কোনো কোনো রোগীর রক্তে লবণের তারতম্যের (ইলেকট্রলাইট ইমব্যালেন্স) জন্য এমনটা হতে পারে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
কাঁচা মরিচের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা
তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে কাঁচা মরিচের জুড়ি নেই। কেউ কেউ আবার খাবারের সময় অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ নিয়ে রুচিসহকারে খেতে থাকেন। তাঁদের জন্য আরও সুখ...

-
অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্য...
-
অনেকেই মাঝ রাতে ডিনার করেন। তবে ডাক্তাররা বলছেন, রাতের খাবারটা সূর্য ডোবার পরপরই সেরে ফেলা উত্তম। কি...